আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও শুভাশীষকে চিঠি' ......………. মুনা চৌধুরী ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    শুভাশীষকে চিঠি' ......………. মুনা চৌধুরী



    শুভাশীষকে চিঠি'                                                                            
    ........………. মুনা চৌধুরী

    আবার লিখছে.
    নিলীশ্বরী লিখে চলছে.
    সংসার, সন্তান, কোর্ট রুম, ক্যাম্পাস, আর্ল গ্রে'র সাথে সাথে লিখে চলছে কথার লিরিক  'শুভাশীষকে চিঠি'.
    আলোর মত, রোদের মত, কথার স্রোতে ভাসছে.
    স্রোতে ভাসছে সাদা রাজহাস.
    ভাসতে দাও .........


    শুভাশীষ,
    I am dancing on the sea. There is no shoreline …… রাজা আলেম এর উপন্যাসের ফাতেমার মতই আজকে আমি। 
    বহুকাল পর অদ্ভূত একটা দিন কেটেছে  আজ।  সকালবেলা দেরী হচ্ছে জেনেও নরম রোদটা গায়ে মেখে ফুরফুরে মেজাজে গাড়িতে উঠলাম. আজ সকালে চেম্বার ছিল না, ক্লাস নেবার ছিল।  আমি কখনই ক্লাস এ দেরী করে যাইনা, আর এ বেপারে বেশ সুনাম আছে আমার।  কিন্তু আজ যে কারণেই হোক কোনো আক্ষেপ ছাড়াই গুন গুন করে গান গাইতে গাইতে দেরী করে ক্লাস্সে ঢুকলাম। ছাত্রেরা ভীষণ ভালবাসে আমায়, আর আমিও ভিষণ ভালবাসি ওদের।  ওদের সাথে আমার বন্ধুত্বটা এমনই যে বয়সের ব্যবধানটা মাথায় আসেনা কখনো। 
    কাল বিকেলে তোমার চিঠি পেয়ে আমার সবকিছু যেন থমকে গেল।  জন্মান্তরের কথা নয়, শুধু ১৯ বছর আগের কথা।  মাত্র ১৯ বছর আমি যেন যুগান্তরের ঘুম ঘুমিয়ে কাল বিকেলে জেগে উঠলাম।  হাজার প্রজাপতি পাখা মেলেছে আমার চারপাশে, পায়ে আমার ঘুঙ্গুর বাজছে, আমি হঠাৎ করে কিশোরী হয়ে গেলাম।  ২০১৬ সালে আমি আবার ১৯৯৭ সালে ঢুকে গেলাম।  আমার ভেতর সেই ১৯৯৭ সালের আমি - fluttering, thrilled and ecstatic.

    আচ্ছা বলত, দান্তে কি ভেবেছিল বিয়াত্রিচের সাথে ওর আবার এক জনমে দেখা হবে?  কিন্তু ওদের তো দেখা হয়েছিল বিয়াত্রিচে যখন ভূত হয়ে স্বর্গে গেল। আর ন হন্যেতে অমিতার সাথে মির্চার ৪৩ বছর পরে দেখা হয়েছিল।  তোমায় নিয়ে আমিও এজাতীয় কিছুই এতকাল ধরে ভেবেছি।  শুভ্র সাদা চুল নিয়ে অথবা ভূত হয়েই তোমার সাথে দেখা হবে আবার।  তুমি হাসছ? এভাবে তুমি হঠাৎ একদিন খোজ নেবে আমার, ভাবিনি কখনো। 
    ভয় পেয় না. আমি ভাঙব না। I will not break down when I have been so brave for so many years. মায়ের জাতটাকে বোঝো? আমরা জানি কিভাবে নিজেদের ধরে রাখতে হয়। 
    অনেক মানুষ থাকে যারা অন্যের জীবনে আলো ফেলে, পথ চিনতে শেখায়, অনেকটা লাইটহাউস এর মত।  তুমিও তাই ছিলে আমার।  তুমি আমায় পৃথিবী চিনতে শিখিয়েছিলে। 
    আমি খুব ভালো আছি.
    তুমি ভেবনা আমায় নিয়ে।  সারা চিঠিতে শুধু আমার কথাই জানতে চাইলে।স্বামী আমার ভালো মানুষ আর সন্তানেরা তো গোলাপের বাগান। এরপর ও অন্ধকার রাতে কেন জানি আকাশের নিচে দাড়িয়ে থাকি, 'আকাশভরা তারার মাঝে আমার তারা কই?'
    তুমি ভালো আছ তো?
    Drenching myself in bittersweet nostalgia, so paralyzingly sad yet so hauntingly beautiful.

