আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও কোন এক জন্মতিথি'তে. ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    কোন এক জন্মতিথি'তে.


    কোন এক জন্মতিথি'তে.

    ----আনিনা তাহিন নেভিলা

    অন্দরমহলায় ঢুকতে না পারার খেদ,
    আজন্মকাল চিতায় তুলছে আমায়।
    প্রতি রাতে,এবং মাঝে মাঝে নির্জন দুপুরে-
    কড়া নাড়ি- খটর..খট, খটর...খট।
    আওয়াজ আসে না! কেউ নেই নাকি?
    ওরে… আমি পূর্ণিমা- তবুও ডাকি।


    আওয়াজ আসে না।
    মরে গেছে নাকি?
    নাকি জন্মই হয়নি আজ অব্দি কারো!
    তবে যে সবাই বলে তারাও ভিতরে ঢুকেছিল!
    কেউ কেউ তো বলে, দেখেছে পুরোটাই!
    পুনরায় কড়া নাড়ি- খটর খট, খটর খট।

    দূরে গিয়ে দাঁড়াই। অবলোকন করি-
    আরো কেউ আসে কিনা সেই দরজায়।
    অন্য কারো ডাকে যদি সাড়া দেয়, দোর খোলে,
    আমিও ঢুকে যাব লুকিয়ে গুপ্তচর হয়ে।

    কি আছে ভেতরে! কতোখানি ঋদ্ধি হৃদয়,
    কতোটা তাতে রক্তজবা ফোটে।
    হাতে তুলে নিয়ে বলবো- আমি পূর্ণিমা।
    এই দ্যাখো- হিরকখচিত আলো! অণিমা!
    গালে গাল ঘসবো, খসর খসর।
    ছুঁড়েও ফেলে দিতে পারি, আতঙ্কিত হয়ে।
    হয়ত ভিতরে আছে দু’মুখো সাপ,
    কিংবা নাগকেশর! 

    নাহ! সাড়া আসে না। তবে যে ওরা বলে-
    ওখানে দিনে রাতে ভীষণ শব্দ হয় বড়!
    সীমান্তবর্তী অশান্তি। তোলপাড় হয়,
    শোনে চিৎকার। অথবা পবিত্র বাণী।

    এই বোধ- ভিতর বাহির সব দেখতে চায়,
    পাঁজরের ভিতরের নগ্নতা ছোঁবে সে,
    ফুসফুসের বেষ্টনী ভেদে শুশ্রূষার স্পর্শ প্রয়োজন।
    অতঃপর হাত গলিয়ে দিয়ে টেনে বার করতে চাই-
    আমাকে। এই জ্যামিতিক ভালো-মানুষী আমিটাকে।
    নিজস্ব হিসেবে দেখার সাধ আদি আজীবনের!

    একটা অকাট্য ঘন বুননের কালো রাতে-
    বের করে নিয়ে আসতে চাই উন্মাদের বেশে।
    শ্মশানঘাটে বসে একে অপরকে খুলে দেখবো,
    ক্ষত,পোড়া, অসংখ্য দাগ, অনাহার!

    নাকি সে একটা যুদ্ধ জাহাজ?
    মদিরায় নত হতে গিয়েও, উঠে দাঁড়ায় কিনা ফের?
    মুখাগ্নি দেওয়ার ঠিক আগে সে কি বলবে -
    ভোরের আযানটা শুনে নিই আগে। কেঁদে নিই কিছু।
    তাকে পাঠ করবো। গালমন্দ দেবো। তারপর -
    বাদামের খোসা ছাড়াবো, দেবো- ফুঁ মন্তর বুকে।

    সুতরাং, অনবরত ধাক্কা দিই দরজায়।
    কেউ নড়েচড়ে বসে না। হৃৎপিন্ডের শব্দ পাইনা।
    অথচ এই ধমনীতে নাচে তৃষ্ণা!
    একবার ভালো করে দেখা দরকার আমার-
    নিজেকে। ভিতরে ঠিক কতোটা অন্ধকার?
    কতোখানি গ্লানিবোধ পুষি রোজ? নাকি-
    জল ঢালি কুচক্রী মতবাদে?


