alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    আমি স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখিনি ~~~~~~সানজিদা রুমি



    আমি স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখিনি
    সানজিদা রুমি

    আমি ৭১'র যুদ্ধ দেখিনি
    দেখিনি ক্ষত বিক্ষত মানুষের লাশ শকুনে খাওয়া
    শুনিনি কোন ধর্ষিতা নারীর ক্রন্দন।
    আমি শুনেছি--
     আমার শাশুড়ির পুত্র হারানোর আর্তনাদ।
    কারণে অকারণে তার রোষ
    বলতে না পারা ক্রোধের দহনে
    এক ষোড়শী পুত্রবধূকে ঝলসানো।
    না আমি স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখিনি
    দেখিনি আগুনে পড়া বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ।

    ইরাবতী আর মোহন কথা............. সুলতানা শিরীন সাজি

    ইরাবতী আর মোহন কথা
    সুলতানা শিরীন সাজি

    বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সেই আমাকে তুমি চিনতে যখন,আমি তখন পুরাতন টেন এর ছাত্রী।তুমি নতুন টেন।কালিশংকর গুহ রোডের অংকের মাস্টারমশাই এর বাড়িতে দেখা হতো।আমি যখন ইলেকটিভ ম্যাথ এর জটিল অংক নিয়ে ঘামছি!
    তুমি অনায়াসেই সেটা সলভ করে কাগজটা বাড়িয়ে দিতে।
    যতই বারণ করছি,ততই পিছু পিছু বাড়ি ফিরছো।
    সাইকেলের টুংটাং এ সচকিত হতো বিকালের ছায়াপথ!
    ব্রহ্মপুত্রের ধারে একবার বন্ধুদের সাথে।সেখানে পৌঁছে গেছিলে। 

    ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একটি নাম একটি চেতনা



    ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একটি নাম একটি চেতনা 

     ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয়মাস ব্যাপী সংগঠিত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এদেশের দামাল যোদ্ধারা যখন বিজয়ীর বেশে ঘরে ফিরে এলেন, তখন তাদের আমরা বরণ করে নিয়েছিলাম ফুলেল সংবর্ধনা ভালবাসায়। তাদের বীর উপাধি দেয়া হয়েছিল, সম্মান দেয়া হয়েছিল, সমাজেও তারা অর্জন করেছিলেন বিশেষ স্থান। কিন্তু ঘরে ফেরা যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা সম্মানের সাথে ঘরে তুলে নেয়া হলেও এই সে যুদ্ধে যে দুই লাখ মা-বোন হারিয়েছিলেন তাদের সম্ভ্রম, হারিয়েছিলেন সর্বস্ব- তাদের সমাজ কোনো সম্মানই দেয়নি। বরং তাদের বর্জন করা হয়েছিল সমস্ত সামাজিক আচার অনুষ্ঠান থেকে, আড়ালে রাখা হয়েছিল সমস্ত ভাল কাজ থেকে।তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে যেটা দেয়া হয়েছিল তার নাম অপবাদ, তার নাম লজ্জা।

    মেহরাব রহমানের কবিতা পাঠ

    কবিতা কি শুধুই সুন্দরের উৎপ্রেক্ষা? এ সুন্দরের পরিসীমা কতদূর? ‘অতি দূর সমুদ্রের পর’ কি? শুধুই কি প্রিজমে নিক্ষিপ্ত আলো শতধা বিচ্ছুরিত হয়ে এ সুন্দরকে প্রকাশ করে? আঁধারের কি কোন সৌন্দর্য আছে? অবচেতন মনের চেতনার কি সৌন্দর্য আছে? সে সুন্দর কি দেখা যায় নাকি অনুভবের?  সুন্দরের আরাধনা শুধু আলোর কাছেই নয়, আঁধারের নিকষকালো নগরীর গভীরে লুকিয়ে থাকাও এক অনুভবও এ আরাধনা। সে অনুভবও আত্মাকে, চিত্তকে করে তোলে বিমোহিত, মনকে রাঙিয়ে দেয় সন্ন্যাস এক উড়ু– উড়ু– সমীরণের হিল্লোলে। কবিতার বিশুদ্ধবাদীরা এভাবে কবিতাকে নিয়ে যান দূর এক গভীর মহাসাগরের বুকে জাহাজের পালতোলা খুঁটিতে, যেখানে খেয়ালী চোখে বসে আছে একটি সী গাল।

    সমাপ্তি কি সমাসন্ন?

    সমাপ্তি কি সমাসন্ন? 