    নীলিশ্বরী
    ২২শে জানুয়ারী ২০১৬,
    ধানমন্ডি, ঢাকা




    নীলিশ্বরী,

    তুমি ভেসে বেড়াও আলোর সমুদ্রে শুভ্র জলপরী হয়ে। 
    আমিও যে একেবারে বালক হয়ে গেলাম।  ইমেইল খুলে রাখি কখন তোমার খবর আসবে, কিছুটা হাসফাস কারণ অকারণে।  খুব ভালো লাগলো তোমার স্বামীর কথা শুনে আর মেয়েদের ছবি দেখে।  তুমি তিন কন্যার মা, ভাবতেই যেন কেমন লাগে।  যদিও নন্দিনী আর লাবন্যরা মা হলেও ওরা নন্দিনী আর লাবন্যই রয়ে যায়। 
    কিন্তু একটা কথা শুনে বেজায় মন খারাপ হলো। বলতেই হচ্ছে, তোমার এখনো সেই আগের মতই পালিয়ে বেড়ানোর স্বভাবটা রয়ে গেছে. চেম্বার, ক্লাসরুম, আরবিট্রেশনে ছোটাছুটি করে সংসারে সময় দাও কতখানি? পালিয়ে বেড়াবে আর কতকাল? গান কর? আর পিয়ানোতেও জানি ধুলো পড়েছে, ছুয়ে দেখো? আমি জানি এই অর্থহীন জীবনে অর্থের পেছনে ছোটাছুটি তোমার কোনো কালেই ছিল না, কিন্তু তবুও বলবো এবার একটু বিশ্রাম নাও. আগামী চিঠিতে অবশ্যই কথা দেবে, এবার বিশ্রাম নেবে, মনটাকে শান্ত করবে। 
    আমার কথা কি বলব আর? ব্যাঙ্কারদের একঘেয়ে জীবন. সকাল সন্ধা সপ্তাহে পাচ দিন একই রুটিন. বাড়ি কিনেছি টাওয়ার হিলএ, একদম সেন্ট্রাল লন্ডন. সবাইকে নিয়ে এই গ্রীষ্মে বেড়িয়ে যেও. টিউব থেকে মাত্র পাচ মিনিটের হাটার পথ. আমার আর জুলিয়ার অফিসে যাবার খুব সুবিধে, সেইসাথে আমাদের যমজ ছেলে দুটোর স্কুল ও কাছাকাছি. ছেলেরা এ লেভেল দিচ্ছে আর মজার বেপার হলো তোমার মতোই দুজনার উকিল হবার ভীষণ ইচ্ছে.
    কাজ সেরে, রোজ সন্ধ্যায় এখনো চলে বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি. কোথায় জানো? তোমার প্রিয় কভেন্ট গার্ডেনে. এখনো সেই আগের মত প্রত্যেক সপ্তাহে আমার মিউসিকাল অথবা থিয়েটার পাড়ায় যাওয়া চাই ই চাই. মনে আছে তোমায় নিয়ে আমি প্রথম 'মিস সাইগন' দেখতে গিয়েছিলাম. তোমার চোখ মোছার জন্য টিসু পেপার গুলি আমাকেই দিতে হচ্ছিল. আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম তোমার শিশুসুলভ ছলো ছলো চোখ. সেই কান্না নিয়ে কত ঠাট্টাই না করেছি সেদিন. তুমি কি এখনো উপন্যাস পড়ে অথবা সিনেমা দেখে, আগের মতোই চোখের জলে ভাসো?
    দেশ ছেড়ে আমি এতদুরে থেকে গিয়ে ভালই করেছি. এখানে কাজের স্বাধীনতা আছে আর জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে রাজনীতি নেই. আমি জানি তুমি হাসছ, প্লিজ হেসো না. সুতরাং আমার কাজে আমি তৃপ্ত. সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলিতে বাড়ির টুকিটাকি কাজ সেরে ছেলেদের নিয়ে জুলিয়া আর আমি ঘুরে বেড়াই. জীবনের কোনো কিছুতে আক্ষেপ নেই আমার কিন্তু যখন রাত বাড়ে, একটা অদ্ভূত নির্জনতা আমায় ঘিরে ধরে. আমি একটা হাহাকারের নির্জনতায় ডুবে থাকি, কেন জানিনা. হাহাকারের সেই নির্জনতা Mozart এর Requiem এর মতো. অনেকে বলেন  মোজার্ট নিজের শেষকৃত্য কল্পনা করে সুরটা গেথেছিলেন আর ওটা ছিল তার সর্বশেষ সৃষ্টি..  My silence, my hollowness, has the same  horrifying turbulence like  Requiem.  I have been a hollow man all my life and it is the exact same state that I still live today.
    তুমি লিখেছ, তোমার জীবনে আমি লাইটহাউস এর মত, আমি তোমায় পৃথিবী চিনতে শিখিয়ে ছিলাম. তোমার মনে আছে আমি তোমায় বলতাম, ‘I am a terrible guide’ আর তুমি হেসে বলতে, ‘I don’t mind getting lost with you’. তুমি আমার জীবনে কি ছিলে, জানো? ধুমকেতুর মত আমার জীবনের পথচলায় এসে, আমায় পূর্ণাঙ্গ মানুষে রূপ দিয়ে চলে গেলে.
    You fell from the sky, literally. You came for a brief period; you left conquering whole of me.
    কেন, কি কারণে আমরা দুজনকে দুজন দুরে ঠেলে দিয়েছিলাম সে প্রসঙ্গটা না হয় নাই টানলাম.
     এবার খুব জরুরি কিছু কথা বলব, মন দিয়ে শুনবে. রুমি আর শামস এর খন্ডকালীন বিচ্ছেদের পর যখন ওদের আবার দেখা হলো, দুজন দুজনার পায়ে আছড়ে পড়েছিলেন. সবাই অবাক বিশ্ময়ে দেখছিলেন, no one knew who was the lover and who was the beloved.
    Love repeats in variations of many forms tearing alchemists of pleasure, pain, metamorphosis, nothingness, formlessness, rejuvenation and repeats like a chain reaction. Love has no beginning and no end.
    “A nightingale falls in love with the Rose. The whole love affair begins with just one look from God” ….. Yunus Emre নামের এক তুর্কি সুফী কবি বলেছিলেন.
    তুমি চিরদিন রবিঠাকুরের লাবন্য হয়েই আমার পৃথিবীতে বেচে থেকো.

