আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও সুরঞ্জনার অনন্দিত উত্তরন ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    সুরঞ্জনার অনন্দিত উত্তরন

    সুরঞ্জনার অনন্দিত উত্তরন


    সমাজ,সভ্যতা, দেশ বদলায়... সময় বদলায় এমন কি সীমানাও বদলায়। শুধু বদলায় না মেয়েদের জীবন। আমি একজন মহিলা তাই তাই আমার অতি সামান্য ক্ষুদ্র চেষ্টা মেয়েদের জীবন গাঁথা নিয়ে লেখার।


    জীবন খাতার প্রতি পাতায় অনেক লেখা জোখা, অনেক রঙের আঁকিবুঁকি ।প্রায় ৫৫ পাতা পৃষ্ঠা শেষ হয়েছে । জানি না পুরো বইটা শেষ করতে আর কত পৃষ্ঠা লাগবে ? বইটা শেষর পথে । যে কোনদিন সমাপ্তি ও শেষ সংহার লেখা হয়ে যাবে । এখন শুধু অনিমেখ প্রতিক্ষা শেষ হবার, যদিনা কোন নতুন অঙ্কের উদ্ভাবন হয়। যেহেতু যে কোনদিন বইটা লেখা শেষ হয়ে যাবে তাই জীবনের পাতাগুলো নেড়ে চেড়ে দেখা উচিৎ। সংশোধনের জন্য নয় ...সংশোধন করার ক্ষমতা আমার নেই সেতো লেখকের ইচ্ছে তার কলমের খোঁচায় রচিত। আমিতো তার লেখা বইয়ের একটা চরিত্র মাত্র। সবই নিজের ইচ্ছেমত লেখা, তার অভিপ্রায়, উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, লক্ষ্য, অভিলাষ আমাদের প্রতিটি চরিত আখ্যান, কাহিনী, গল্প, ধারাবাহিক বর্ণনা, কড়চা, বর্ণিত বিষয় তার ইচ্ছাবৃত্তি।লেখক সকল ক্ষমতার স্বত্বাধিকারী অধিপতি একছত্র নৃপতি । সেই আমাদের চরিত্র নিয়ে খেলা করে ভাঙে গড়ে আপন মনে। লেখক সমাজ,সভ্যতা, দেশ বদলায়... সময় বদলায় এমন কি সীমানাও বদলায়। শুধু বদলায় না মেয়েদের জীবন গাঁথা জীবন।আচ্ছা লেখক কি বিরক্ত অথবা তার কলম ক্লান্ত হয় না মেয়ের জীবনধারা একই রকম সৃজন করা লিখতে লিখতে।

    সুরঞ্জনার বয়স এখন ৫০ এর কোঠায়। এখন তার কথা হয় শুধু স্মৃতির সাথে। স্মৃতির ভেলায় ভাসতে ভাসতে চলে যায় দূর থেকে দুরান্তরে কোনো বাধা না পেরিয়ে অনায়াসে। স্মৃতির তো কোনো বয়স নেই না আছে কোনো সীমানার বাধা । সেই স্মৃতির মাঝখান থেকে সুরঞ্জনা তুলে নেয় সেই ১৬ বছরের মেয়েটিকে। চপলা চঞ্চল আঁখি আর বলগা হরিণী মত দুরন্ত......বঙ্কিম ভুরুযুগল তার......উজ্জ্বল কজ্জল-আঁখিতার... সন্ধিতে পারে লক্ষ্য এমনি কীণাঙ্কিত বাহু তার.........বিঁধিতে পারে যে কারো বক্ষ মধুর স্বরে ।নাই ভয়, নাই শঙ্কা...আছে নিষ্ঠুর সুন্দর রঙ্গ, নীরব ভঙ্গির সঙ্গীতলীলা ছন্দমধুর ইঙ্গিত তে ধরে পড়েছিল সেই অচেনা ধন চির চেনার সাথী। সে যে বাজিয়েছিলে সুরঞ্জনার বুকের তমাল তরুমূলে মোহনবাঁশিঁ। আচ্ছা সেকি এখনও সুরঞ্জনার কথা ভাবে ? এখনও কি সেই গীত গায়? সুরঞ্জনা তখন একাদশ শ্রেণীতে ,পরনে শাড়ি, কপালে লাল গনগনে ,দু হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি। সারাক্ষণ ঝনঝনিয়ে ছুটে বেড়ায়।আর সেই চুরির অনুরনে মানুষটার হৃদয় বড্ড চঞ্চল হতো বলে কতবার কপট বকুনি খেয়েছে সুরঞ্জনা।প্রতিউত্তরে আরো জোরে চুড়ির ঝংকারে আরো উতলা করেছে তাকে।
    সুরঞ্জনা জানালার পাশে ডেস্কে বসে অঙ্ক করে একতলার ক্লাশ ঘর ...বাইরে সে সুরঞ্জনার পানে নিস্পলক চেয়ে রয় অবিরত... পাশেই বন্ধুদের আসর। স্বীকার করি দুজনকেই বেশ মানিয়ে ছিল ভালো। জুড়িয়ে দিল চোখ তার , পুড়িয়ে দিল মন সুরঞ্জনার রূপের আলো।সে কেবলি গাইত " ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে"। সুরঞ্জনা এক দৌঁড়ে পালিয়ে যেত কেন্টিনে বা দফতরীর ঘরে। তবুও সে আগলে দাঁড়াতো আগল দুয়ার।সে ভালবাসত ফুল,প্রজাপতি,গান পূর্নিমার চাঁদ আর সুরঞ্জনাকে।
    সেদিন সুরঞ্জনা তাঁর আশা পূরণ করতে পারেনি। তাই আজ ৫০ বছরে তোবড়ানো মুখ ,ভেঙ্গে যাওয়া বুক নিয়ে তাঁর উদ্দেশ্য সুরঞ্জনার এই অর্ঘাঞ্জলি।জানি সে যেখানেই আছে সুরঞ্জনার এই প্রয়াসে তাঁর পূজার থালি পূর্ণাঙ্গ হবে।



