আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও "ডুব" নিয়ে শাওনের ডুব সাঁতার ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    "ডুব" নিয়ে শাওনের ডুব সাঁতার


    "ডুব" নিয়ে শাওনের ডুব সাঁতার

    বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর যেখানে যেখানে বাঙালী বসবাস করে তার সবকটা শহর বন্দরে আলোচনার টেবিলে সাম্প্রতিক নির্মিত  ‘ডুবচলচ্চিত্রে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদেরজীবনের স্পর্শকাতর ঘটনা চিত্রায়ন থাকার ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে।  আর এই চিত্রায়নের বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার পর লেখকের বর্তমান স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ুন  আহমেদের এর ধানমণ্ডির বাসাদখিন হওয়া সংবাদ সম্মেলন ডেকে আতঙ্ক প্রকাশ করে বলেন
    “‘ডুব’ চলচ্চিত্রে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘জীবনীর স্পর্শকাতর ঘটনা’ থাকা না থাকার বিষয়ে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেছেন, আমার আশঙ্কা সত্য বলে মনে হচ্ছে। এই বলে মন্তব্য করেছেন " আমার আশঙ্কা সত্য বলে মনে হচ্ছে।"


    আমার অবাক লাগছে এই ভেবে যে, হুমায়ুন আহমেদ তো শাওনের স্বামীই শুধু নন, উনি তো আমাদের সবার!!! প্রথিত যশা এই সাহিত্যিক তো নিজেই স্পর্শকাতর এবং বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখেছেন আর স্পর্শকাতর বিষয়কে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার ব্যাপারেও তিনি ছিলেন একান্ত সিদ্ধহস্ত!এই  ঘটনায় আর  চুপ করে থাকতে  পারলাম না শাওন। তাই  লিখছি  নিজের মনের তাড়নায়।

    নারী হিসেবে আমার একটা গর্ব ছিল আমরা নির্ভিক। কিন্তু তোমার ভয় দেখে আমার বড্ড লজ্জা  হচ্ছে। তোমরা যা করেছো তা সবাইকে জানে।  তবে এখন কিসের রাখ ঢাক ?নিজের বিবেককে যখন ভয় পাওনি  কাকে ভয় পাচ্ছো ? কয় উত্তম সুপ্রিয়ার তো বিয়েও হয় নি। তবুও তাদের ভালবাসা  অমর। সুপ্রিয়া দেবী নিজে বলেছেন ' ইতিহাসে আমি একজন খল নায়িকা হবো জানি।  তবু ভয় পাইনা কারণ আমার ভয়ের থেকে আমার ভালবাসা অনেক বড়'।  

    উত্তমের শেষকৃত্যে সুপিয়া দেবীকে যেতে দেওয়া হয়নি। সেখানে শুধু তাঁর স্ত্রী গৌরী ছেলে ও পরিবার পরিজন। বহু  বন্ধু শুভাকাঙ্খী উপস্থিত ছিলেন কিন্তু এর মাঝে সুপ্রিয়া দেবীর একটুও ঠাঁই  হয় নি। দূর থেকে তিঁনি তাঁর ভালোবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলেন উত্তমকে। তাই তিনি বলতে পারেন "উত্তম আমার উত্তম" সুপ্রিয়া দেবী দেখিয়ে দিয়েছেন তাই তিনি বলতে পারেন "আমার জীবন আমার উত্তম" সুপ্রিয়া দেবী দেখিয়ে দিয়েছেন "বড় প্রেম প্রেম কেবল কাছেই টানে না দূরেও ঠেলে"।
    সামাজিক স্বীকৃতি  তো দূরে থাক !বিধিসারে  উত্তমের সাথে তাঁর বিয়েও হয়নি।  সুপ্রিয়া দেবী একজন প্রীতিভাশীল অভিনেত্রী ছিলেন । উত্তমের সাথে যখন তাঁর প্রেম শুরু হয় ।তখন তাঁর অভিনয় জীবন তুঙ্গে। অনেক দারুন দারুন ছবি করছেন। তার মধ্যে অন্যতম মেঘে ঢাকা, কোমল গন্ধার ,সূর্য শিখা, মধ্য রাতের তারা , বসু পরিবার ,বন পলাশীর পদাবলী,ও চৌরঙ্গি ও হিন্দি ছবি লাল পাত্থার,দূর গগন কি ছাঁও মে, আপ কি প্যেহেচান ও বেগানা প্রমুখ।শুধু বাংলা চলচ্চিত্রেই নয় বম্বে চলচ্চিত্রেও তাঁর দারুন চাহিদা ছিল।জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। উত্তমের বারণ মেনেই হিন্দি ছবির জগত ত্যাগ করেন সুপ্রিয়া। ভালোবাসার মানুষকে আপন করে নেওয়ার পথে সমাজ, সংসারের কোনো বাধাই মানেননি । লোকনিন্দা, অপবাদ সবকিছু মাথা পেতে নিয়ে ভালোবেসে গেছে  উত্তম কুমার ও সুপ্রিয়া দেবী। আইনত বিয়ে করেন নি। কিন্তু তাঁরাপরস্পরের প্রতি  ছিলেন বিশ্বস্ত ।