    শুভাশীষ,
    ২৪ শে জানুয়ারী,২০১৬
    টাওয়ার হিল, লন্ডন

    Dear Hollow Man,

    আমার চোখ ভিজে যায়. আমার চোখ এখনো ভিজে যায় সময়ে, অসময়ে. আমার এই কলমটা যেন থেমে না যায় কখনো. আমি যেন তোমায় লিখে যাই অনন্ত কাল ধরে. Moving on doesn’t really change any truth. People move on for peace. Then again, do they find peace at the end?
    যাহোক এবার তোমায় তোমার জাগতিক প্রশ্নের উত্তর দেই. বারিস্টাররির পাঠ চুকিয়ে কোর্ট এ যেতেই হয়. সেই courtroom drama, hostile witness, test of veracity না থাকলে একজন ব্যারিস্টারের জীবন অনেকটা অর্থহীন! কিন্তু সেই সাথে এটাও সত্যি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রভাষকরা সবুজের গানের সাথে বেড়ে ওঠে. যদিও অন্য সব কর্মক্ষত্রের মতোই সেখানোও থাকে হীনমন্যতায় ভরা নোংরা রাজনীতি! জীবন থেকে আমার এটাই শেখা, হীনমন্য মানুষ আর তাদের হীনমন্য মানসিকতার মধ্যেই আমাদের শুদ্ধতা খুঁজে নিতে হয়. অন্ধকার আছে বলেই আমরা প্রতিদিন সকালের পবিত্র আলোয় আমরা আলোকিত হতে চাই. তাই জায়গা পাল্টেছি. তুমি বলতে ‘you will find your own kind’. আসলেই আমরা নিজেদের মতো মানুষ খুঁজে পাই আর খুঁজেও নেই. আরো একটা ধ্রুব সত্য হলো, সবুজের সাথে হই হুল্লোর আর যৌবনের গান শুনে আমি বেড়ে উঠি প্রতিদিন. এই মধ্য বয়সে সবুজ আমায় ঘিরে রাখে সারাক্ষণ. নবীনদের মধ্যে না থাকতে পারলে আমি অনেক আগেই মরে যেতাম. আমায় ওরা বাঁচিয়ে রেখেছে.
    ঠিক ধরেছো, পিয়ানো তেমনটা বাজানো হয়না আগে যেমনটা হতো, তবে মাঝে মাঝে ঝড়ের রাতে দুয়ার খুলে বাজাই. আর গান? সেটা তো বন্ধই থাকে, শুধু বাবা ডাকলে বাবার সাথে গাই রবিঠাকুরের গান. তবে আজকাল আমি লালন গাই বেশি. “আমি একা রইলাম ঘটে/ মানুষে বসিল তটে/ আমি তোমারে নিয়ে ঘোর সংকটে/ না দেখি উপায়/ পাড়ে লয়ে যাও আমায়”. মনে হয় লালন আমার জন্যই লিখেছিলেন কথাগুলি. আমি তো চিরকালের বাউল মানুষ. না ঘরের না ঘাটের, না শশুরকুলের না মায়ের কুলের. হন্য হয়ে পালিয়ে বেড়াই সমাজ, সংসার আর নিয়মের জঞ্জাল থেকে. My recluse bohemian soul drifts around restless, it wanders around aimless. 
    তুমি বারবার বলেছ মনটাকে শান্ত করতে. কিন্তু তুমি কি জাননা, যে এই মনটা আর কখনোই শান্ত হবার নয়?
    তবে আজকাল আমি আরো একটা অন্য মানুষ হয়ে যাচ্ছি. আমার জীবনে এখন হেমন্ত কাল, ঝরাপাতার সময়. সেই কবে তরুনি বেলায় হেমন্তের লাল, কমলা, সোনালী আভার মেপল পাতা আনন্দ আর উচ্ছাস এনে দিত আমার প্রাণে. বই এর পাতায় পাতায় জমাতাম সেই সব ঝরাপাতা. তুমিও কত নিয়েছ আমার বই খুলে. স্প্রিং আসলেই আমাদের মেপল গাছের নিচে বসে গল্প করা! মনে আছে তোমার? সেই Lincoln’s Inn এর গুরু গম্ভীর দালানগুলির পাড় ঘেষে দাড়িয়ে থাকা লম্বা লম্বা মেপল গাছের সারিগুলি.
    কিন্তু এখন হেমন্তের বিষন্নতা আমার দুয়ারে কড়া নাড়ে. কুয়াশার ভেজা ঢেকে রাখে আমার সমস্ত অস্তিত্ব, প্রশ্নবোধকতার আর দ্যার্থকতার কুয়াশা. মুগ্ধ, বিমুড়, প্রশ্নসংকুল হয়ে ছুতে চাই অবিনশ্বর এর জগত. “সেই জায়গায় পৌছুতে হবে যেখানে ছায়ারাও অদৃশ্য, দৃষ্টির অগম্য আর সেইখানেই বিধাতার ঘর”; তোমার প্রিয় রুমির লাইন. মৃত্যু ছায়া ফেলেছে আমার মনে. কে যেন বাজাচ্ছে ঘন্টা ঢং ঢং ঢং ..... ফেরার ঘন্টা.
    আমাদের কি আবার দেখা হবে? আবারো, প্রত্যাবর্তনে? Beyond the illusions of life lies a field where I would meet you once again. Where ideas of right and wrong would seem insignificant, where our souls would lie down, side by side, on the grass making the world too full to talk about যেমনটা তোমার প্রিয় রুমি বলেছিলো.
    তুমি যেমন শান্তির খোজ পাও রুমি, বাহাউদ্দিন, জিবরান, শামস, খসরু আর হাফিজ এর কবিতায়. তেমনি আমিও শান্তির খোজ পাই কোরানে. আমি দাদীর মত শেষ প্রহরে জায়নামাজে সুর তুলি কোরানের বিশুদ্ধ পঙতিমালা - বাকারা, আর রহমান, ইখলাস, মুমিনীন. কেন জানি মনে হয় তুমি শুনছ আমায়, অবাক বিশ্বয়ে, পিনপতন নিরবতায়. ঢেকে দিচ্ছ আমায়, তোমার আশির্বাদে.
    May be this is the definition of peace for me. I searched and searched for peace for so many years in so many places, doing so many things but I couldn’t find peace until I learned to hold Quran in my heart.
    আমার চোখ ভিজে আসছে আবার. ভীষণভাবে ভিজে আসছে. ভালো থেকো.

    নীলিশ্বরী
    ১লা ফেব্রুয়ারী  ২০১৬,
    ধানমন্ডি, ঢাকা

    PS have you find peace after all?

    নীলি,

    একটা প্রতিজ্ঞা এখনই করে ফেলি. এভাবে আমাকে আর চিঠি লিখলে উত্তর পাবে না, কখনো, কোনোদিন পাবে না. You have your freedom and rest of the world has its own. আমি আর কাউকে কিছুই বলিনা, যেমন কার কি করা দরকার অথবা কার কি শোভনীয়. তাই তোমাকেও বলবোনা তুমি কি  করবে, কি বলবে অথবা কি ভাববে. আর হ্যা, যেমনটা তুমি বলতে আমি নিজেকে বাক্স-বন্দি করে ফেলেছি তবে তোমায় করেছি মুক্ত. I have boxed myself but let you free.
    আর শান্তির কথা বলছো? ‘Peace’ শব্দটা জগতের জন্য নয়. ওটা যেখানে আমরা পাবো সেটা সেই জায়গার জন্যই নাহয় তোলা থাক. গোলাপের ক্ষেত, জলপাইয়ের বাগান, বেলি ফুলের দেয়াল – সেই জীবন যার কোনো শেষ হবেনা কেননা  জীবন সেখানে জমাট বাধবে একখণ্ড রুপোলি ভোর.

    শুভ
    ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৬
    টাওয়ার হিল, লন্ডন