    রংধেনুর  সাত রং।  কিন্তু আমরা যদি তাদের একসঙ্গে মিশ্রিত করা এটা একটি মাত্র রঙ সাদা এটা আমরা আমাদের জীবন দিয়ে কিভাবে মোকাবেলা করবে আমাদের ওপর নির্ভর করে. উভয় ক্ষেত্রেই আমরা এক সাদা রং বা পৃথক ৭ অন্যান্য রং নির্বাচন করুন এবং একটি রামধনু মত আমাদের জীবন করতে পারেন .... নারী সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আছে. হাল ছেড়ো না, কখন পিছু হটবে. তারা পড়ে তাদের কুড়ান, এবং উপর স্থানান্তর করতে পারেন. তারা আস্থা, অধ্যবসায়, স্ব-বিশ্বাস, সামর্থ্য অভিজ্ঞতা এবং ইচ্ছাশক্তি আছে. আর সবচেয়ে মহৎ জিনিস স্ত্রীলোকের শক্তি তার আত্মা মধ্যে পাওয়া যাবে. "জ্ঞাতব্য" তার জায়গায় - তার ঈশ্বরের connection- শক্তি, নবজীবন এবং সহ্য একটি অবিরাম প্রবাহ পাওয়া যাবে. পরিবার, বন্ধু, সহকর্মীদের, এবং মত - তিনি তখন তার বিশ্বের সঙ্গে তার শক্তি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন. প্রায়ই সে যখন তার "সমর্থকদের" ওখান থেকে বেরিয়ে এই শক্তি ড্রেন ধসা হয়ে যাব তার অরক্ষিত এবং দুর্ঘটনা এবং অসুস্থতা প্রবণ. তা সত্ত্বেও একটি মহিলার পূর্ণ বৃত্ত. তার মধ্যে স্ববিরোধ সৃষ্টি এবং রুপান্তর শক্তি. নারী গ্রহণ না. তিনি চ্যালেঞ্জ হবে. তিনি যা তার চারপাশে গড়ে উঠেছে তা হল ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে না করা আবশ্যক. তিনি যা অভিব্যক্তি জন্য হিমশিম খাচ্ছে তার মধ্যে যে নারী ভয় নয়. সেখানে একজন মহিলা যিনি নিজেকে বিশ্বাস করে, কে জানে সে যে কোন কিছু সে তার মন রাখে সক্ষম সম্পর্কে একটি ভেতরের সৌন্দর্য. সেখানে শক্তি এবং একজন মহিলা যিনি তার নিজস্ব পাথ, যারা পথ বরাবর অবমুক্ত দ্বারা বন্ধ নিক্ষিপ্ত না হয় অনুসরণ সংকল্প একটি সৌন্দর্য. তাই আমার ম্যাসেজ আপনি দুর্বল না হয় এবং তোমাদের সত্যি বলছি, যদি আপনি একটি সরিষা হিসাবে ছোট হিসাবে বিশ্বাস আছে, আপনি সেখানে থেকে এখানে থেকে এই পাহাড় সরাতে পারেন. কিছুই অসম্ভব না. নিজের উপর বিশ্বাস রাখো! আপনার ক্ষমতার মধ্যে বিশ্বাস আছে! সংকল্প এবং আপনার নিজের ক্ষমতা আত্মবিশ্বাসকে আপনি সফল বা সুখী হতে পারি.

    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত

    0 comments:

    Post a Comment

    অনেক অনেক ধন্যবাদ