নৃত্যকলার ইতিহাস
নৃত্য মানুষের মনোজাগতিক প্রকাশভঙ্গি।নৃত্যকলার মুদ্রা,তাল ছন্দ ও অঙ্গভঙ্গির সাথে মানুষ তার নিজ যোগাযোগের বিভিন্ন
আঙ্গিকের তুলনা
করে
।প্রগৈতিহাসিক কালে প্রাচীন মানবের বিভিন্ন আচার উৎসবে নৃত্যকলার প্রমান পাওয়া যায়।
করে
।প্রগৈতিহাসিক কালে প্রাচীন মানবের বিভিন্ন আচার উৎসবে নৃত্যকলার প্রমান পাওয়া যায়।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনেও নৃত্যকলার প্রমাণ আছে।
খৃষ্টপূর্ব ৩৩০০ সালে মিশরীয় দেয়ালচিত্রে ও ভারতের গুহাচিত্রে নৃত্যকলার ভঙ্গি উৎকীর্ণ আছে। এই খোদিত নৃত্যকলার ভঙ্গি থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয় কিংবদন্তী কাহিনীর বর্ণনা।বর্ণমালা প্রচলনের আগে নৃত্যকলার এই পদ্ধতির মাধ্যমেই এই সব গল্প কথা যুগে যুগে বংশ পরম্পরায় চলে আসতো।
নৃত্যের প্রচলন হয় সেই আদিম যুগ থেকে ভাষা আবিষ্কারের পূর্বে, পরে
শুরু করে নব্য প্রস্তর, নিওলিথিক,কৃষি বিপ্লব আগুন আবিষ্কার আধুনিক জুজে তার বিকাশ প্রচার ও প্রকাশ লাভ করে। জ্ঞাত মানব ইতিহাসেরপ্রাচীনতম মুহূর্ত থেকে,নাচ প্রাচীন ধর্মানুষ্ঠান,আধ্যাত্মিক সমাবেশ ও সামাজিক ঘটনা অনুষঙ্গী সমাধি,আধ্যাত্মিক শক্তি, আনন্দ,কর্মক্ষমতা মিথস্ক্রিয়া আনন্দ উচ্ছাস বিনোদন চিত্তরঁজন ও অভিব্যক্তি প্রকাশের প্রণালী হিসাবে আমাদের অস্তিত্বে মিশে আছে।
খৃষ্টপূর্ব ৩৩০০ সালে মিশরীয় দেয়ালচিত্রে ও ভারতের গুহাচিত্রে নৃত্যকলার ভঙ্গি উৎকীর্ণ আছে। এই খোদিত নৃত্যকলার ভঙ্গি থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয় কিংবদন্তী কাহিনীর বর্ণনা।বর্ণমালা প্রচলনের আগে নৃত্যকলার এই পদ্ধতির মাধ্যমেই এই সব গল্প কথা যুগে যুগে বংশ পরম্পরায় চলে আসতো।
প্রথম আফ্রিকান উপজাতিরা যুদ্ধের সময় আর জয়ের পর চার কোণ জুড়ে সঙ্গীত ও নৃত্য করতো। তাদের চিত্রকলায় এর প্রমান করেছে
ভারতে ৯000 বছর প্রাচীন গুহাচিত্রে নৃত্যকলার প্রমাণ পাওয়া গেছে সময়য়ের সাথে সাথে নৃত্য
কলা আরও ব্যপকতা লাভ করে তৃতীয় সহস্রাব্দে (খ্রিস্টপূর্ব) নৃত্যকলা হয়ে ওঠে মিশরী
দেরতার ধর্মীয আচার অনুষ্ঠানে অবিচ্ছদ অংশ মিশরীয় পুরোহিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার
অনুকরণ দেবতাদের গল্প-নক্ষত্র-সূর্য চলন্ত মহাজাগতিক নিদর্শন ইত্যাদিতে ব্যবহার
করত বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্যকলা প্রাচীন গ্রীক ঐতিহ্যে নাচঅপরিহার্য্য ছিল নিয়মিত
জনসাধারণের সম্মুখে প্রদর্শিত হত(যাশেষ পর্যন্ত ৬ষ্ঠ শতাব্দীর খ্রিষ্টপূর্ব
বিখ্যাত গ্রিক থিয়েটারের জন্ম দেয়)।গ্রীক সংস্কৃতির প্রাচীন পেইন্টিং থেকে জানা যায় নাচ
ধর্মানুষ্ঠানে বিশেষ ভুমিকা পালন কর্তো।সনাতন হিন্দু ধর্মানুষ্ঠানে "শাস্ত্রীয়
নৃত্য”যা আজও প্রথাগত ভাবে চলে আসছে।
অবশ্য,প্রাচীনকালে সব নাচ ধর্মীয়