     দুজনেরই ব্যক্তি জীবনের শূন্যতা থেকে হয়তো, জন্ম নেয় প্রেম। এই প্রেম ছিল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।গৌরী দেবীর সঙ্গে আইনগতভাবে স্ত্রী ছিলেন। তবুও উত্তম সুপ্রিয়ার মধ্যে তিনি খুঁজে পান বিশ্বস্ত বন্ধু, নির্ভরযোগ্য সহকর্মী এবং তার শিল্পী সত্তার অনুরাগীকে। উত্তমের  নারী সহকর্মী, ভক্ত কিংবা উঠতি নায়িকাদের মাত্রাতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাতেও ঈর্ষা বোধ করতেন না সুপ্রিয়া।কারণ তিনি জানতেন উত্তম এদের প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহী নন। এমনকি সুচিত্রা সেনকেও ঈর্ষা করেননি। পর্দায় সুচিত্রা-উত্তমের রোমান্টিক দৃশ্য দেখেও তিনি বুঝতেন সেটা নিছক অভিনয়।উত্তমের জীবনে সুপ্রিয়া ছাড়া আর কোনো নারী যেমন ছিলেন না, তেমনি সুপ্রিয়ারও জীবনে আর কোনো প্রেম আসেনি। এখনও অপবাদ ও লোকনিন্দা মাথায় নিয়ে একাই পথ হাঁটছেন সুপ্রিয়া দেবী।

    শাওন তুমি হুমায়ূন আহমেদের ধানমন্ডির বাসা‘দখিন হাওয়া’য় সংবাদ সম্মেলন করে বল"ডুব’ চলচ্চিত্রে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের‘জীবনীর স্পর্শকাতরঘটনা’থাকার বিষয়ে  আমার   আশঙ্কা সত্য বলে মনে হচ্ছে" ।                                                                                       প্রথমত তোমাদের জীবন কাহিনী কোন রুদ্ধদ্বারের ঘটনা নয়।এটা হাটে মাঠে  ঘাটের ঘটনা। এটা তোমার ঢাকঢোল পিটিয়ে সন্তান প্রসব করে সারা পৃথিবীকে জানিয়েছ। সুতরাং কেউ যদি এই লেখা লেখি করে বা ছবি নির্মাণ  করে,  তাতে আতঙ্কিত হবার কি আছে ?



    এতো নতুন কোন ঘটনা। তুমি কেন এটা নিয়ে এতো লাফালাফি পাবলিক আর সকল প্রচার মাধ্যম মাতাচ্ছ? গুলতেকিন যদি কিছু বলতো বা বলে তার গ্রহণ যোগ্যতা আছে। অথচ আজ অবধি সে একটাও কথা বলেনি যা তাঁর শিক্ষা দীক্ষা ও পারিবারিক মর্যাদার বিরুদ্ধ।
    জন সাধারণ ও মিডিয়া আকর্ষণ সস্তা প্রসিদ্ধি (publicity) লাভের জন্য এতটা নোংরা জল ঘেঁটো না। শাওন!!! তোমার আতঙ্ক বা ভয় কিসের? তুমি যা চেয়েছো সব নিয়েছো কেড়ে।

    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    15 comments:

    1. এত নগ্ন সত্য যা কেউ বলেনি সাহসের অভাবে সানজীদা BraVo

      ReplyDelete
    2. সানজিদা অনেকে ভাবে কিন্তু বলতে পারেনা ধন্যবাদ

      ReplyDelete
    3. শাওনের লজ্জা বা আতঙ্ক কোথায় ছিল ? যখন বান্ধবীর বাবাকে বিয়ে করছিল এখন তামাশা সানজিদা ধন্যবাদ অনেক

      ReplyDelete
    4. একজন বরেন্য ব্যক্তির স্ত্রী নিয়ে এমন আপমানজন কথা লেখার জন্য সানজিদা রুমীকে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ

      ReplyDelete
    5. তানিয়ার আঁতেতো ঘা লাগবেই শাওনের বিরুদ্ধে কিছু বললে ..এখন শাওনের পাল্লা ভারী

      ReplyDelete
    6. আমি তিশার সাথে একমত. চোরে চোরে মাশতুত ভাই সানজিদা দারুণ লিখেছো...

      ReplyDelete
    7. সানজিদা দুর্লভ ছবিসহ হুমায়ন আহমেদের জীবনের যে ছবি দেখালো ..ডুব ' আর কি দেখবে ? '

      ReplyDelete
    8. প্রতিদিন সকালে উঠেই আলোক বেখায় যাই ...আজকের লেখাটা সানজিদা ফাটাফাটি যায়গামত

      ReplyDelete
    9. শাওন নিজেও একজন গুনি মেয়ে .তার কাছ থেকে এই নোংরামী আশা করা যায়না সানজিদার সুপ্রিয়া ও উত্তমের তুলনা দারুন এক উপমা

      ReplyDelete
    10. যত যাই হোক একজন কিংবান্তি লেখকের জীবনের কথা এভাবে প্রকাশ করা ঠিক না .সানজিদা রুমীর এটা ঠিক হয়নি

      ReplyDelete
    11. তোশামদ করতে ভালবাসে সত্য কথা বলার সাহস নেই এই মিডিয়াতে. যদি কাজ না পায় .আমরা পারি সানজিদা কারন কাজে বিশ্বাসী

      ReplyDelete
    12. সানজিদা তোমার লেখা বরাবরই আমার ভাল লাগে। আমি নিয়মিত তোমার পাঠক। এবারের একটাও খুব বিশ্লেষন ধর্মী খুব ভালো লিখেছো

      ReplyDelete
    13. রুমি আমি কিন্তু তোর নিয়মিত পাঠক। খুব ভালো লিখিস তুই বিষের করে উপমা আর ছবি দিয়ে লেখা নতুন সংযোজন। আরো ভালো লেখ !

      ReplyDelete
    14. মানষের ঘরে আগুন দিয়ে শান্তিতে ঘুমায় কেমন করে?চোরের মায়ের বড় গলা সানজিদা

      ReplyDelete
    15. শাওনের জীবনে কাহিনী সবার জানা কিন্ত সানজীদা যেভাবে পরিবেশন করেছন দারুন লেগেছে .অনেক ধন্যবাদ

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