    চারদিকে সাজ সাজ রব Open AI এর ChatGPT কে নিয়ে! সবাই বলছেন আলাদিনের আশ্চৰ্য প্রদীপের মত 'চাওয়া মাত্র হাজির' করে দেওয়ার ক্ষমতাধর এই App আমাদের সমস্ত সৃজনশীলতাকে ম্লান করে দেবে এবং সম্ভবত ছাড়িয়ে যাবে! সেদিন আমার এক বন্ধু ChatGPT কে বাংলায় একটা কবিতা লিখতে বলার ১ মিনিটের মধ্যে এই App একটা নাতিদীর্ঘ মোটামুটি সুন্দর কবিতা লিখে দিলো! বিষয়বস্তু, শব্দ-চয়ন, বাক্য-বিন্যাস ও শুরু-শেষের সাথে সামঞ্জস্য ইত্যাদি বিষয় বিচারে কবিতাটি মোটামুটি ভালো।  আপনারা জানেন যে এই App সম্ভাব্য উত্তর লিখতে পারেনা এমন প্রশ্ন নেই! যদিও এর জ্ঞানের পরিধি ২০২১ সাল অবধি লভ্য সব তথ্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, তবে এটা সহজেই অনুমেয় যে এই সীমাবদ্ধতা নিতান্তই সাময়িক!

    একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন


    একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন

    একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এদিনটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত দিন হিসেবে পরিচিত।

    ঋতুরাজ বসন্ত~~~~~~~~~~~~ সানজিদা রুমি



    ঋতুরাজ বসন্ত
    সানজিদা রুমি 

    শীতের রুক্ষ, হিমেল দিনের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা আর ফুল বসন্তকে করে তুলেছে 'বিশেষ ঋতু'। এত রূপ, রস, আর লাবণ্য নিয়ে প্রকৃতিতে আর কোনো ঋতু হাজির হয় না। তাই বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ। পয়লা ফাল্গুন বা পহেলা ফাল্গুন  বাংলা পঞ্জিকার একাদশতম মাস ফাল্গুনের প্রথম দিন ও বসন্তের প্রথম দিন। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন পালিত হয়। বাংলার  অঞ্চলে প্রাচীন আমল থেকেই বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছে।  বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়।

    ভালবাসার ইতিকথা ............ তাসরীনা শিখা

     

    ভালবাসার ইতিকথা   

    তাসরীনা শিখা

    মানুষের জীবন একটা ।কিন্তু এই এক জীবনে  একেক বয়েসের ভাবনা একেক রকমের। আরে এই  ভাবনার অধ্যায় গুলো সবাইকেই পেড়িয়ে আসতে হয়। আমাকেও হয়েছে। তরুন বয়সে একটা  ভাবনা আমার মাথায় ঘুরপাক খেতো সেটা ছিলো , যারা  ভালোবেসে বিয়ে করে তাদের দাম্পত্য জীবনটা না জানি কেমন হয়। নিশ্চয়ই ভীষণ সুখের এবং আনন্দের। যাকে  ভালবেসেছে তাকেই বিয়ে করতে  পেরেছে। আমার সব সময় ইচ্ছে ছিলো যাকে বিয়ে করবো ভালোবেসে করবো অচেনা একটা মানুষকে কোন  অবস্থাতেই  করবো না। কিন্তু  দুর্ভাগ্য বলি আর সুভাগ্য বলি আমার ভালোবেসে বিয়ে করা হয়নি। আমার অধিকাংশ বন্ধুরা  ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো কিন্তু তাদের বিয়ের পরের জীবনটা কেমন  হয়েছিলো সেটা জানার সুযোগ আমার হয়নি ।কারন তাদের বিয়ের আগে আমার বিয়ে হয়ে গেছিল , তারপর বিদেশ যাত্রা

    ফিরে আসে আলো! --------- আশরাফ আলী

     

    ফিরে আসে আলো!
    - আশরাফ আলী 

    আলোর সাথে আত্মীয়তা আমার 
    জন্মের সেই মহেন্দ্রক্ষণ থেকে !
    অমিতাভ হয়ে অহরাত্রি অঞ্জলি দিয়ে 
    আঁধারের সাথে আঁতাতে অপারগ 
    আমার অস্তিত্ব অনুক্ষণ।

    সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি নাম।



    সুচিত্রা সেন

    সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি নাম। অনন্য সৌন্দর্যের সঙ্গে ভুবন ভোলানো আবেদনময় মিষ্টিহাসি আর অসাধারণ অভিনয় শৈলীর কারণে চিরকালীন বাঙালি সুচিত্রা সেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মন জয় করেছেন।সুচিত্রা সেন (৬ এপ্রিল ১৯৩১ – ১৭ জানুয়ারি ২০১৪) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী  তার জন্মগত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। তিনি মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