    শুভাশীষ,

    তুমি সেই আগের মত. একেবারেই আগের মত. কঠিন, হৃদয়হীন, নিষ্ঠুর. তুমি এখনো পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম মানুষদের মধ্যে একজন. এখনো তুমি তোমার বিচারের রায় এক মুহর্তে, এক বাক্যে দিতে পারো. I don’t have freedom anymore. Long time back I have entirely surrendered myself to The Beloved. My beloved, my Almighty holds my freedom.
    তুমি কি বুঝতে পারছো না যে আমার কাছে রং এর পৃথিবী ফিকে হয়ে আসছে ঝরাপাতার কাল. সবার মাঝে থেকেও আমি একা. আমার একান্ত জীবন, নিরাবরণ নিজত্ব্, নিজস্ব নৈঃশব্দ আর বারবার সেই একই পৃথিবীতে ফিরে যাওয়া. যে পৃথিবী ছিল সৃষ্টিক্ষম, মিথ-অনুশাসিত, ঐশ্বর্যের পদচিন্হে আকা, পাষান সৌন্দর্যে আপ্লুত. যে পৃথিবী ছিল শুধু আমাদের. যে পৃথিবীতে ছিল শুধু আমাদের জীবনাচরণ, মানষযাত্রা, মূল্যবোধ .... আমাদের মৌথুন. অলীক শিশুরা যেখানে খেলা করত, দেবতার বেদিতে ওরা বেড়ে উঠত. ওখানেই বয়েছিল পৃথিবীর প্রথম বাতাস, প্রবল বাতাস, প্রানদ বাতাস, জন্মেছিল প্রথম লাভার সন্তান. ‘It is here that the High One, the living wind, the first wind/ established his home, folded his wings, dwelled/ until the roots were born’ ঠিক যেমনটা Neruda লিখেছিলেন.
    সেই পৃথিবী আজকে পাথরে আবৃত লাভানিচয়. শেষ বাতাস মরে গেছে, জগত ছেড়েছে বহুকাল. আমাদের প্রজাত অলীক শিশুরা আজ বিস্মৃত, বিলুপ্ত. জানিনা, আমরা হঠাথ কেন তথাকথিত সভ্য মধ্যবিত্ত হয়ে গেলাম. আমাদের বিচ্ছেদ হলো জীবনশৃঙ্খলে. জীবনসৃঙ্খলেইতো, আর তোমার বেক্তিত্তের যে একটা অদ্ভুত অন্ধকার দিক ছিল সেটা আমি মেনে নিতে পারিনি. রবিঠাকুর বলেছিলেন ‘তোমায় কেন দেইনি আমার সকল শূন্য করে’. আমরা আমাদের সকল শূন্য করে, নিঃস্ব হয়ে, নিজেদের কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে পারিনি. 
    আজ আমাদের কোনো মানষযাত্রা নেই. আমরা অভিজাত্যাভিলাসী, আত্মসুখপরায়ন, প্রচ্ছদসর্বস্ব. আমরা স্থবির. নেরুদার মত 'We are all guilty. We are all sinners’ রবিঠাকুরের মত, 'এ তোমার, এ আমার পাপ/ বহুযুগ হতে জমি বাযুকোনে আজিকে ঘনায়'. আমাদের জীবিকা উপার্জন, তোমার রোজ সকালে টিউবের জন্য অপেক্ষা, আমার কোর্ট করিডোর এ হুড়োহুড়ি, আরবিট্রেশন এ কখনো লুসান, সিঙ্গাপুর, ক্যামেরার সামনে politically correct statement দেয়া, অথবা কখনো নিতান্তই 'perfect citizen' বনে যাওয়া.
    শোন, আমাদের কারো মধ্যে কোনো আত্যন্তিক পার্থক্য নেই. We are both sinners. Under same layers of mischievous sins, we are guilty as charged.
    কিন্তু আজকে এটা আমার পৃথিবী. আমার নিজস্ব নৈঃশব্দ, আমার একান্তই নিজস্ব হৈমান্তিক কাল; it is my very own ‘Autumnal Phase’ - সব প্রব্রজ্যাই মিলিয়ে যায় অপ্রত্যাশিত নৈঃশব্দে.
     ‘I knew the rose would fall
     And pit of the passing peach
    Would sleep and germinate once more.
    I got drunk on the air
    Until the whole sea became the night
    And red sky turned to ash’
    'আমি জানতাম গোলাপেরা ঝরে যাবে
    পিচ ফলদের দানারাও ঘুমিয়ে পড়বে
    নতুন করে জন্ম নেবে বলে.
    আমি মাতাল হলাম বাতাসে
    যতক্ষণ না পর্যন্ত পুরো সমুদ্র রুপান্তরিত হলো রাত্রিতে
    আর
    লাল আকাশ পরিনত হলো - ধুসরে' ………..
    তোমার প্রিয় নেরুদা বলেছিল 'শীতের বাগানে'. দেখেছো তোমার প্রিয় জিনিসগুলো আমি আজও কেমন করে আঁকড়ে ধরে রেখেছি?

    নীলিশ্বরী
    ২৫ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৬,
    ধানমন্ডি, ঢাকা

    নীলি,

    ভাবছিলাম তোমায় আবারো লিখবো কি সব বকে চলছো - তোমার চলে যাওয়া, ঝরাপাতার কাল অথবা ফিকে হয়ে যাওয়া পৃথিবী. এসব শোনার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই. যত্তসব চূড়ান্ত আতলামি! বলতে চাচ্ছিলাম এক বাক্যে এবার থামো, বন্ধ করো তোমার এভাবে কথা বলা.
    কিন্তু হঠাৎ দরজায় করা নড়লো! রাগটা পানি হলো কয়েক মুহূর্তে. DHL থেকে তোমার খয়েরি বাক্স!
    ..... সহসা এক নীলাম্বরী এলেন, হাতে ছিল না কদমরেণু, ছিল কত চাওয়া না পাওয়ার এক দেবদূত - রবিঠাকুর মনে করিয়ে দিলে. So I opened your box with my trembling hands of a boy of 22 and seemed like you knew my heart’s weather next to God. I was splitting heavens apart just to get hold of তোমার লেখা কবিতার বই!!

    শুভাশীষ,
    ১লা  মার্চ ২০১৬,
    টাওয়ার হিল, লন্ডন

    My Dear Connoisseur,

    ক্ষমা করেছো তাহলে. তোমায় তো বলেছি আমার চোখ কেন যেন শুধুই ভিজে যায় কারণে, অকারণে. I have been a very silly woman just like I used to be. তোমার খুশি-খুশি, হাসি-হাসি মুখটা ভাবতেই ভালো লাগছে. আমার বইগুলো পুরো পড়বে আর পাঠকের মতামত জানাবে. পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ভালো আর মন্দের বিশ্লেষণ করবে. হেসোনা প্লিজ.
    হাজার হোক, you are my greatest connoisseur.
    রাত ২:২০. ঘুম নেই. I have become a night vigil; আমি রাত জেগে থাকা 'বুটিমার -কিসু'. পারস্যের রাজকন্যা ফিরোজে, সম্রাট সুলেমানকে বুটিমার কিসু’র গল্পটা বলছিলো. Butimar Kisu was the love struck bird of Persian myth with the tragic end. বুটিমার পাখিটা সমুদ্রকে ভীষণ ভালোবাসতো, যে সমুদ্র ফিরোজের ভাষায় ভীষণ নীল যার গভীরতা সুলেমানের নীল চোখের মতো. পাখিটা সমুদ্রকে এতই ভালোবাসতো যে  দিনভর সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকতো. সময় গড়িয়ে যেত, দিন পেরিয়ে রাত আসতো, রাত পেরিয়ে দিন আসতো তবুও বুটিমার-পাখি নড়তো না. অদ্ভুত ব্যাপার, বিশাল সেই সমুদ্র থেকে সে একফোটা জল ও খেত না এই ভেবে, সমুদ্রের জল যদি শুকিয়ে যায়! একদিন তৃষ্ণার্ত বুটিমার এভাবেই মরে গেলো. ঢেউয়েরা মাথায় শুভ্র ফেনার মুকুট পরে, পাখিটার হালকা শরীর জড়িয়ে ধরে, ওকে টেনে নিলো সমুদ্রের গহীন অতলান্তিকে.
    আমিও রাত ভর জেগে থাকি বিটুমারের মতো, কত কিযে করি. কিছুক্ষন অবিনশ্বরের সাথে কথাবার্তা, কিছুক্ষন বাগেশ্রী-ভৈরবী-দরবারীর আর্তি, প্রেক্ষাপন, প্যাথোস, কি অদ্ভুত সুরের ব্রীড়ায় ডুবে থাকি, then leaf through books. ঘুরে বেড়াই কত রাজ্যে, ধূসর ধ্বংসস্তূপে বিলীন হওয়া, হাজার  বছরের ফেলে আশা সভ্যতায়, আবিষ্কারে মগ্ন হই হরোপ্পা, মহেঞ্জোদারো, নিপুর, উরুখ, চিচেন-ইতসা, টিকেল! The palm of my hands, my eyes, my senses – can hold so much! এক জীবনে কতখানি নেয়া যায়; এক মুঠোয় কতখানি ধরা যায়? পাখিটা জেগে থেকে কি পেয়েছিলো? আমিও কতখানি পেয়েছি? Nothing I have is truly mine. What is mine is just some fleeting moments.
    তবে সত্যি, আমি পেয়েছিলাম সেই হাজার বছর আগে কিছু ভাঙা ভাঙা ক্ষুদ্র মুহূর্ত - তোমার দুটো গভীর মায়া মাখা চোখে, যার গভীরতা ফিরোজে খুঁজে পেয়েছিলো সুলেমানের নীল চোখে.
    তুমি আমার চোখে তাকিয়ে বলতে, আমি শুনতাম. আবার আমি বলতাম আর তুমি শুনতে. It was so enchanting to see us eloquently string together simplest thoughts and inexplicably encapsulate the beauty of our bliss! আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম কখনো বিরক্ত হবোনা রাতের আকাশে তারা দেখতে, কালবৈশাখীর বজ্রপাতে দুয়ার খুলে রাখতে অথবা never grow old watching cream make galaxies in your coffee made just for me!
    জানো, দারুন ঝড় উঠছে. সেইসাথে ভীষণ বজ্রপাতও.
    আমি দুয়ার খুলে দিয়েছি.
    Like Rumi, I have come to bring out the beauty you never knew you had, and lift you up like a prayer in the sky.
    তোমার জন্য পাঠাচ্ছি প্রার্থনা এই ঝড়ো কালবৈশাখীতে কারণ প্রার্থনাই দূরত্ব ছাপিয়ে, কঠিন প্রতিকূলতা ছাপিয়ে পৌঁছে যায় প্রিয় মানুষের দ্বারে.

