আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও বাঙালী ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    বাঙালী

    বাঙালী-- 

    দেবব্রত সিংহ

    বিকেল বেলা কলেজ পড়িয়ে ফিরলেন মা ,
    সন্ধ্যে বেলা অফিস করে ফিরলেন  বাবা,
    সাবির'র মায়ের কান্ডজ্ঞান নেই এতটুকুন
    তক্ষুনি শুনিয়ে দিলে খরবটা,
    "গাৰ্জেন কল হয়েছে বাবানের
    আজ কানে  ধরে ওকে দাঁড় করে দিয়েছে ইস্কুলে"
    যাকে নিয়ে এত কথা
    তার কোনও  হেলদোল নেই,
     দুঃখও নেই,
     কান্নাকাটিও নেই,
    সে রোজ যেমন ইস্কুল থেকে ফিতে কার্টুন দেখে টিভিতে,
    টেনমি এক মনে দেখে যাচ্ছিল কার্টুন।

    খবরটা কানে যেতেই হঠাৎ  কেমন যেন হয়ে গেলেন বাবা ,
    অফিসের ব্যাগটা রেখে মাথায় হাত দিয়ে
    সোফায় বসে পড়লেন,   
    মা তখন ডাকলেন ছেলেকে
    "বাবান   শোনো"
    মায়ের ডাক শুনে রিমোট হাতে বাবান এলো  ছুটে
    মা শুধোলেন "তুমি আজ  কি করেছো ইস্কুলে ?
     ঝগড়া মারপিট?
    বাবান বললে কই আমি তো কিছু করিনি মা
    আমি কিছুই করিনি
    মা আবার শুধুলেন, কিছুই করোনি ?
    বাবান বললে ,সত্যি বলছি মা ,
    তোমার গা ছুঁয়ে প্রমিস করছি মা
    আমি কিছুই করিনি
    রাইমস আন্টির ক্লাসে খুব মেঘ করেছিল আকাশে
    কাঁচের জানালা  দিয়ে মেঘ দেখছিল সবাই
    আমি শুধু বলেছি " আয় বৃষ্টি আয় "
    তাই শুনে আন্টি আমাকে কান ধরে  দাঁড় করিয়ে দিলে।
    রাতেরবেলা বাবা মায়ের ভীষণ ঝগড়া,
    বাবার একটাই কথা "ছেলেকে মানুষ করব বলে করব  কষ্ট করে
    ভর্তি করেছিলাম ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক  ইস্কুলে
    তুমি মাটি করে দিলে সব! "বাবার গলার জোর বেড়ে গেল আরো
    "হ্যা তুমি মাটি করে দিলে সব  "
    বাবা'র কথা শুনে ভারী অবাক লাগল মায়ের,
    "আমি সব মাটি করে দিলাম  ?
    বাবার গলায় জোর বেড়ে গেল আরো
    স্যা তুমিই দিলে মতো করে সব
    আমি তোমাকে কতবার করে বলেছিলাম ,
    "বাড়িতে ওর সঙ্গে  কথা বলবে না বাংলায়
    যতক্ষণ থাকবে
    ইংলিশে কথা বলবে
    ইংলিশে কথা বলার হেভিট টা প্র্যাকটিসটা করতে হবে ওকে
    এখন থেকেই করতে হবে "
    হতবিস্মিত মায়ের বিস্ময়ের শেষ নেই
    "ছেলের সাথে কথা বলা যাবে না বাংলায়
    ইংলিশ বলতে হবে আমাকে
    এসব কি বলছো তুমি
    বাবার গলায় একরোখা জেদ
    আমি যা বলছি ঠিকই বলছি
    এবার রুখে দাঁড়ালেন মা
    শোন ,তুমি যা বলছি ঠিক বলছ না
     পৃথিবীর কোন মা নিজের মাতৃভাষা ছেড়ে
     সন্তানের সঙ্গে   অন্য ভাষায় কথা বলে  না
     পৃথিবীর কোনও  মা অন্যভাষাকে মাতৃভাষা করার পাঠ
    সন্তানকে শেখায় না
    যদি কাজ করে কোনও মা
    তাহলে জানবে সে অসুস্থ ,
    মানসিকভাবে সে অসুস্থ
    তার চিকিৎসার  দরকার
    উপযুক্ত  চিকিৎসার দরকার
    ঝগড়াটা কত রাত অবদি গড়িয়েছিল কে জানে
    সকাল বেলা চায়ের টেবিলে রফা হল দুজনের
    গার্জেন কোলে এক যাবে না কেউ
    যেতে হলে দুজনেই যাবে ইস্কুলে।
    ইস্কুল মানে মহানগরীর ঝাঁ চকচকে তেতলা বিল্ডিংয়ের
    নাম করা ইংলিশ মিডিয়াম ইস্কুল
    অক্সফোর্ড মডেলের বিলিতি  ইস্কুল
    রেক্টরের নাম ড: ডেভিড স্মিত,
    তাঁর দোতালার অফিসঘর মিনিস্টারদের মতন
    ভিজিটরস রুম ,সিকিউরিটি, সেক্রেটারি ,
    পারসোলান সেক্রিটারি, সব।
    সি সি টিভির  ফুটেজ দেখলে দেখা যেত