    জোরে জোরে ঘাই দিই আবারো,
    আর নয়- খটর... খট। এবার হুঙ্কার!
    দরজা খোলো- আমি পূর্নিমা।
    ভিতরে তুমি কি মৃত! নাকি, জন্মাওনি আজো!
    আমাকে দেখাও খুলে। অথবা জানাও-
    আমি-ও কি তোমার মতো মৃত?
    আমাকে বলো- খারাপ হলে খারাপ,
    ----- ভালো হলে সেও ভালো।

    http://www.alokrekha.com

    7 comments:

    1. আমার প্রিয় কবি আনিনা তাহিন নেভিলার কবিতা। আমি অভিভুত !বরাবরের মতই দারুণ শব্দ ভাব ভাষার ব্যবহার ।আমার কাছে খুব প্রণয় আবেগময় লেখাছে , কবি অনেক ভালবাশা

      ReplyDelete
    2. আমি আলকরেখার কাছে প্রস্তাব রাখতে চাই যদি আনিনা তাহিন নেভিলার কবিতার আলাদা বিভাগ করা হোক। আমি আনিনা তাহিন নেভিলার কবিতার ভক্ত পাঠক। আমি এই কবিতাটা আগেও পড়েছি ।কিন্তু আবার যখন পরতে গেলাম আর খুজে পেলাম না। আলকরেখাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে আরেকবার পড়ার সুজগ করে দেবার

      ReplyDelete
    3. বেশ লাগলো
      দারুন চিত্রকল্প
      চমৎকার শব্দের খেলা

      ReplyDelete
    4. কোথায় সুপ্ত ছিল এই রত্নভাণ্ডার ? কি দুরভাগা আমি কেন তা তালাশ করিনি এতদিন ? ধন্যবাদ আলকরেখা! আজই আমার প্রথম প্রবেশ আলক রেখার মহলে । আর প্রবেশ দ্বারেই পেয়ে গেলাম এই মনিহার ।ধন্য আমি! ধন্যবাদ কবি আনিনা তাহিন নেভিলার

      ReplyDelete
    5. তানিনা আপু আমি তমার কবিতা আলক রেখায় যতগুলি প্রকাশিত হয়েছে পড়েছি। কবিতা পরতে আমার খুব ভাল লাগে। আমি তমের কবিতা সবটা বুঝি না।তবে পরতে আব্রিতি করতে খুব ভাল লাগে। তুমি আমাদের জন্য এক্তু সহজ করে এক্তা কবিতা লিখবে? কন প্রেশার নেই তমার ইচ্ছে হলে ।অনেক শুভেচ্ছে আপু ।

      ReplyDelete
    6. প্রিয় অয়ন, আমি খুব কম লিখি। সব সময় লেখা আসেও না। যা লেখি তা আমার আমিকেই হয়ত তুলে ধরে। আমি মূলত কবিতা লেখার জন্য লিখি না। কবিতাই আমাকে দিয়ে নেজেকে লিখিয়ে নেয়। এ এক ভিন্ন অনুভূতি।
      আমার চেষ্টা থাকবে সহজ কিছু লেখার। আলোক্ রেখা'তে আমার লেখা জমা দেওয়া আছে। সেখানে সহজ কিছু আছে সম্ভবত। এক সময় পেয়ে যাবেন। আমার লেখাগুলো আমি বড্ড বেখায়ালে লিখি। এই বেখায়ালি লেখাঁগুলো ভালোবেসে সবাই পড়ে দেখে আমি নিজেই যারপর নাই অবাক। সবাইকে আমার অন্তর হতে কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। আপনাদের মতো অসাধারণ পাঠকদের জন্যই আমাদের সাহস বেড়ে যায় ভালো কিছু লেখার আশায়। প্রতিটি অক্ষরের মতো সুন্দর হোক প্রতিটি মুহূর্ত।

      ReplyDelete
    7. কোন এক জন্মতিথি'তে.----কি দারুন লেখনী শক্তি। দুর্দান্ত শব্দ প্রয়োগ। আমি বহুদিন এমন বলিষ্ঠ কবিতা পড়িনি। অনেক শুভাশীষ।আনিনা তাহিন নেভিলার এই কবিতাগুলোই একদিন সবার কণ্ঠে উচ্চারিত হবে। এ আমার বিশ্বাস।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