উদ্দেশ্যে ছিলনা।সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য নাচ ব্যবহৃত হত।পরবর্তীতে রোমান ও গ্রিক দেবতার সম্মানে কয়েক দিনের জন্য বার্ষিক উদযাপন নাচ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তখন ব্যালে আবিষ্কার হয় ও ধনী শ্রেণীর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।রেনেসাঁ শুরুর আগে ইউরোপীয় নাচ তেমনভাবে নথিভুক্ত করা হয় নি। কিন্তু মৌলিক "chain-shaped" নাচ ইউরোপ জুড়ে সবচেয়ে চর্চা ও প্রচলিত ছিল, কিন্তু রেনেসাঁ 'র আগমনে নতুন ফর্ম এর ফ্যাশন অনেক অন্যান্য শৈলী প্রবর্তিত হয় এবং স্পেন, ফ্রান্স এবং ইতালি থেকে রেনেসাঁ নাচ শীঘ্রই" baroque " নাচ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যা ফরাসি এবং ইংরেজি আদালত দ্বারা অনুমোদিত হয়।
ফরাসি বিপ্লবের শেষে নাচ অনেক নতুন ধরনের নাচের প্রচলন শুরু হয়।নারী পোশাকে উপর নিয়ন্ত্রণ কম হতে থাকে তার সাথে "Skipping ও Jumping" নাচে অন্তর্ভুক্ত হয়।এই নাচ শীঘ্রই তথাকথিত "International Polka Craze”(আন্তর্জাতিক যাযাবর জাতির নৃত্য " হিসাবে ঐ নাচের সুর উন্মত্ততা বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। ১৮৪৪ শুরুতে তথাকথিত "আন্তর্জাতিক যাযাবর-জাতির নৃত্যবিশেষ বা ঐ নাচের সুর উন্মত্ততা" বিখ্যাত হয় "Waltz"( দুইজনে চক্রাকারে নাচা) নামে। স্বল্প সময়ের পরে সৃষ্টি "Ballroom Dance" আধুনিক দিন দু'জন বিখ্যাত ব্যক্তি " Vernon and Irene” কে দিয়ে নৃত্যশালা শুরু হয়।
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত
http://www.alokrekha.com
http://www.alokrekha.com




লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে 













আলোকরেখায় নৃত্যকলা বিষয় প্রবর্তনের জন্য অনেক ধন্যবাদ ! নৃত্যকলার ইতিহাস ছবি সহ সত্যিই প্রশংশণীয়
ReplyDeleteআলকরেখা পরতে ভাল লাগে কারন সব বিষয়ে লেখা পাই। বিশেষ করে সানজিদা রুমির লেখা সব সময় তথ্যবহুল ও বিষয়ভিত্তিক লেখা লেখেন। একজন নৃত্য শিল্পীই নয় সবার জন্যই নৃত্যকলার ইতিহাস জানাটা জ্ঞানের পরিসর বাড়ায়।অনেক ভাল লাগলো
ReplyDeleteসানজিদা রুমির নৃত্যকলার ইতিহাস !লেখাটা এত অনবদ্য।যত-ই প্রশংসা করি কম।সানজিদা রুমির প্রতিটি লেখা সব সময় বিস্তারিত তথ্যবহুল। যা আমদের দীপ্ত প্রজ্ঞা দান করে। অনেক অনেক ধন্যবাদ !
ReplyDeleteকত কিছু জানতে পারি আলকরেখায়,তাই আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী ,অনেক অনেক ভাল লাগে অজানা কথা জানতে পেরে। সানজিদা রুমির নৃত্যকলার ইতিহাস ! !পড়ে মনে হল কত ক=ই অজানা। সাহিত্যের সাথে সাথে শিল্প সংস্কৃতিও জানা খুব প্রয়োজন। সানজিদা রুমির লেখা গুলো ব্যতিক্রম ধর্মী- তথ্য সম্বলিত।অনেক শুভ কামনা!
ReplyDelete
ReplyDeleteসানজিদা রুমি যে কোন লেখায় গবেষণা ও তত্ত্বানুসন্ধানের অন্বেষণ করে লেখেন যা আমাদের অর্থাৎ পাঠকদের জানার ও পড়ার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা দেন করে।নৃত্য- কলার ইতিহাস !লেখনিতে নৃত্যকলার ইতিহাস যে ভাবে ছবিসহ তুলে ধরেছে তা খুবই হৃদয়গ্রাহী । অন্য আরও লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।