    রেক্টরের ঘর থেকে বেরুনের সময়
    কারো  মুখে কোন কথা নেই
    থমথমে মুখ
    তবে বাবার চেয়ে মার মুখখানা বেশি থমথমে
    গাড়িতে উঠে বসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মা,
    " লোকটা নিজেকে কী ভাবে বলো তো
    একটা স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানের বাচ্চা ছেলে
    বৃষ্টি দেখে ক্লাসের মধ্যে "আয় বৃষ্টি আয় " বলে
    আবেগে উচ্ছাসে কথা বলে ফেলেছে বাংলায়
    তার জন্যে  কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পানিশমেন্ট !
    তার জন্য গার্জেন কল !
    তার জন্যে গার্জেনের মুচলেখা
    " আমার ছেলে এমনটা আর করবে না
    ক্লাসের মধ্যে কখনো  আর না বাংলায় কথা বলবে না"!
    ছিঃ।
    তুমি কেন করতে গেলে মুচলেকায় সই
    দেখলেতো আমি কেমন  শুনিয়ে দিলাম মুখের ওপরে
    " এটা অক্সফোর্ড না এটা ইংল্যান্ড এটা বাংলা। "
    বাবার কোন  ক্ষোভ নেই 
    মায়ের কথা শুনে বাবার মুখের কোণে ফুটে উঠল হাসি
    "তুমি তো ভাল করে কথাই  বলতে পারছিলে  না রেক্টারের সঙ্গে "
    মায়ের গলায় জোরালো প্রতিবাদ
    "কোথায় দেখলে পারছিলাম না
    আমি আমার মতন  করে বলেছি
     যা বলার সব বলেছি,
    চুপ দিয়ে তো  থাকি নি। "
    এবার বাবার মুখে বাঁকানো কথার ফুলঝরি
    "তফাতটা এখানেই বুঝলে
    কলেজের বাংলা মাধ্যমের বাঙালী ইংলিশের সঙ্গে
    রেক্টর সাহেবের ইওরোপীয়ান ইংলিশের তফাত
    ফুঁসে উঠলেন মা
    "তাতে  হয়েছেটা কি বলতো
    কী এমন মহা অপরাধ হয়েছে"
    এখন মাথা ঠান্ডা করে বোঝাতে চাইলেন বাবা,
    "না, মাঝে অন্য কিছু না
    তুমি হয়তো খেয়াল করনি অত
    তোমার বাঙালী ইংলিশ শুনে
    ড : স্মিত কেমন হাসছিলেন মুচকি মুচকি,
     রেক্টর সাহেব আমাদের বড় সাহেবের কে হয় জানো
    দুজনের একেবারে  ইন্টিমেট ফ্রেন্ড
    ক্লাবের পার্টিতে হোটেলের ককটেলে
    দুজনে এক গ্লাসের বন্ধু ,
    কি বলবো তোমাকে
    রেক্টর সাহেবের মুখে ওই হাসি দেখে ,
    আমার মাথা কাটা যাচ্ছিল লজ্জায়। "
    মা 'কে তবু  নড়ানো গেল না একচুলও
    মায়ের সাফ কথা
    "তাতে হয়েছেটা কী
    তোমার ওই ইওরোপিয়ান ইংলিশের রেক্টর সাহেব
    তিনি যখন কথা বলবেন আমাদের বাংলায়
    তখন তাঁর কথা শুনে  হাস্তে পারি আমিও
    এতে লজ্জার কি আছে
    আর লজ্জার কথা তুললে  যখন
    তখন শুনে রাখো
    তোমার ইউরোপীয়ান রেক্টরের  বাংলা বলতে  না পারার জন্য
     কোনও  লজ্জা না হয়
    তবে আমার কেন ইয়োরোপিয়ান ইংলিশ না বলতে পাড়ার লজ্জা হবে ,
    দেখো তাঁর ইংলিশ তার কাছে,
    আমার বাংলা আমার কাছে।
    এরপর আর কোনও  কথা হলোনা দুজনের,
    সারা পথ আর কোনও কথা হল না
    দিন ফুরাতে সন্ধ্যা হতেই আলো জ্বলল পড়ার ঘরে
    সেই আলোয় অনেক রাট অবদি চললপড়াশোনা  মায়ের
      পড়াশুনা মানে অন্য কিছু না
    রবীন্দ্রনাথ শুধু রবীন্দ্রনাথ
    এক সময় মায়ের দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হল
    বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রার্থনা।
    বিধাতার কাছে বাঙালী জাতির আত্মজাগরণের আকুল প্ৰাৰ্থনা
    "  হে বিধাতা ,
    দাও দাও মোদের গৌরব দাও
    দুঃসাধ্যের নিমন্ত্রণে
    দুঃসহ দুঃখের গর্বে ।
    টেনে তোলো রসাক্ত ভাবের মোহ হতে ।
    সবলে ধিক্‌কৃত করো দীনতার ধুলায় লুণ্ঠন ।

