আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও দুঃ খ হ র ণ----------- দেবব্রত সিংহ ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    দুঃ খ হ র ণ----------- দেবব্রত সিংহ



    দুঃ খ হ র ণ
    দেবব্রত সিংহ
    ইস্টিশানের কাছে
    খালপাড়ের বড় রাস্তার ফুটপাতে
    ওদের সংসার,
    একফালি পলিথিনের ছাউনি
    কাপড়ের পুটলি, রেলিঙে ঝোলানো থলে,
    এনামেলের হাঁড়ি, কড়াই, থালা, বাটি, গেলাস,
    হাতল ভাঙ্গা চায়ের কাপ, প্লাস্টিকের বালতি, ইত্যাদি
    এর বেশি আর কিছু নেই
    ওদের ফুটপাতের সংসারে এর বেশি নেই কিছুই
    তবু আধময়লা ছেঁড়া গেঞ্জি গায়ে
    ঘাড় গুঁজে বিড়ি বাঁধতে বাঁধতে
    একমুখ হাসি হেসে বছর পঞ্চাশের
    সেলিম মিঞা বললে,
    "নেই বাদ দিয়ে আছে র হিসাব করুন কত্তা
    দেখবেন সব হাওয়া
    যত দুঃখ
    সব হাওয়া"
    গলির মোড়ে ভাতের হোটেলে বাসন ধুয়ে
    সবে ফিরলে সালমা বিবি
    তাকে দেখে পুরনো দিনের গপ্পো জুড়ে দিলে সেলিম
    "তখন ইস্টিশানে রিকশা টানি
    একদিন এক বাদল দিনে হঠাৎ দেখা ওর সঙ্গে
    তখন কাজের মাসির কাজ করত পাঁচবাড়িতে
    তারপর আর কি
    তারপর রেল কলোনির লাইনধারের বস্তিতে ঘর বাঁধা
    বছর ঘুরতে ফুটফুটে ছেলে
    সে বড় হলে ইস্কুল ছেড়ে
    কাজ শিখতে গেল নিতাই মিস্ত্রির গ্যারেজে
    তারপর হেলপার থেকে মিস্ত্রি না হতেই
    কোথায় যে গেল চলে
    সে আর এলো না ফিরে
    এখন ভাবি না ওসব
    ভেবে কি হবে
    সব আল্লার দয়া
    তাঁর দয়াতে ছেলে আমাদের কোথাও না কোথাও আছে
    ভালোই আছে",
    আমি অবাক হয়ে শুধোলাম,
    ছেলে যে নেই এ কথাটা মনে হয় না
    এ কথাটা একবারও মনে হয় না আপনার,
    উত্তরে সেলিম ভাইয়ের হো হো করা হাসি,
    "নেই বাদ দিয়ে আছে র হিসাব করুন কত্তা
    দেখবেন সব হাওয়া
    যত দুঃখ
    সব হাওয়া" 

     http://www.alokrekha.com

    0 comments:

    Post a Comment

    অনেক অনেক ধন্যবাদ