আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও ৭ই মার্চ বাঙালির জীবনে এক অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    ৭ই মার্চ বাঙালির জীবনে এক অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন





    ৭ই মার্চ বাঙালির জীবনে এক অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন । দিনটিতে মুক্তিকামী জনতার  ঢল নেমেছিল গন্তব্য রেসকোর্স ময়দান(বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।  হাজার বছর ধরে নানাভাবে শোষিত হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। প্রতিবারই বাংলা তার সবটুকু শক্তি দিয়ে গড়ে তুলেছে প্রতিরোধ- নির্ভয়  চিত্তে।

    তবুও  পুরো জাতিকে একটি আদর্শবোধে ঐক্যবদ্ধ করতে পারিনি কেউ। বাঙ্গালির হাজার বছরের স্বাধীনতার ও  মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে ভাষা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
    যুগ সন্ধিক্ষণে তিনি এমন এক বাণী বাঙ্গালির অন্তরে রোপিত করে দিয়েছিলেন, যা সম্ভবনায় ও আশা  উদ্বেলিত করেছিল গোটা জাতিকে। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সে ভাষণ রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশলের এক  রুপরেখা।মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালেই  ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  রেসকোর্স ময়দান(বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এ  এক জনসভায় স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন।  বাঙালি পরাধীনতার শিকলে ও অনিশ্চয়তার বেড়াজালে বন্দি এক দিশেহারা জাতি।

     
    যখন স্বাধীনতার জন্য অধীর অপেক্ষায়, তখন একটি বজ্রকন্ঠ উচ্চারণ, পুরো জাতিকে নতুন প্রেরণায় উদ্দীপ্ত করলো। মন্ত্র জপে দিল মুক্তির-স্বাধীকারের। “গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি;/ ‘এবারের ।সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ” এমন কাব্যিক ভাষায়ই সেদিন স্বাধীনতাসংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
    বঙ্গবন্ধু তাঁর ২২ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, .'এরপর যদি একটি গুলি চলে, এরপর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়-তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। ....আমি যদি তোমাদের হুকুম দিবার নাও পারি তোমরা সব বন্ধ করে দেবে। .... রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।'দেশের জনগণকে স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রূর মোকাবিলা করতে হবে…প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো এবং তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। ’


    বঙ্গবন্ধুর সেই ডাকে জেগে উঠেছিল মুক্তিপাগল জনতা। পেয়েছিল স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। মুক্তিকামী বাঙালি নিয়েছিল চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি। ৭ ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ স্বাধীনতার ইতিহাসে মহামূল্য এক অধ্যায়। মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। একাত্তরের এই দিনে স্বাধীনতার মহানায়ক রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ১৯ মিনিটের ভাষণে সাড়ে সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন। আগুন জ্বালিয়েছিলেন কোটি প্রাণে।অল্প সময়ের ওই ভাষণেই বঙ্গবন্ধু তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির সামগ্রিক বিষয়ে আলোকপাত করেন, জাতিকে প্রয়োজনীয় দিকনিদের্শনা দেন। তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, জনগণের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা  হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।


    ৭মার্চের ভাষণের মাধ্যেই সূচিত হয়েছিল স্বাধীনতার জন্মসূত্র।স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তত্কালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বলিষ্ঠ কণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা এদেশের জনগণকে বিপুল শক্তি ও সাহস যোগায় এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।  তবে এ ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একইভাবে সকলকে অনুপ্রেরণা যোগায় বলেও মনে করেন এই ইতিহাসবিদ। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উত্স হয়ে থাকবে।






     তথ্য সূত্র : মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ আল,উকিপিডিয়া youtube 


    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    3 comments:

    1. বিদেশে বসে কখন ৭ই মার্চ আসে যায় কিছুই টের পাই না। আজ বিশ্ব নারী দিবস পালন করছি। অথচ আমার নিজে শিকড় ভুলে গেছি। অনেক ধন্যবাদ সানজিদা ও তোমার আলোকরেখাকে এতো তথ্য দিয়ে আমাদের কে মনে করিয়ে দেবার জন্য। ছেলেকে পড়াব

      ReplyDelete
    2. @ azra salam-- এখন আর শুধু রুমিদির আলোকরেখা না। এটা এখন আমাদের সকল টোরোন্টোবাসী বাংলাদেশিদের। এখানে অনেক পত্রিকা বেরোয় কিন্তু মনের মোট লেখা পাওয়া যায় না। মনে হয় চর্বিত চর্বন আর প্রদর্শনীর মেলা। আলোকরেখায় প্রশান্তি আছে চোখের, প্রজ্ঞার আর মননের। দিদি অনেক ভালবাসা তোমাকে...।

      ReplyDelete
    3. সানজিদা আপা আমরা ৭ ই মার্চের ভাষণ শুনেছি টিভি বা ক্যাসেটে। অনেক উত্তেজনা অনুভব করেছি। আপনার আগেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে লেখা পড়েছি। কিন্তু আপনি যেভাবে বিরল ভিডিও ও সহজ শক্তিশালী লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তা পরে মনে সত্যি মনে হচ্ছে আমি ওখানে ছিলাম। অনেক ধন্যবাদ

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