পদচিহ্ন
মেহরাব রহমান
মানুষ ঠাসবুননে গড়া
পোড়ামাটি ঘর
অবকাঠামো নেই কোনো
দেহটা লৌকিক খাঁচা
ইট
কাঠ
বালি
চুন -সুরকি
পলেস্তারা
তারপর কঙ্করের ইমারত
পরতে পরতে বাহারি রং
রঙের ফানুস
পোশাক সভ্যতার খোলস
ধর্ম পায়ে পায়ে বেড়ি
ভেতরে বিপুল বিস্ময়
আলোক অতল তলে
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে প্রজ্বলিত রোদ
জীবন বোধ
মানুষের মানসপটে অংকিত
মনোরম সত্ত্বার
গোপন প্রকোষ্ঠে
রাত্রিদিন জেগে থাকে
দূর বাতিঘর
আলো অন্ধকারের রহস্য ভুবন
এক রূপঙ্কর আমি ছাড়া
কেউ নেই সেইখানে
মনোলোভা-মনোরঞ্জনের হোলিখেলা
সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু মানুষ
যুগে যুগে এই আমাকে
অলৌকিক লোকেরা
চিনিয়েছে ভগবান
ঈশ্বর
আল্লাহ
মহাপ্রাণ মহাপ্রভু
প্রেম-অপ্রেমে
এই দীর্ঘ পরিক্রমায়
জোয়ার-ভাঁটায়
জলতরঙ্গে
নানা তারে
নানা সুরে
বহতা জীবনের
সব মোহনায়
আমার সঙ্গে নিবিড়
জেগেছিল এবং
আজও জেগে আছে মানুষ
সুখ দিয়াছি মানুষেরে
দুঃখ দিয়াছি মানুষেরে
অনেক ঘৃণা
ঈর্ষা
দাগা
দিয়াছি মানুষেরে
আঘাত পেয়েও
ভালোবাসিয়াছি মানুষেরেই
এবং এখনও
তারই সঙ্গে ধ্যানমগ্ন অন্তরঙ্গ বসবাস
আক্রোশ
ক্রোধ
জিঘাংসা কোনো কোনো
মানুষের অভ্যন্তরে
কেননা মানুষ যন্ত্র নয়
তাই গহণ গহীণে
এত যন্ত্রনা
যে মানুষ আগ্রাসন দেয়
যে হন্তারক হয়
সে জরাগ্রস্থ মানুষ
পূর্বপুরুষের প্রবাহিত
অচেতন নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
দেশ
সমাজের
যাঁতাকলে প্রস্তুত
এক নষ্ট ফসল
পচন ধরেছে সত্ত্বায়
আমারই মতো
একটি অমূল্য আমি আছে
সবার ভেতরেই
অবিনশ্বর এই মানুষ
প্রেমশ্বরের অপূর্ব খেলা
বিমূর্ত সংগীত পৃথ্বীর
অনেক দীর্ঘ
পথ পাড়ি দিয়ে
মানুষের পদচিহ্ন খুঁজে খুঁজে
অমানিশা থেকে এসেছি এইখানে
আলোর ভুবনে
জেনেছি
মৃত্যুই শেষ কথা নয়
কেবল ঠিকানা বদল
খুঁজতে খুঁজতে
আমার আমির সন্ধানে
হেঁটে যাবো অগণন পথ ধরে
উল্টো হাওয়ায় চলতে চলতে
হয়তো অবসন্নতা
হয়তো অনুভবে আমি
ডুবন্ত জাহাজের দুরন্ত নাবিক
ভাঙা মাস্তুল আঁকড়ে ধরে পাড়ি দিচ্ছি
অসম্ভব এক বিপন্ন সময়
হয়তোবা খরস্রোতা সমুদ্দুর
হয়তো মগজে খেলবে তখন
বিকলাঙ্গ দুঃস্বপ্নের জলছবি
জলরং তেলরঙে পোকামাকড়ের হিজিবিজি আঁকিবুকি
জানি আমি ভাঁটার পর আবার উজান
সমুখে শান্তি পারাবার
সৌরমণ্ডলের অচেনা অচিন ছায়াপথ
পাড়ি দেব
হয়তো
প্লুটো
চমকিয়া নীল ভেনাস
রেড প্ল্যানেট মার্স
নেপচুন
কিংবা
জুপিটার
এভাবেই মধ্যাকর্ষণ শক্তিহীন মহাশূণ্যে
ভাসতে ভাসতে ক্লান্ত আমি
একদিন নিশ্চিত পৌঁছে যাব
চিরস্হায়ী বন্দোবস্ত নিজবাসভূমে l
মেহরাব রহমান
মানুষ ঠাসবুননে গড়া
পোড়ামাটি ঘর
অবকাঠামো নেই কোনো
দেহটা লৌকিক খাঁচা
ইট
কাঠ
বালি
চুন -সুরকি
পলেস্তারা
তারপর কঙ্করের ইমারত
পরতে পরতে বাহারি রং
রঙের ফানুস
পোশাক সভ্যতার খোলস
ধর্ম পায়ে পায়ে বেড়ি
ভেতরে বিপুল বিস্ময়
আলোক অতল তলে
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে প্রজ্বলিত রোদ
জীবন বোধ
মানুষের মানসপটে অংকিত
মনোরম সত্ত্বার
গোপন প্রকোষ্ঠে
রাত্রিদিন জেগে থাকে
দূর বাতিঘর