    নীলিশ্বরী   
    ১লা এপ্রিল ২০১৬,
    ধানমন্ডি, ঢাকা

    নীল,

    কাল বৈশাখী অনেক দিন দেখিনা, বহুকাল দেখিনা ঝোড়ো বাতাসে সব উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া, ঘর বাড়ি জুড়ে সবার হুলুস্থূল, দৌড়াদৌড়ি। তোমার চোখেই যেন কাল রাতে ঝোড়ো বৈশাখী দেখলাম । আমায় ভেবে ভেবে যে তুমি দুয়ার খুলে রাখলে আর সেই সাথে পাঠালে প্রার্থনা এর উত্তরে কি বলবো তাই ভাবছি।
    প্রথমেই তোমার জন্য আমার প্রার্থনা। সব লোকভয়, রাজভয়, মৃত্যুভয়, যতসব জাগতিক দাসত্ব, ত্রস্ত নতশির পেরিয়ে রবিঠাকুরের মতো আমিত্ত বলবো শুদ্ধ হোক, শুভ হোক তোমার নতুন বছর।
    ‘সহস্রের পদপ্রান্ততলে বারম্বার
    মনুষ্যমর্যাদাগর্ব চিরপরিহার —
    এ বৃহৎ লজ্জারাশি চরণ-আঘাতে
    চূর্ণ করি দূর করো । মঙ্গলপ্রভাতে
    মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে
    উদার আলোক-মাঝে উন্মুক্ত বাতাসে।’
    আমিতো আগে বেশ পাকাপোক্ত অবিশ্বাসীই ছিলাম। কাল যখন লিখলে প্রার্থনা পাঠাচ্ছ ঝোড়ো বৈশাখীতে, মনে হচ্ছিলো সৃষ্টিকর্তা যেন আমায় দেখছেন -- তোমারই চোখে. একটা কথা আছে সুফিদের মধ্যে 'নয়ন মিলায়ে'। 
    ধর্ম বেপারটা আমি বুঝতাম না, হয়তো বুঝতে চাইতাম না আর সেকারণেই আমার হৃদয় এই পবিত্র নয়ন মিলানোর অপূর্ব সুগন্ধ ধারণ করতে পারেনি তখনো। ঐযে কথায় আছে না, যে স্বাদ নেয় সে জানে- আর যে স্বাদ নেয়না সে জানে না. এই নয়ন  মিলানো কথাটা কিছুদিন আগে একটা বইতে পেলাম - বইটার নাম ‘The Spiritual Practices of Rumi’। শামস আর রুমি যখন মুখোমুখি বসতেন তারা দুজন দুজনার দিকে তাকিয়েই  থাকতেন আর তখনই নাকি হয়েছিল 'তাওয়াজ্জু'/ mystical transmission যা ছিল জালাউদ্দিন রুমি’র মাওলানা রুমিতে রূপান্তর। সেই আলোকিত রূপান্তরের উৎপত্তিস্থল ছিল তার গুরু শামস। 
    এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তাকে ধারণ করতে সব মানুষেরই একটা 'উপলক্ষ' লাগে। One has to touch those who is desperate to touch the love of the divine, only then he starts to experience ‘a drop within a drop’ where the mystic souls swim in.
    আমি তো কোনোকালেই রাজপুত্র ছিলাম না, সিদ্ধার্থের মতো। সিংহাসন ছেড়ে আমি করুণাসিন্ধু বুদ্ধ হতে চাইনি কখনো। কিন্তু স্বয়ং অবিনশ্বর কেন আমায় বেছে নিলেন জানিনা। এখন বুঝি, তুমি একটা উপলক্ষ ছিলে যাকে আমার প্রয়োজন ছিল এই ঘুমন্ত আমার জেগে ওঠবার জন্য, সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসার জন্য, বিশ্বাস করবার জন্য। সৃষ্টিকর্তার সাথে আমার সম্পর্কের সূচনা ছিল আমাদের দুজনার ‘নয়ন মিলায়ে’.
    আমার এই পথ চলা, অদেখার সাথে প্রেম এর সূত্রপাত ছিলে স্বয়ং তুমি। সৃষ্টিকর্তা  মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন (১৪:৪); সৃষ্টিকর্তা যাকে ইচ্ছা তার বক্ষ বিশ্বাসের জন্য উন্মুক্ত  করেন …(৬:১২৫). আচ্ছা, তোমায় আমি কিভাবে ধন্যবাদ দেব বলতো - আমার শামস হবার জন্য, আমায় জীবন দীক্ষা দেবার জন্য আর আমাদের মধ্যে এই 'নিশবাহ্'-- যা একটা অনিন্দসুন্দর আত্মার সম্পর্ক সেটা জন্ম দেবার জন্য? Our path led us to the journey of awakening which pulled us to a longing and ecstasy and into passion of power that was ignited at the very moment of our first glance, the blessed glance!
    তুমি এক আমাকে ছেড়ে চলে গেলে কিন্তু রয়ে গেলে আমার প্রাণে শিখা অনির্বান হয়ে. You left me being the flame that still burns. 
    তুমি ছুয়েছিলে আমায় উপলক্ষ হয়ে, ছুয়েছিলে তোমার শুদ্ধতা দিয়ে। মানুষের জন্য তোমার পরম মমতা, বিনম্র ঈশ্বর প্রেম আর ঈশ্বর  এর সাথে যে অদ্ভুত সুন্দর সংযোগের চেষ্টা - এ সবিই আমার অচলায়তন ভেঙে দিয়েছিলো। তোমার শুদ্ধতা অতলে অন্তরীণ, নীলিমায় নীল, গভীরতায় গভীর, যা গৎবাঁধা গলাবাজ, ধুরন্ধর, মানুষ নামের প্রাণীদের ছাড়িয়ে তোমায় বিশ্বাসীদের দলে ভিড়িয়ে দিয়েছিলো। মনে আছে তুমি বলতে আমায়, বিদ্যাসাগর কে তার মা যখন ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তিনি অফিস থেকে ছুটি পাননি বলে চাকরি ছেড়ে মায়ের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। বায়োজিদ পানি হাতে মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে ছিলেন সারারাত। চালাকির চেয়ে, যুক্তির চেয়ে,  উঁচু নম্বর এর চেয়ে, জাগতিক বিজয় এর চেয়ে, তোমার শুদ্ধতাই আমার মনকে ছুঁয়ে দিয়েছিলো। আমাকে সম্পূর্ণ মানুষে রূপান্তররের সূত্রপাত করে তুমি চলে গেলে।
    এখন সারাদিন খাটি। অবিনশ্বরকে ডাকি গোপনে - হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে, যেমন প্রিয় নবী সারারাত দাঁড়িয়ে থাকতেন প্রার্থনায়। রাত্রির পরিচয় জানে শুধু সেই যার বেদিতে অর্পিত হয় পুষ্পাঞ্জলি। আজ আর কিছু বলতে ভালো লাগছেনা।
    ভালো থেকো নীল.