    দূর করো চিত্তের দাসত্ববন্ধ ,
    ভাগ্যের নিয়ত অক্ষমতা ,
    দূর করো মূঢ়তায় অযোগ্যের পদে
    মানবমর্যাদা বিসর্জন ,
    চূর্ণ করো যুগে যুগে স্তূপীকৃত লজ্জারাশি
    নিষ্ঠুর আঘাতে ।

    নিঃসংকোচে
    মস্তক তুলিতে দাও
    অনন্ত আকাশে
    উদাত্ত আলোকে ,
    মুক্তির বাতাসে ।"

                             


                             


                                 

     http://www.alokrekha.com

    13 comments:

    1. এতদিন আলোকরেখাকে ধন্যবাদ দিয়ে এসেছি নতুন কবিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবাদ জন্য।কবি দেবব্রত সিংহের কবিতার পাতা থেকে বিশেষ করে আলোকরেখার জন্য লেখা এ কবিতা। আজ আলোকরেখা ধন্য হল মান্যবর কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা প্রকাশ করে।কবির কবিতা সম্পর্কে নতুন করে কি আর বলার আছে ? বাংলা না জানা বা বলতে না পারাটাই বাংলীর গরবের বিষয় কবির বাঙালি কবিতায় দারুন ভাবে অংকিত। শুভেচ্ছে কবি। আলী আহাদ

