আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও না, আমি ৭১'র মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি, ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    না, আমি ৭১'র মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,



    না, আমি ৭১' মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
    হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী--শুধু দেখেছি---
    বিখণ্ডিত মানুষের  লাশ ভেসে যাওয়া শকুনে খাওয়া।
    শুনেছি বেয়োনেটে গাঁথা শিশু ও  ধর্ষিতা নারীর ক্রন্দন
    দেখেছি শাশুড়ির পুত্র হারানোর  আর্তনাদ  গর্জন।
    অকারণে তাঁর দলিত রোষ, ক্রোধের আগুন 
    দেখেছি ষোড়শী এক নব পুত্রবধূর দাহন।
    না, আমি ৭১' মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
    হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী।.......
    দেখেছি আগুনে পোড়া এক  বিধ্বস্ত  বাংলাদেশ অভিতপ্ত
    ওই স্তূপে একটি পরিবার ধিকি ধিকি জ্বলে প্রতিনিয়ত
    আমিও নির্বিণ্ণ পুড়েছি  সেই চাপা আগুনে অনুক্ষণ 
    পারিনি বুঝতে অন্তর্নিহিত এই  নিকৃতি, অশোভন আচরণ।
    না, আমি ৭১' মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
    হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী।.......
    ভুলিনি পাক সেনাদের বেয়োনেটে গাঁথা 
    শিশুর চিৎকার আর গ্রেনেডের গর্জন
    শুনি  ঘুমন্ত স্বামীর বুকে মাথা রেখে 
    মেশিনগান আর বুলেটের স্পন্দন।
    শুনেছি স্বাধীনতার যুদ্ধের  গল্প সারা রাত বাসর রাতে
    উত্তেজনায় শিহরণে দেখেছি তাকে বারংবার কাঁপতে।
    নয় সে নব বধূর চুলের সোঁদা সুরভী 
    বা লজ্জা পুলকিত হৃদয় স্পন্দনে   
    ফেলে আসা যুদ্ধের স্মৃতি 
    কামান আর বারুদের  ঝাঁঝালো গন্ধে।
    আজও  যখন সে কাছে আসে চোখ বোঝে
    নিবীড় আলিঙ্গনে অধর রাখে অধরে
    ক্ষণিকে চমকে ওঠে গলিত লাশ আর নিজ হাতে মারা
    পাক সৈন্যের মুখ মনে পোড়ে।
    এভাবেই পেরুচ্ছে  জীবন আজ পয়তাল্লিশ ধরে 
    একটি স্বাধীনতা  যুদ্ধ বিদ্ধস্ত পরিবার সঙ্গে করে।
    নাআমি ৭১' মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
    হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী।.......
    তাজা প্রাণ আর  কত শত সম্ভ্রমের  মূল্যে
    পাওয়া  আমাদের স্বাধীনতা
    কেন  রাজাকারদের গাড়ির বহরে উড়েছে 
    লক্ষ বাঙালির রক্তে অর্জিত পতাকা।
    বাংলার মাটি ছাড়তে হবেই শোনো রাজাকার
    দণ্ডিত হবে যেতে হবে  নির্বাসনে----
    জামাত -শিবির নিষিদ্ধ না  হলে 
    শান্তি পাবে না কোন শহীদ মায়ের প্রানে।  




    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    10 comments:

    1. এক ষোড়সী নব বধু ও যুদ্ধের যন্ত্রনার স্বীকার ..সানজিদা দারুন উপলব্ধি মর্মগ্রাহী. খুব ভাল লেখ তুমি শুভকামনা

      ReplyDelete
    2. আজকে সকালে এত সুন্দর একটা কবিতা post করার জন্য দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জামাতশিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমরা কঠিন পরিশ্রম করছি এই সময় আপনার এমন একটা লেখা আমাদের সাহস আরো বাড়িয়ে দেয় |দিদি আরো ভালো লিখেন জয় বাংলা

      ReplyDelete
    3. দিদি এত সুন্দর সরল ভাষায় তুমি পুরো স্বাধীনতার যুদ্ধকে একটা মেয়ের জীবনী দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে দারুন দিদি দারুণ ভাল থেক | ডাল লেখো

      ReplyDelete
    4. একটা ষোড়শী মেয়ে কি বোঝে ?কিন্তু ওর জীবনটাই যে যুদ্ধের আগুনে পুড়েছে কি দারুন চিন্তাধারা খুব ভাল লাগছে পড়ে আপনাকে ধন্যবাদ ও ভালবাসা

      ReplyDelete
    5. চমৎকার অনুভূতির অভিনব প্রকাশ

      ReplyDelete
    6. সানজিদা রুমির লেখা আমার এর প্রিয় কারণ উনি সহজ ও সরল ভাষায় আপন বক্তব্য এমনভাবে ফুটিয়ে তোলেন যেন যেন জীবন্ত ছবি।

      ReplyDelete
    7. আমি জানি রুমি কি ধ্যৈর্যের সাথে তুমি এই পরিবারটাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলে ,তুমি বলেই তা সম্ভপর ছিল। তুমি এই পরিবারটার শেকড়। অনেক ভালো থেকো।

      ReplyDelete
    8. আজকের এই বাংলাদেশে এমন শক্তি শালী লেখা র খুব প্রয়োজন যে করে হোক জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে আপনার সাথে সাথে আমার ও এই দাবিতে সোচ্চার জয়বাংলা”

      ReplyDelete
    9. তোমার এই লেখাটা পরে সামাদ ভাইয়ের আর খালাম্মার কথা খুব মনে পড়ছে। তুমি যে মহৎ এক উদ্যোগ নিয়েছে সেই জন্য তমাকে অনেক সাধুবাদ জানাই। সবাই আমরা অনেক বড় বড় কথা বলি কিছু কি করি? তোমার আলকরেখার মাধ্যমে এক্তি পরিবারের ত্যাগ প্রেন বিসর্জনের কথা দেশবাসি জানবে। এই ভাবে জিদু এই শহিদ মুক্তি যদ্ধা পরিবারের এক্তুও ঋণ শধ করতে পারি। অনেক ধন্যবাদ রুমি তোমাকে ।আর আলক্রেখার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ,ভাল থেক । জয় বাংলা লুবনা মরিয়াম

      ReplyDelete
    10. সবাই আমারা লিখি কল্পনায় ভর করে অন্যের উপমা দিয়ে। কিন্তু তুমি সব সময় নিজেকে নিয়ে লেখ তা আমরা করিনা বা পারিনা ।সাহস বা রসদের অভাব হয়তো ,তাই তমার লেখা আমার ভাল লাগে। ক্লাসে শুধু নাচ আর নাচ এর জন্য কত বকা দিয়েছি । বকা কাজে লেগেছে আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি তোমার শিক্ষক। অনেক ভাল থেক ! সুন্দর থেক !

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