আলো অন্ধকারের রহস্য ভুবন
এক রূপঙ্কর আমি ছাড়া
কেউ নেই সেইখানে
মনোলোভা-মনোরঞ্জনের হোলিখেলা
সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু মানুষ
যুগে যুগে এই আমাকে
অলৌকিক লোকেরা
চিনিয়েছে ভগবান
ঈশ্বর
আল্লাহ
মহাপ্রাণ মহাপ্রভু
প্রেম-অপ্রেমে
এই দীর্ঘ পরিক্রমায়
জোয়ার-ভাঁটায়
জলতরঙ্গে
নানা তারে
নানা সুরে
বহতা জীবনের
সব মোহনায়
আমার সঙ্গে নিবিড়
জেগেছিল এবং
আজও জেগে আছে মানুষ
সুখ দিয়াছি মানুষেরে
দুঃখ দিয়াছি মানুষেরে
অনেক ঘৃণা
ঈর্ষা
দাগা
দিয়াছি মানুষেরে
আঘাত পেয়েও
ভালোবাসিয়াছি মানুষেরেই
এবং এখনও
তারই সঙ্গে ধ্যানমগ্ন অন্তরঙ্গ বসবাস
আক্রোশ
ক্রোধ
জিঘাংসা কোনো কোনো
মানুষের অভ্যন্তরে
কেননা মানুষ যন্ত্র নয়
তাই গহণ গহীণে
এত যন্ত্রনা
যে মানুষ আগ্রাসন দেয়
যে হন্তারক হয়
সে জরাগ্রস্থ মানুষ
পূর্বপুরুষের প্রবাহিত
অচেতন নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
দেশ
সমাজের
যাঁতাকলে প্রস্তুত
এক নষ্ট ফসল
পচন ধরেছে সত্ত্বায়
আমারই মতো
একটি অমূল্য আমি আছে
সবার ভেতরেই
অবিনশ্বর এই মানুষ
প্রেমশ্বরের অপূর্ব খেলা
বিমূর্ত সংগীত পৃথ্বীর
অনেক দীর্ঘ
পথ পাড়ি দিয়ে
মানুষের পদচিহ্ন খুঁজে খুঁজে
অমানিশা থেকে এসেছি এইখানে
আলোর ভুবনে
জেনেছি
মৃত্যুই শেষ কথা নয়
কেবল ঠিকানা বদল
খুঁজতে খুঁজতে
আমার আমির সন্ধানে
হেঁটে যাবো অগণন পথ ধরে
উল্টো হাওয়ায় চলতে চলতে
হয়তো অবসন্নতা
হয়তো অনুভবে আমি
ডুবন্ত জাহাজের দুরন্ত নাবিক
ভাঙা মাস্তুল আঁকড়ে ধরে পাড়ি দিচ্ছি
অসম্ভব এক বিপন্ন সময়
হয়তোবা খরস্রোতা সমুদ্দুর
হয়তো মগজে খেলবে তখন
বিকলাঙ্গ দুঃস্বপ্নের জলছবি
জলরং তেলরঙে পোকামাকড়ের হিজিবিজি আঁকিবুকি
জানি আমি ভাঁটার পর আবার উজান
সমুখে শান্তি পারাবার
সৌরমণ্ডলের অচেনা অচিন ছায়াপথ
পাড়ি দেব
হয়তো
প্লুটো
চমকিয়া নীল ভেনাস
রেড প্ল্যানেট মার্স
নেপচুন
কিংবা
জুপিটার
এভাবেই মধ্যাকর্ষণ শক্তিহীন মহাশূণ্যে
ভাসতে ভাসতে ক্লান্ত আমি
একদিন নিশ্চিত পৌঁছে যাব
চিরস্হায়ী বন্দোবস্ত নিজবাসভূমে l
http://www.alokrekha.com
কবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন জীবন বোধের রহস্যময় কবিতা। এখানে কবি মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রের বর্ণনা করেছেন "মানুষের মানসপটে অংকিত
ReplyDeleteমনোরম সত্ত্বার
গোপন প্রকোষ্ঠে
রাত্রিদিন জেগে থাকে
দূর বাতিঘর
আলো অন্ধকারের রহস্য ভুবন
এক রূপঙ্কর আমি ছাড়া
কেউ নেই সেইখানে
মনোলোভা-মনোরঞ্জনের হোলিখেলা
সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু মানুষ " কি অনবদ্য পংতিগুলো। কবি এই কবিতায় উচ্চ মার্গের দর্শন করিয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো কবি। শুভ কামনা।
কবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন দারুন অনবদ্য কবিতা। কবির হৃদয় নিংড়ানো অনুভূতির কি গভীর প্রকাশ।গহীন জগতে কখনো শান্ত যদি আবার কখনো জোয়ার ভাটায় আবার খরস্রোতা চেতনার অভিব্যক্তি এই কবিতা। নিদারুন একটা কবিতা। অনেক শুভেচ্ছা কবি.
ReplyDeleteকবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন দারুন অনিন্দ্য কবিতা। "সুখ দিয়াছি মানুষেরে
ReplyDeleteদুঃখ দিয়াছি মানুষেরে
অনেক ঘৃণা
ঈর্ষা
দাগা
দিয়াছি মানুষেরে
আঘাত পেয়েও
ভালোবাসিয়াছি মানুষেরেই
এবং এখনও
তারই সঙ্গে ধ্যানমগ্ন অন্তরঙ্গ বসবাস "এই কথাগুলো আমাদের নিয়ে যায় জীবনের গহীন অতল তলে। খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন আরো সোন্দর সুন্দর লেখা উপহার দেবেন। অনেক শুভেচ্ছা
কবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন দারুন একটি কবিতা।মানব সৃষ্টির প্রারম্ভের সময় থেকে শেষ অব্দি নিজিস্ব বাস ভূমি পর্যন্ত পুরো বিবর্তন ও অভিব্যক্তিবাদ পরিলক্ষিত হয়। অনেক যত্ন সহকারে কবি এই কবিতাটা রচনা করেছেন তা সহজেই উপলুব্ধধ হয়। অনেক অনেক ভালো লাগলো। ভালোবাসা ও শুভকামনা কবি।
ReplyDeleteঅনিন্দ্য এক কবিতা "পদচিহ্ন"---- কি -মেহরাব রহমান দ্বারা রচিত। আমরা অপেক্ষায় থাকি কবি মেহরাব রহমানের কবিতার জন্য। মনটা ভরিয়ে দিল। দারুন অনুভূতি কবিতা বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। ! আলোকরেখাকে ও কবি মেহরাবকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
ReplyDeleteIt is a bliss to know thyself ! May the Almighty help you to find ‘Nij Bashbhumi’ of eternal peace. Thank you kobi for the poem.
ReplyDeleteকবি মুনা চৌধুরী
Deleteআপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য
অনেক কৃতজ্ঞতা
কবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন জীবনবোধের এক অনবদ্য ও অভিনব কবিতা। আমাদের জীবনের কাহিনী অংকিত হয়েছে। আমাদের জীবনের রহস্য কবি তুলে ধরেছেন। খুব ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে। অনেক শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteকবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন কবিতায় মানব জীবনের রহস্য উঠে এসেছে। প্রথমে এই মাটির দেহ পরে ঈশ্বরের তাতে আত্মা দান তারপর মানুষ হয়ে ওঠে। নশ্বর জীবনের সকল বিবর্তন এই কবিতায় দেখতে পাই। অনেক শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteকবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন জীবনবোধের কবিতা।" রঙের ফানুস পোশাক সভ্যতার খোলস ধর্ম পায়ে পায়ে বেড়ি ভেতরে বিপুল বিস্ময় আলোক অতল তলে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে প্রজ্বলিত রোদ জীবন বোধ " এখানেই প্রতীয়মান হয় জীবনের বাস্তবতা। অনেক শুভেচ্ছা কবি ।
ReplyDeleteকবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন দারুন অনবদ্য কবিতা বরাবরের মতই! অপূর্ব ভাব ! অনন্য উপমা! শব্দের মুক্তা মালা!আবাহন জীবনের বিবর্তনের ! অনেক সুন্দর কবিতা! শুভেচ্ছা রইল!
ReplyDeleteকবি মেহরাব রহমানের পদচিহ্ন দারুন অনবদ্য কবিতা।প্রজ্ঞা ,ভাব ও ছন্দের অপূর্ব সমাহার। প্রতিটি শব্দের সাথে জীবন চক্রের এক অপরূপ রূপ অংকিত করেছেন কবি। মানব সৃষ্টির পূর্ব লগ্ন হতে জীবনের বিবর্তনের এক দারুন সৃষ্টি। কবি এখানে জীবনের সকল দিক তুলে ধরেছেন। খুবই উচ্চ মানের লেখা। অনেক অনেক শুভাশীষ কবি।
ReplyDelete