      ReplyDelete
    2. ব্যতিক্রমীদের কবি দেবব্রত সিংহের এই কবিতা আমার নুতুন করে আমাদের মনে করে নিয়ে দিল। আমাদের শেকড় আমাদের ভাষা আমাদের রবীন্দ্রনাথ তাঁর অসাধারণ শিল্প নিপুনতা দিয়ে। আমাদের প্রিয় আলোকরেখা ধন্য হল কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা পেয়ে। ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা কবি।

      ReplyDelete
    3. আপনার কবিতা আমাকে উদ্দিপ্ত করে উপকৃত হয় বাংলা সাহিত্য ।৫২ ভাষা আন্দোলন ও তাজা প্রাণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা অথচ আজ বাংলা না জানা বা বলতে না পারাটাই বাঙালির গর্বের বিষয় । একটা দিন ভাষাদিবস হিসেবে পালন করি। দারুন দৃঢ়তার আমাদের মূল উৎস আমাদের রবীন্দ্রনাথ আমাদের মনে করিয়ে দিলেন। অনেক ভালোবাসা কবি।

      ReplyDelete
    4. আমাদের অনেক ভালোবাসার আলোকরেখা আজ গগন ছুঁলো।কবি দেবব্রত সিংহ বিশেষ করে কবিতা লিখেছেন আলোকরেখার জন্য। "বাঙালি " কবিতা-এ কবি দেবব্রত সিংহের এই কবিতা আমার নুতুন করে আমাদের মনে করে নিয়ে দিল। আমাদের শেকড় আমাদের ভাষা আমাদের রবীন্দ্রনাথ। অনেক শুভেচ্ছা কবি।

      ReplyDelete
    5. আলোকরেখায় আমার প্রিয়কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা পেয়ে দারুন ভালো লাগলো। আজ বাংলা না জানা বা বলতে না পারাটাই বাঙালির গর্বের বিষয়।কিন্তু " "বাঙালি " কবিতায় বাংলা আমাদের শেকড় ও আমাদের ভাষা আমাদের রবীন্দ্রনাথ। অনেক শুভেচ্ছা কবি ভালোবাসা।

      ReplyDelete
    6. দেবব্রত সিংহের কবিতায় কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা আমাকে উদ্দিপ্ত করে। সম্মৃদ্ধ করে বাংলা সাহিত্য ।৫২ ভাষা আন্দোলন ও তাজা প্রাণের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা অথচ আজ বাংলা না জানা বা বলতে না পারাটাই বাঙালির গর্বের বিষয় কবি তাঁর "বাঙালি" কবিতায় দৃঢ়তার সাথে সহজ গল্পে ব্যক্ত করেছেন যে - আমাদের মূল উৎস আমাদের বাংলা ভাষা ও আমাদের রবীন্দ্রনাথ। অনেক শুভেচ্ছা কবি! ভালোবাসা !

      ReplyDelete
    7. দেবব্রত সিংহ বিশেষ করে "বাঙালি" কবিতা লিখেছেন আলোকরেখার জন্য। আজকের দিনের জন্য এই কবিতা অনেক প্রযোজ্য। বাংলা না জানা বা বলতে না পারাটাই বাঙালির গর্বের বিষয়। কিন্তু " "বাঙালি " কবিতায় বাংলা ভাষা ও রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিকড়। দেবব্রত সিংহ ব্যতিক্রমধর্মী কবি। তাঁর লেখা অসাধারণ! শিল্প নিপুনতা ! বস্তু নৈপুণ্য! সমাজের অন্ধকার দিক তুলে ধরে। আলোকরেখায় আমার প্রিয় কবিতা পেয়ে দারুন ভালো লাগলো।

      ReplyDelete
    8. দেবব্রত সিংহ ব্যতিক্রমধর্মী আঞ্চলিক জীবনের কবি। তাঁর লেখা অসাধারণ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ! লেখার নিপুনতা ! বিষয় নৈপুণ্য! সমাজের তমসাচ্ছন্ন দিক প্রতীতি। আলোকরেখায় আমার প্রিয় কবিতা "বাঙালি" পেয়ে দারুন ভালো লাগলো।আজ এই কবিতা সমাজের জন্য অনেক প্রযোজ্য।

