না, আমি ৭১'র মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী--শুধু দেখেছি---
বিখণ্ডিত মানুষের  লাশ ভেসে যাওয়া শকুনে খাওয়া।
শুনেছি বেয়োনেটে গাঁথা শিশু ও  ধর্ষিতা নারীর ক্রন্দন
অকারণে তাঁর দলিত রোষ, ক্রোধের আগুন 
দেখেছি ষোড়শী এক নব পুত্রবধূর দাহন।
না, আমি ৭১'র মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী।.......
দেখেছি আগুনে পোড়া এক  বিধ্বস্ত  বাংলাদেশ অভিতপ্ত
ওই স্তূপে একটি পরিবার ধিকি ধিকি জ্বলে প্রতিনিয়ত।
আমিও নির্বিণ্ণ পুড়েছি  সেই চাপা আগুনে অনুক্ষণ 
পারিনি বুঝতে অন্তর্নিহিত এই  নিকৃতি, অশোভন আচরণ।
না, আমি ৭১'র মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী।.......
ভুলিনি পাক সেনাদের বেয়োনেটে গাঁথা 
শিশুর চিৎকার আর গ্রেনেডের
গর্জন
শুনি  ঘুমন্ত স্বামীর বুকে মাথা রেখে 
মেশিনগান আর বুলেটের স্পন্দন।
শুনেছি স্বাধীনতার যুদ্ধের  গল্প সারা রাত বাসর রাতে
উত্তেজনায়
শিহরণে দেখেছি তাকে বারংবার কাঁপতে।
নয় সে নব বধূর চুলের সোঁদা সুরভী 
বা লজ্জা পুলকিত হৃদয় স্পন্দনে   
ফেলে আসা যুদ্ধের স্মৃতি 
কামান আর বারুদের  ঝাঁঝালো গন্ধে।
আজও  যখন সে কাছে আসে চোখ বোঝে
নিবীড় আলিঙ্গনে অধর রাখে অধরে ।
ক্ষণিকে চমকে ওঠে গলিত লাশ আর নিজ হাতে মারা
পাক সৈন্যের মুখ মনে পোড়ে।
এভাবেই পেরুচ্ছে  জীবন আজ পয়তাল্লিশ ধরে 
একটি স্বাধীনতা  যুদ্ধ বিদ্ধস্ত পরিবার সঙ্গে করে।
না, আমি ৭১'র মুক্তি যুদ্ধে রণাঙ্গণে যাই নি,
হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের  অনুষঙ্গী।.......
তাজা প্রাণ আর  কত শত সম্ভ্রমের  মূল্যে
পাওয়া  আমাদের স্বাধীনতা
কেন  রাজাকারদের গাড়ির বহরে উড়েছে 
লক্ষ বাঙালির রক্তে অর্জিত পতাকা।
বাংলার মাটি ছাড়তে হবেই শোনো রাজাকার
দণ্ডিত হবে যেতে হবে  নির্বাসনে----
জামাত -শিবির নিষিদ্ধ না  হলে 
শান্তি পাবে না কোন শহীদ মায়ের প্রানে।  
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

 


 লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে
লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে 







এক ষোড়সী নব বধু ও যুদ্ধের যন্ত্রনার স্বীকার ..সানজিদা দারুন উপলব্ধি মর্মগ্রাহী. খুব ভাল লেখ তুমি শুভকামনা
ReplyDeleteআজকে সকালে এত সুন্দর একটা কবিতা post করার জন্য দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জামাতশিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমরা কঠিন পরিশ্রম করছি এই সময় আপনার এমন একটা লেখা আমাদের সাহস আরো বাড়িয়ে দেয় |দিদি আরো ভালো লিখেন জয় বাংলা
ReplyDeleteদিদি এত সুন্দর সরল ভাষায় তুমি পুরো স্বাধীনতার যুদ্ধকে একটা মেয়ের জীবনী দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে দারুন দিদি দারুণ ভাল থেক | ডাল লেখো
ReplyDeleteএকটা ষোড়শী মেয়ে কি বোঝে ?কিন্তু ওর জীবনটাই যে যুদ্ধের আগুনে পুড়েছে কি দারুন চিন্তাধারা খুব ভাল লাগছে পড়ে আপনাকে ধন্যবাদ ও ভালবাসা
ReplyDeleteচমৎকার অনুভূতির অভিনব প্রকাশ
ReplyDeleteসানজিদা রুমির লেখা আমার এর প্রিয় কারণ উনি সহজ ও সরল ভাষায় আপন বক্তব্য এমনভাবে ফুটিয়ে তোলেন যেন যেন জীবন্ত ছবি।
ReplyDeleteআমি জানি রুমি কি ধ্যৈর্যের সাথে তুমি এই পরিবারটাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলে ,তুমি বলেই তা সম্ভপর ছিল। তুমি এই পরিবারটার শেকড়। অনেক ভালো থেকো।
ReplyDeleteআজকের এই বাংলাদেশে এমন শক্তি শালী লেখা র খুব প্রয়োজন যে করে হোক জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে আপনার সাথে সাথে আমার ও এই দাবিতে সোচ্চার জয়বাংলা”
ReplyDeleteতোমার এই লেখাটা পরে সামাদ ভাইয়ের আর খালাম্মার কথা খুব মনে পড়ছে। তুমি যে মহৎ এক উদ্যোগ নিয়েছে সেই জন্য তমাকে অনেক সাধুবাদ জানাই। সবাই আমরা অনেক বড় বড় কথা বলি কিছু কি করি? তোমার আলকরেখার মাধ্যমে এক্তি পরিবারের ত্যাগ প্রেন বিসর্জনের কথা দেশবাসি জানবে। এই ভাবে জিদু এই শহিদ মুক্তি যদ্ধা পরিবারের এক্তুও ঋণ শধ করতে পারি। অনেক ধন্যবাদ রুমি তোমাকে ।আর আলক্রেখার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ,ভাল থেক । জয় বাংলা লুবনা মরিয়াম
ReplyDeleteসবাই আমারা লিখি কল্পনায় ভর করে অন্যের উপমা দিয়ে। কিন্তু তুমি সব সময় নিজেকে নিয়ে লেখ তা আমরা করিনা বা পারিনা ।সাহস বা রসদের অভাব হয়তো ,তাই তমার লেখা আমার ভাল লাগে। ক্লাসে শুধু নাচ আর নাচ এর জন্য কত বকা দিয়েছি । বকা কাজে লেগেছে আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি তোমার শিক্ষক। অনেক ভাল থেক ! সুন্দর থেক !
ReplyDelete