    কবিতা কন্যা]---------- মেহরাব রহমান




    নুতন কবিতা
    নুতন ধারা

    ১ ডিসেম্বর, ২২০২ ইং
    টরন্টো

    কবিতা কন্যা
    মেহরাব রহমান 

    জমকালো ঝর্ণা ধারা…
    আজ  শ্রাবণের প্লাবনে 
    পরিপূর্ণ আকাশ 
    এ তাঁর প্রকাশের স্বাধীনতা 
    অপূর্ব নীলিমায় আঁকা 
    প্রতিদিনের সূর্য-চেতনা
    বিস্ময়কর রচনা 
    ভালোবাসা উন্মাদ
    উত্তাল সমুদ্দুর 
    উগ্র উনুন জ্বলে

    দেবব্রত সিংহ -----একাদশী

     প্রান্তভাষী আয়োজিত বাংলার লোকসাধারণের কবিতার অনলাইন কর্মশালায়  বিনম্র নিবেদন---









     http://www.alokrekha.com

    আমার ফিরে আসা! ~~~~~~~~সানজিদা রুমি

    আমার ফিরে আসা!

    আমার একটার পর একটা অসুস্থতার নজরদারি করেই নিজের জীবনটা কাটালো সে! কিন্তু এ নিয়ে তাঁর অভিযোগ ছিলোনা কোনো! ছিলোনা কোনো আক্ষেপ, কিংবা কোনো অভিযোগ!  বরং আমার জীবনটাকে সে ভরিয়ে রেখেছিল হাসি, গল্প, কথকতায়, জ্ঞানে এবং বৈচিত্র্যে! আর এর ফলে আমার নিজের বয়সের কথা মনে ছিলোনা,  ছিলোনা কোনো দুশ্চিন্তা আমার ভবিষ্যতকে নিয়ে! আমার অতীতের কথাও যেন মনে ছিলো না। আমার ছিলো শুধু বর্তমান। ছিলো আমার হাসিখুশির সংসার, ছিলো আমার গান শোনা , আমার কবিতা, আমার নাটক, আমার আলোকরেখা। তারপর একদিন হঠাৎ দেখি, কিছু নেই। সব শূন্য, সব ফাঁকা! ঘর শূন্য, বিছানা শূন্য!

    হিন্দি কবি গুলজারের কবিতার অনুবাদ করার প্রচেষ্টা

    হিন্দি কবি গুলজারের কবিতার অনুবাদ করার প্রচেষ্টা 
    कोबी गुलज़ार  साब की कविता….. माकन  की  ऊपरी  मंज़िल  पे  अब  कोई  नहीं  रहता 


    কবি গুলজারের কবিতা। 
    অনুবাদঃ সানজিদা রুমী 

    বাড়ির উপর তলায় এখন কেউ থাকে না আর।  

    বাড়ির উপর তলায় এখন কেউ থাকে না আর, 
    ওই ঘরগুলো বন্ধ বহুদিন ; 
    যে সিঁড়ির চব্বিশটি ধাপ গিয়ে ঠেকতো সেখানতক 
    সেটা আর উপরতক যায় না এখন। 
    বাড়ির উপর তলায় এখন কেউ থাকে না আর। 

    এই বড়দিনের শেষে ।

    এই বড়দিনের শেষে ।  

    কেউ কেউ বলছেন এটা কোভিডকালীন দীর্ঘ সময় ধরে অন্তরীণ থাকার কারণে, অন্যেরা বলছেন এটা কোভিড এর ভ্যাকসিন নেবার ফলশ্রুতি - সব সময়ের জন্যে এক ধরণের নৈর্ব্যক্তিকতা, একটা উদাসী মনোভাব, একটা প্রচ্ছন্ন বিষন্নতা - যেন আচ্ছন্ন করে রাখছে মনটাকে ! আমার মতো যারা পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন, আত্মীয়-স্বজন, কাছের বন্ধুদের কাউকে হারিয়েছেন তাদের এই মানসিক অবস্থাকে স্বাভাবিক বলে অনেকে যুক্তি দেখাচ্ছেন! কিন্তু যারা  সৌভাগ্যক্রমে কাছের তেমন কাউকেও হারান নি তারাও যখন একইভাবে এই মানসিক অবস্থার কথা বলছেন তখন বিষয়টাকে অন্য প্রেক্ষিত থেকে অবলোকনের এবং এর সঠিক কারণটা জানার চেষ্টা করা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়!