      ReplyDelete
    9. দেবব্রত সিংহ যেমন আঞ্চলিক জীবনের কবি তেমনি আমাদের প্রাণের কবি। দক্ষ লেখা! শব্দের নৈপুণ্য! প্রাসঙ্গিক বিষয়ক ! আলোকরেখায় "বাঙালি" কবিতা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। এই কবিতা আজকের সমাজের জন্য অনেক উপযুক্ত । বাংলা না জানা বা বলতে না পারাটাই বাঙালির গর্বের বিষয়। " "বাঙালি " কবিতায় বাংলা ভাষা ও রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিকড় সেটাই কবি প্রতীয়মান করেছেন। অনেক শুভ কামনা ও আলোকরেখাকে অভিনন্দন !

      ReplyDelete
    10. আজ আলোকরেখা ধন্য হল মান্যবর কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা প্রকাশ করে।কবির কবিতা সম্পর্কে নতুন করে কি আর বলার আছে ? বাংলা না জানা বা বলতে না পারাটাই বাংলীর গরবের বিষয় কবির বাঙালি কবিতায় দারুন ভাবে অংকিত। শুভেচ্ছে কবি।] কথা বলে দেবব্রত সিংহের কবিতায় কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা আমাকে উদ্দিপ্ত করে। সম্মৃদ্ধ করে বাংলা সাহিত্য ।

      ReplyDelete
    11. কবি তাঁর "বাঙালি" কবিতায় দৃঢ়তার সাথে সহজ গল্পে ব্যক্ত করেছেন যে - আমাদের মূল উৎস আমাদের বাংলা ভাষা ও আমাদের রবীন্দ্রনাথ। অনেক শুভেচ্ছা কবি! ভালোবাসা ! দেবব্রত সিংহ যেমন আঞ্চলিক জীবনের কবি তেমনি আমাদের প্রাণের কবি।সুনিপুণ লেখা! শব্দের নৈপুণ্য! প্রাসঙ্গিক সম্পর্কিত বিষয়ক ! আলোকরেখায় "বাঙালি" কবিতা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। শুভেন্দু লাহেড়ী

      ReplyDelete
    12. সত্যি আলোকরেখা আজ গগন ছুঁলো।কবি দেবব্রত সিংহ বিশেষ করে কবিতা লিখেছেন আলোকরেখার জন্য। "বাঙালি " কবিতা-এ কবি দেবব্রত সিংহের এই কবিতা আমার নুতুন করে আমাদের মনে করে নিয়ে দিল। প্রিয়কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষদের জীবন প্রতিচ্ছবি ব্যতিক্রম তাঁর অসাধারণ শিল্প নিপুনতা।

      ReplyDelete
    13. সত্যি আলোকরেখা আজ গগন ছুঁলো।কবি দেবব্রত সিংহ বিশেষ করে কবিতা লিখেছেন আলোকরেখার জন্য।আলোকরেখা ধন্য হল মান্যবর কবি দেবব্রত সিংহের কবিতা প্রকাশ করে।কবির কবিতা সম্পর্কে নতুন করে কি আর বলার আছে ? দেবব্রত সিংহ যেমন আঞ্চলিক জীবনের কবি তেমনি আমাদের প্রাণের কবি। দক্ষ লেখা! শব্দের নৈপুণ্য! প্রাসঙ্গিক বিষয়ক ! দারুন ভালো লাগলো। জানিনা কি বলে কৃতজ্ঞতা জানাবো। দেবব্রত সিংহের কবিতা কবি কবিতা আমাকে উদ্দিপ্ত করে সম্মৃদ্ধ করে আমাকে বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়। অনেক শুভেচ্ছা কবি! ভালোবাসা দেবব্রত ! আলোকরেখার জ্বলবে আমার জীবন প্রদীপের সাথে। ততদিন দেবব্রতর কাছে ঋণী। আরো লেখার আশায়।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