    ইতি
    শুভাশীষ,
    ১৫ই  এপ্রিল ২০১৬,
    টাওয়ার হিল, লন্ডন


    ক্রমশ ঃ----------------------------------


     http://www.alokrekha.com

    44 comments:

    1. কামরুজ্জামান হীরাNovember 27, 2018 at 4:51 PM

      চিঠিগুলো দারুন। শুভাশীষ ও নিলীশ্বরী'র মধ্যে যে কথোপোকথন চিঠির মাধ্যমে যে বাবরের আদান প্রদান তা অনবদ্য। যেন গল্প পড়ছি। খুবই ভাল লাগলো। তাছাড়া জ্ঞান ও প্রজ্ঞার যে ছাপ লেখকের জ্ঞানের পরিধির প্রমান করে। খুব ভালো লাগলো। লেখক মুনা চৌধুরীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

      ReplyDelete
      Replies
      1. Thank you but was overestimated as a wise and learned writer which I am not. I am happy to see you liked how I poured my heart when I wrote.

        Delete
    2. সেলিনা রহমানNovember 27, 2018 at 5:21 PM

      চিঠিগুলো শুধু শুভাশীষ ও নিলীশ্বরী'র ভালবাসার আদান প্রদান নয়। উচ্চ মার্গের সাহিত্য। এখানে দুজনের ভালো বাসার কথা ,ব্যক্তিগত জীবন যাত্রা সুফিবাদ বিশ্ব সাহিত্য গল্পের চলে লেখককের লেখাকে করেছে সমৃদ্ধ। অনেক শুভাশিস লেখক মুনা চৌধুরীকে। সাথে আলোকরেখাকে ধন্যবাদ এমন উচ্চ মানের লেখা প্রকাশ করার জন্য।

      ReplyDelete
      Replies
      1. Thank you for loving what I loved the most; Islamic mysticism :) Hope you enjoy how I continue.

        Delete
    3. প্রদীপ সেন গুপ্তNovember 27, 2018 at 5:33 PM

      লেখকের হৃদয় নিংড়ানো অনুভূতির কি গভীর প্রকাশ।গহীন জগতে কখনো শান্ত যদি আবার কখনো জোয়ার ভাটায় আবার খরস্রোতা নদীর মত আঁকড়ে ধরে। অভিমানী চেতনার অভিব্যক্তি এই চিঠিগুলি । অনিন্দ্য সুন্দর "শুভাশীষকে চিঠি' গুচ্ছ মুনা চৌধুরী দ্বারা রচিত। আমরা অপেক্ষায় থাকি এমন লেখা পড়ার জন্য । মনটা ভরিয়ে দিল। দারুন অনুভূতি বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। ! আলোকরেখাকে ও লেখককে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।

      ReplyDelete
    4. কবিতা রায়November 27, 2018 at 5:39 PM

      অনিন্দ্য সুন্দর "শুভাশীষকে চিঠি' গুচ্ছ মুনা চৌধুরী দ্বারা রচিত। আমরা অপেক্ষায় থাকি এমন লেখা পড়ার জন্য । মনটা ভরিয়ে দিল। দারুন অনুভূতি বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। ! আলোকরেখাকে ও লেখককে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।

      ReplyDelete
    5. মোহন সিরাজীNovember 27, 2018 at 6:46 PM

      শুভাশীষকে চিঠি' শুধু মুনা চৌধুরীর শব্দমালায় অংকিত কতগুলো চিঠি না। এখানে লেখক রীতিমত গবেষণা বিশ্বসাহিত্যের। রাজা আলেম, দান্তে ন হন্যেতে অমিতার সাথে মির্চা রবীন্দ্রনাথ অথবা তুর্কি সুফিবাদ উঠে এসেছে। লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন আমাদের আলোকিত করবার জন্য। বাকি চিঠি পড়ার অপরক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
      Replies
      1. Thanks for liking my personal favorites who came up automatically as the persona spoke in the letter. My other favorites like Neruda and apart from Turkish Sufism many great minds who shaped Islamic mysticism will be present as the story continues. Thanks for your thoughtful note :)

        Delete
    6. This comment has been removed by the author.

