alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    এই জীবন ! ------------ - সুনিকেত চৌধুরী

    এই জীবন !

    - সুনিকেত চৌধুরী 

     সমুদ্র কিংবা তরঙ্গের শিখরে বসে 

    শুনেছি তোমার তৃপ্ত কন্ঠ আর ভৈরবীর রিনিঝিনি 

    কতদিন!

    আমাদের এই যাপিত জীবনের যত না পাওয়া 

    তার চেয়েও বেশী পাওয়া 

    এই 'এক জীবনসমান 

    তোমার কন্ঠ নিঃসৃত ঝংকার

    আমার আলোকরেখার সকল সম্মানিত পাঠকদের ধন্যবাদ

    আমার আলোকরেখার সকল সম্মানিত  পাঠকদের ধন্যবাদ। আজ "মা  দিবস"... আমি আমার মা দূর তারার দেশে চলে যাওয়ার পর মাকে  নিয়ে কিছু লিখি না। কিন্তু আমার আলোকরেখার সম্মানিত  পাঠকরা "মা দিবস আমার" লেখাটা খুঁজে পড়ে জনপ্রিয় তালিকায় ঠাঁই দিয়েছেন। আমি ভাষা হীন। কলম চলছে না মাকে মনে পড়ছে। মা  আমি তোমাকে স্পর্শ করতে পারি না কিন্তু আমি সবসময় তোমাকে আমার হৃদয়ে অনুভব করতে পারি….. আমি জানি তুমি সেখানে আমার দিকে তাকিয়ে আছো এবং প্রতিটা দিন আমাকে ভালবাসা ও সৌভাগ্য দিয়ে আশীর্বাদ করছ…স্বর্গে আমি তোমাকে   উষ্ণ মা দিবসের শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছি ... আমি কামনা করি যে তুমি  যখনই আছো ,সর্বদা সুখী ও আমার উপর ভালোবাসা বর্ষণ করছো ….তুমি আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছিলে তার প্রতিদানে আমি কি  যথেষ্ট ভালোবাসা দিতে পেরেছি ?পারিনি মা --আসলে পারাও যায় না। 

    দুর্দমনীয় বাসনা ! সুনিকেত চৌধুরী I

    দুর্দমনীয় বাসনা ! 
    সুনিকেত চৌধুরী I

    দুর্দমনীয় একটা বাসনার বশবর্তী নগরবাসী 
    সকাল-সন্ধ্যা-বিকেল-রাত্রি কালে 
    উর্ধমুখী মুখমন্ডল আর আয়ত নয়নে 
    কিসের যেন প্রত্যাশায় উজ্জীবিত !

    সমর্পিত সভাষদবর্গের কাছে নতুন কোনো প্রকল্প 
    কিংবা সম্মিলিত কার্যক্রমের কোনো রূপরেখা 
    আপাত অনুপস্থিত !

    "আলোকরেখা"র একচল্লিশ লক্ষ পাঠক !

    "আলোকরেখা"র একচল্লিশ লক্ষ পাঠক ! 

    আমরা যদি আমাদের প্রতিদিনের প্রতিটা ইচ্ছে জড়ো করে একটা মালা গাঁথি  এবং এই কাজটি যদি আমরা প্রতিদিনই করতে থাকি তাহলে ইচ্ছের মালার স্তুপে ইচ্ছেগুলো যে তাদের স্বকীয়তা হারাবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই! এবং ফলশ্রুতিতে ইচ্ছাপূরণের জন্যে যে একনিষ্ঠ নিবিষ্টতা দেয়া প্রয়োজন তা দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না !  আমার ইদানিং কেন যেন মনে হচ্ছে আমার এইরকমই হাল হয়েছে ! "আলোকরেখা"কে নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কত কি করতে চাই - কিন্তু দিনশেষে অবশেষে কিছুই করা হয়ে ওঠে না ! 

    just "BE" ----------------আশরাফ আলী


    just "BE"

    আশরাফ আলী

    আমরা যদি ধরে নেই যে আমাদের স্বকীয়তার কোনো ভিত্তি নেই বরং এর আগে মানে অতীতের কোনো এক সময়ে কোনো একজন মানুষেরর মস্তিষ্কে এই একই ভাবনার অনুরনণ ঘটেছিলো ! এবং তার প্রকাশ হয় ঘটেছিলো অথবা ঘটেনি ! আমাদের পারিপাশে বা চারিপাশে যা-ই আছে, এখন-অতীতে-ভবিষ্যতে, তার সবকিছুই recycled ! There is nothing original or genuine!