      ReplyDelete
    7. আমি মুগ্ধ, বাকরুদ্ধ, এত অসাধারণ লেখা, এত গবেষণাধর্মী লেখা, উফফফ!!! চোখে পানি, গভীর অনুভূতি নিয়ে বলছি Salute তোমাকে। আরো আরো লেখা চাই। তুমি আমাকে তৃষ্ণার্ত করে দিলে বন্ধু। তোমার এই ভাষা ও ভাবের সমন্বয়ে সমৃদ্ধশীল রচনা আমাকে কেবল বুদ্বদেবের রচনার স্বাদই অনুভূত করাচ্ছিল। অনেক উচুঁমানের লেখা, সত্যিই তুমি অসাধারণ।

      ReplyDelete
    8. মেহের আফরোজNovember 28, 2018 at 3:36 PM

      লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন আমাদের আলোকিত করবার জন্য। বাকি চিঠি পড়ার অপরক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
    9. মিথিলা ফারজানাNovember 28, 2018 at 3:39 PM

      আমিও একমত যে শুভাশীষকে চিঠি' শুধু মুনা চৌধুরীর শব্দমালায় অংকিত কতগুলো চিঠি না। এখানে লেখক রীতিমত গবেষণা বিশ্বসাহিত্যের। রাজা আলেম, দান্তে ন হন্যেতে অমিতার সাথে মির্চা রবীন্দ্রনাথ অথবা তুর্কি সুফিবাদ উঠে এসেছে। লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন আমাদের আলোকিত করবার জন্য। বাকি চিঠি পড়ার অপরক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
    10. মোহন সিরাজীNovember 28, 2018 at 3:48 PM

      আলোকরেখার সব কবি ও লেখকের লেখা পড়ি। ভালোবেসে মন্তব্য করি। সাধারণত কোন কবি বা লেখক তার প্রতিউত্তরে কোন মন্তব্য পাই না। লেখক মুনা চৌধুরী তার ব্যতিক্রম। লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন আমাদের আলোকিত করবার জন্য। বাকি চিঠি পড়ার অপরক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
      Replies
      1. আমি ব্যাতিক্রম কারণ আমি আসল লেখক নই. ভালোবেসে লিখি মাত্র আর তাই এত্ত প্রশংসায় আমি উচ্ছসিত. ধন্যবাদ আরেকবার

        Delete
    11. মিতা চৌধুরীNovember 28, 2018 at 3:55 PM

      মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি' দারুন অনবদ্য লেখা! অপূর্ব ভাব ! অনন্য উপমা! শব্দের মুক্তা মালা!আবাহন প্রানের! অনেক সুন্দর লেখা ! শুভেচ্ছা রইল!বাকি চিঠি পড়ার অপরক্ষায় রইলাম

      ReplyDelete
    12. আহসান হাবীবNovember 28, 2018 at 4:02 PM

      মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি' দারুন অনবদ্য লেখা! এখানে রুমি আর শামস এর খন্ডকালীন বিচ্ছেদের পর যখন ওদের আবার দেখা হলো, দুজন দুজনার পায়ে আছড়ে পড়েছিলেন. সবাই অবাক বিশ্ময়ে দেখছিলেন তার বর্ণনায় আমি অভিভুত। লেখকের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা প্রশংসার দাবীদার । অধির আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম বাকি লেখা পড়ার জন্য। অনেক ভালবাসা । আলকরেখাকে ধন্যবাদ ।

      ReplyDelete
      Replies
      1. চিঠিগুলি যখন লিখেছি নিজেই নিলিশ্বরী র ভেতর ঢুকে গিয়েছি. তখন আমি আর আমি ছিলাম না. সেকারণে রুমি আর শামস স্বাভাবিক ভাবেই চলে এসেছিলো. আর পাঠকের ভালোলাগাই, যিনি লিখেন তার চালিকা শক্তি. তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.

        Delete
    13. মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি' দারুন অনবদ্য লেখা! শুধু শব্দমালায় অংকিত কতগুলো চিঠি না। এখানে লেখক রীতিমত গবেষণা । রাজা আলেম, দান্তে ন হন্যেতে অমিতার সাথে মির্চা রবীন্দ্রনাথ অথবা তুর্কি সুফিবাদ বিশ্বসাহিত্যের মেলবন্ধন। লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন আমাদের আলোকিত করবার জন্য। বাকি চিঠি পড়ার অপরক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
    14. ফরহাদ মাজহারNovember 28, 2018 at 4:16 PM

      মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি' শুধু দুজনার চিঠির মাধ্যমে জীবনের আদান প্রদান নয়। এটা সম্পূর্ণ একটা সাহিত্য। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাহিত্যের মিলন। বার বার পড়তে হযেচে আর স্বাদ আস্বাদন করার জন্য। খুবই উচ্চ মার্গীয় লেখা। বাকিটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
    15. কাজি রেহমানNovember 28, 2018 at 4:49 PM

      লেখক মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি' দারুন অনবদ্য লেখা ! আমরা অপেক্ষায় থাকি আপনার লেখা পাবার জন্য। আলোকরেখাকে সাধুবাদ জানাই এমন একটা লেখা প্রকাশের জন্য মন ও মননের সুগভীর অনুচিন্তন,ভাব,আশাবাদ,প্রেরণার অভিব্যক্তি ছায়া দেখতে পাই । অপূর্ব শব্দশৈলী চমৎকার। অপরূপ-বহুবর্ণ ও ভাষার প্রকাশ। উত্কৃষ্ট ও চমৎকার সৃষ্ট লেখা । অনেক ভালোবাসা ।

      ReplyDelete
      Replies
      1. Thank you and this is the first time I gave something to 'Alokrekha'. Hope you read my poems Alokrekha is about to publish here. Regards.

        Delete
    16. বাংলা এবং ইংরেজী দু'টোর ওপরেই সমান দখল আর সেইসাথে প্লট এর অভিনবত্ব; বর্ণনার precision ও বাহুল্যবর্জিত এবং নিটোল গাঁথুনীতে বসানো শব্দাবলীতে অনুভূতির গভীরতার প্রকাশ; প্রকৃতি আর পারিপাশের picturesque description এবং দৈহিক, পার্থিব, আধ্যাতিক love কে কাহিনীর উপজীব্য করে একান্ত সুখপাঠ্য, উপভোগ্য ও হৃদয়গ্রাহী একটি সাহিত্য রচনা! এই লেখকের লেখা এর আগে পড়িনি কখনো ! আমি অবশ্যই তাঁর পরবর্তী লেখা পড়ার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো।

      ReplyDelete
      Replies
      1. সালাম এবং ধন্যবাদ. আলোকরেখা আমার কিছু কবিতা ছাপবে, পড়লে খুশি হবো. আর আমি professional লেখক নই তাই আমার নাম আপনাদের মতো বিজ্ঞ লেখক আর পাঠকদের না শোনার ই কথা.

        Delete
    17. অভিক চৌধুরীNovember 29, 2018 at 8:54 PM

      এতদিন পর একটা দারুন লেখা পড়লাম। কি দুর্দান্ত ও পরিণত লেখা। লেখক যে গবেষণা করেছেন তার জন্য সাধুবাদ। লেখকের বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের উপর দক্ষতা প্রশংসার দাবীদার। বাকি লেখাটা পড়বার অপেক্ষায় থাকলাম। লেখক মুনা চৌধুরীকে অনেক শুভাশীষ ও আলোকরেখাকে ধন্যবাদ।

      ReplyDelete
    18. সুবোধ রায় চৌধুরীNovember 29, 2018 at 9:05 PM

      লেখক মুনা চৌধুরী'র লেখা "শুভাশীষকে চিঠি' জীবনের এমন গভীর ভাবনা, প্রতিফলন ও তার অভিব্যক্তির প্রকাশ।যেমন বিষয় বস্তু, তেমনি চমৎকার ভাষাভাব অপূর্ব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য । বড্ডো ভালো। অনেক ভালোবাসা লেখককে।

      ReplyDelete
    19. মেধা বন্দোপাধ্যায়December 6, 2018 at 4:09 PM

      • লেখক মুনা চৌধুরীর "শুভাশিস কে চিঠি' পড়তে পড়তে কখন যে অক্ষরগুলো ঝাপসা হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। বহু কষ্ট করেও নীলেশ্বরীর কষ্ট ধরে রাখতে সক্ষম হতে পারিনি। চোখের জলের ধারায় নেমে এসেছে। এ যেন কেবল নীলেশ্বরীর কথা নয়। সমগ্র নারীর কথা। লেখকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা। নীলেশ্বরীর আরো কথা শোনার ও পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
      Replies
      1. মেধা, আপনাকেও আন্তরিক ধব্যবাদ. গতকাল আলোকরেখায় দ্বিতীয় পর্বটি ছাপা হলো. পড়ে ভালো লাগলে খুব খুশি হবো.

        Delete
    20. বেলাল বেগDecember 6, 2018 at 4:12 PM

      লেখক মুনা চৌধুরীর "শুভাশিস কে চিঠি' লেখায় শুভ আর নীলের প্রেমের কথা,অধ্যাত্মবাদ,রবীন্দ্রনাথ ,নজরুল রুমির সুফিবাদ অভিব্যক্ত হয়ে নি। সমকালীন সমাজ ,সমাজে মূল্যবোধ অবক্ষয় ইত্যাদি উঠে এসেছে। এই "মাস্টার পিস্ " উচ্চ মানের লেখার জন্য যত প্রশংসা যায় কম। লেখক প্রশংসা ও স্তুতির দাবিদার। আগামী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। অনেক শুভ কামনা।

      ReplyDelete
      Replies
      1. সালাম. প্রথমে ধন্যবাদ এবং অনেকটা লজ্জিত কেননা এতো প্রশংসার যোগ্যতা আমার নেই. গতকাল দ্বিতীয় পর্ব ছাপা হলো আলোকরেখায়. পড়ে আবারো জানাবেন কেমন লাগলো. খুশি হবো.

        Delete
    21. জয়দেব সাহাDecember 6, 2018 at 4:15 PM

      লেখক মুনা চৌধুরীর "শুভাশিস কে চিঠি' লেখায় যেখানে রবীন্দ্রনাথকে ধারন করেছেনযে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
      শুনব তোমার মুখে।…..
      'আমাদের গেছে যে দিন
      একেবারেই কি গেছে,
      কিছুই কি নেই বাকি l '
      একটুকু রইলেম চুপ করে;
      তারপর বললেম,
      'রাতের সব তারাই আছে
      দিনের আলোর গভীরে সেখানেই " I searched for God & only found myself & searched for myself and found only God " সেইসাথে Vikram Seth এসেছে। এ শুধু দেশীয় সাহিত্যে আটকে থাকে নি বিশ্ব সাহিত্যের আধার হয়ে উঠে এসেছে। এখানে লেখকের জোট প্রশংসা করা যায় তা কম বলেই প্রতিপন্ন। অপেক্ষায় আছি বাকি লেখা চিঠিগুলি পড়বার জন্য।লেখক মুনা চৌধুরীকে ও আলোকরেখাকে অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ।

      ReplyDelete
      Replies
      1. আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা, এবং ধন্যবাদ. গতকাল দ্বিতীয় পর্ব ছাপা হলো আলোকরেখায়. পড়ে আবারো জানাবেন কেমন লাগলো. খুশি হবো.

        Delete
    22. মোহন সিরাজিDecember 6, 2018 at 4:29 PM

      আমরা যারা নিয়মিত আলোকরেখা পড়ি ভালোবেসে মন্তব্য করি। যখন কোন কবি বা লেখক সেই মন্তব্যের উত্তর দেন আমাদের মন আনন্দে ভরে ওঠে। তবে সচারচর এমনটি হয় না। আমাদের মন্তব্যের কোন স্বীকৃতি পাই না। লেখক মুনা চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ আমাদের প্রতিটি মন্তব্যের সরাসরি উত্তর দিয়ে আমাদের সম্মানিত করার জন্য। অনেক ভালোবাসা ও শুভাশীষ।

      ReplyDelete
    23. শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জিFebruary 23, 2020 at 7:56 PM

      অনিন্দ্য সুন্দর "শুভাশীষকে চিঠি' মুনা চৌধুরী দ্বারা রচিত। আমরা অপেক্ষায় থাকি এমন লেখা পড়ার জন্য । মনটা ভরিয়ে দিল। দারুন অনুভূতি বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। !তাই খুজে খুজে বার করলাম। আলোকরেখাকে ও লেখককে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।

      ReplyDelete
    24. একজন প্রেমিক অথবা একজন মুগ্ধ পাঠক যখন প্রেমিকের কাছে বা প্রিয় পাঠ্যের কাছে ফিরে আসে তখন একটা অবশ্যম্ভাবী ঘটনা ঘটে ! মনে হয় এই প্রথমবারের বারের মতো রাখা হোলো চোখে চোখ, এই প্রথম বারের মতো উন্মোচিত হচ্ছে এক অদেখা অথচ হৃদয়ের একান্ত কাছের একটা পৃথিবী ! আজ যখন Popular Posts  এর ওপরের দিকে শক্ত করে স্থান করে নেয়া "শুভাশীষের চিঠি" আবার পড়তে শুরু করলাম আমার মনে হলো, কই এর আগেতো পড়িনি এটা ! পড়তে গিয়ে সবটা সময় পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে  ছন্দবদ্ধ সাবলীলতায় ভ্রমণ ও মনের গভীরে নিজেকে সীমানা আর মাত্রাহীন এক অতি পরিচিত নিলয়ে আবিষ্কার করার আনন্দে বিমোহিত আমি মুনা চৌধুরীর কাছে কৃতজ্ঞতায় ও তার শুদ্ধতার ছোঁয়ায় দাঁড়িয়ে গেলাম শুভাশীষের পাশে !      

      ReplyDelete
      Replies
      1. Dhonnobad Ashraf bhai ebong shei shathe apnader shobaike jara ‘Shubhashish ke chithi’ ke prio pattyo bole mone korechen.

        Delete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