    ষষ্ঠপদী ধ্রুপদ .............. মেহরাব রহমান



    ষষ্ঠপদী ধ্রুপদ

    মেহরাব রহমান


    জীবন ফুরায়

    অথচ কাজ কৈ ফুরায়? 

    আমি স্বপ্ন পান করি গেলাশে গেলাশ!

    এই পরানকি তবে উত্তরহীন প্রশ্ন..?  উপহাস? 

    পহেলা বৈশাখ




    পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।

    আমি স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখিনি ~~~~~~সানজিদা রুমি



    আমি স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখিনি
    সানজিদা রুমি

    আমি ৭১'র যুদ্ধ দেখিনি
    দেখিনি ক্ষত বিক্ষত মানুষের লাশ শকুনে খাওয়া
    শুনিনি কোন ধর্ষিতা নারীর ক্রন্দন।
    আমি শুনেছি--
     আমার শাশুড়ির পুত্র হারানোর আর্তনাদ।
    কারণে অকারণে তার রোষ
    বলতে না পারা ক্রোধের দহনে
    এক ষোড়শী পুত্রবধূকে ঝলসানো।
    না আমি স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখিনি
    দেখিনি আগুনে পড়া বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ।

    ইরাবতী আর মোহন কথা............. সুলতানা শিরীন সাজি

    ইরাবতী আর মোহন কথা
    সুলতানা শিরীন সাজি

    বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সেই আমাকে তুমি চিনতে যখন,আমি তখন পুরাতন টেন এর ছাত্রী।তুমি নতুন টেন।কালিশংকর গুহ রোডের অংকের মাস্টারমশাই এর বাড়িতে দেখা হতো।আমি যখন ইলেকটিভ ম্যাথ এর জটিল অংক নিয়ে ঘামছি!
    তুমি অনায়াসেই সেটা সলভ করে কাগজটা বাড়িয়ে দিতে।
    যতই বারণ করছি,ততই পিছু পিছু বাড়ি ফিরছো।
    সাইকেলের টুংটাং এ সচকিত হতো বিকালের ছায়াপথ!
    ব্রহ্মপুত্রের ধারে একবার বন্ধুদের সাথে।সেখানে পৌঁছে গেছিলে। 

    ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একটি নাম একটি চেতনা



    ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একটি নাম একটি চেতনা 

     ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয়মাস ব্যাপী সংগঠিত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এদেশের দামাল যোদ্ধারা যখন বিজয়ীর বেশে ঘরে ফিরে এলেন, তখন তাদের আমরা বরণ করে নিয়েছিলাম ফুলেল সংবর্ধনা ভালবাসায়। তাদের বীর উপাধি দেয়া হয়েছিল, সম্মান দেয়া হয়েছিল, সমাজেও তারা অর্জন করেছিলেন বিশেষ স্থান। কিন্তু ঘরে ফেরা যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা সম্মানের সাথে ঘরে তুলে নেয়া হলেও এই সে যুদ্ধে যে দুই লাখ মা-বোন হারিয়েছিলেন তাদের সম্ভ্রম, হারিয়েছিলেন সর্বস্ব- তাদের সমাজ কোনো সম্মানই দেয়নি। বরং তাদের বর্জন করা হয়েছিল সমস্ত সামাজিক আচার অনুষ্ঠান থেকে, আড়ালে রাখা হয়েছিল সমস্ত ভাল কাজ থেকে।তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে যেটা দেয়া হয়েছিল তার নাম অপবাদ, তার নাম লজ্জা।

    মেহরাব রহমানের কবিতা পাঠ

    কবিতা কি শুধুই সুন্দরের উৎপ্রেক্ষা? এ সুন্দরের পরিসীমা কতদূর? ‘অতি দূর সমুদ্রের পর’ কি? শুধুই কি প্রিজমে নিক্ষিপ্ত আলো শতধা বিচ্ছুরিত হয়ে এ সুন্দরকে প্রকাশ করে? আঁধারের কি কোন সৌন্দর্য আছে? অবচেতন মনের চেতনার কি সৌন্দর্য আছে? সে সুন্দর কি দেখা যায় নাকি অনুভবের?  সুন্দরের আরাধনা শুধু আলোর কাছেই নয়, আঁধারের নিকষকালো নগরীর গভীরে লুকিয়ে থাকাও এক অনুভবও এ আরাধনা। সে অনুভবও আত্মাকে, চিত্তকে করে তোলে বিমোহিত, মনকে রাঙিয়ে দেয় সন্ন্যাস এক উড়ু– উড়ু– সমীরণের হিল্লোলে। কবিতার বিশুদ্ধবাদীরা এভাবে কবিতাকে নিয়ে যান দূর এক গভীর মহাসাগরের বুকে জাহাজের পালতোলা খুঁটিতে, যেখানে খেয়ালী চোখে বসে আছে একটি সী গাল।

    সমাপ্তি কি সমাসন্ন?

    সমাপ্তি কি সমাসন্ন? 

    চারদিকে সাজ সাজ রব Open AI এর ChatGPT কে নিয়ে! সবাই বলছেন আলাদিনের আশ্চৰ্য প্রদীপের মত 'চাওয়া মাত্র হাজির' করে দেওয়ার ক্ষমতাধর এই App আমাদের সমস্ত সৃজনশীলতাকে ম্লান করে দেবে এবং সম্ভবত ছাড়িয়ে যাবে! সেদিন আমার এক বন্ধু ChatGPT কে বাংলায় একটা কবিতা লিখতে বলার ১ মিনিটের মধ্যে এই App একটা নাতিদীর্ঘ মোটামুটি সুন্দর কবিতা লিখে দিলো! বিষয়বস্তু, শব্দ-চয়ন, বাক্য-বিন্যাস ও শুরু-শেষের সাথে সামঞ্জস্য ইত্যাদি বিষয় বিচারে কবিতাটি মোটামুটি ভালো।  আপনারা জানেন যে এই App সম্ভাব্য উত্তর লিখতে পারেনা এমন প্রশ্ন নেই! যদিও এর জ্ঞানের পরিধি ২০২১ সাল অবধি লভ্য সব তথ্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, তবে এটা সহজেই অনুমেয় যে এই সীমাবদ্ধতা নিতান্তই সাময়িক!

    একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন


    একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন

    একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এদিনটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত দিন হিসেবে পরিচিত।

    ঋতুরাজ বসন্ত~~~~~~~~~~~~ সানজিদা রুমি



    ঋতুরাজ বসন্ত
    সানজিদা রুমি 

    শীতের রুক্ষ, হিমেল দিনের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা আর ফুল বসন্তকে করে তুলেছে 'বিশেষ ঋতু'। এত রূপ, রস, আর লাবণ্য নিয়ে প্রকৃতিতে আর কোনো ঋতু হাজির হয় না। তাই বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ। পয়লা ফাল্গুন বা পহেলা ফাল্গুন  বাংলা পঞ্জিকার একাদশতম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন ও বসন্তের প্রথম দিন। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন পালিত হয়। বাংলার  অঞ্চলে প্রাচীন আমল থেকেই বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছে।  বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়।

    ভালবাসার ইতিকথা ............ তাসরীনা শিখা

     

    ভালবাসার ইতিকথা   

    তাসরীনা শিখা

    মানুষের জীবন একটা ।কিন্তু এই এক জীবনে  একেক বয়েসের ভাবনা একেক রকমের। আরে এই  ভাবনার অধ্যায় গুলো সবাইকেই পেড়িয়ে আসতে হয়। আমাকেও হয়েছে। তরুন বয়সে একটা  ভাবনা আমার মাথায় ঘুরপাক খেতো সেটা ছিলো , যারা  ভালোবেসে বিয়ে করে তাদের দাম্পত্য জীবনটা না জানি কেমন হয়। নিশ্চয়ই ভীষণ সুখের এবং আনন্দের। যাকে  ভালবেসেছে তাকেই বিয়ে করতে  পেরেছে। আমার সব সময় ইচ্ছে ছিলো যাকে বিয়ে করবো ভালোবেসে করবো অচেনা একটা মানুষকে কোন  অবস্থাতেই  করবো না। কিন্তু  দুর্ভাগ্য বলি আর সুভাগ্য বলি আমার ভালোবেসে বিয়ে করা হয়নি। আমার অধিকাংশ বন্ধুরা  ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো কিন্তু তাদের বিয়ের পরের জীবনটা কেমন  হয়েছিলো সেটা জানার সুযোগ আমার হয়নি ।কারন তাদের বিয়ের আগে আমার বিয়ে হয়ে গেছিল , তারপর বিদেশ যাত্রা