আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও বন্ধু, তুমি কে? শব্দে পরিচয় ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    বন্ধু, তুমি কে? শব্দে পরিচয়

    বন্ধু, তুমি কে? শব্দে পরিচয়।

     সুনিকেত চৌধুরী

    " ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাইনি। " যে কথাটা বোঝানোর জন্যে এই উপমাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেটা হলো যে যখন কাউরো মনের ভেতরে কোনো ব্যাপারে অসম্পূর্ণতা বা সন্দেহ থাকে তখন সে সেই ব্যাপারটাকে উল্টো করে উপস্থাপন করে।  কাউরো নিজের মনে যদি সন্দেহ  হকে যে তার একটা বিশেষ জিনিসের অভাব সে বারংবার করে জানান দেবে তার উল্টোটা। যেমন যে জনপ্রিয় হবার জন্যে মর্মে মর্মে মরে যাচ্ছে সে-ই বড় গলায় জানান দেবে সে জনপ্রিয়তার থোড়াই তোয়াক্কা করে।  ঠিক তেমনি করে যখন কেউ অন্যের বিরক্তি উৎপাদন করে সুযোগ পেলেই বারংবার ক্ষণ-কাল-পাত্র নির্বিশেষে ঘোষণা দিতে থাকে সে অমুককে খুব ভালোবাসে তখন একেবারে নিঃসন্দেহে ধরে নেয়া যেতে পারে যে সে তাকে যতটা ততটা ভালোবাসেনা বলে তার অপরাধ বোধ আছে।  এটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে যারা তাদের অফিস ডেস্ক এ তাদের প্রেমিক-প্রেমিকার ছবি ফলাও করে মেলে রাখে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে কিছুদিনের মধ্যেই তারা আর একসাথে থাকেনি। 


    উপরের কথাগুলোকে বিবেচনায় রেখে এবার আর একটি বহুল ব্যবহৃত উপমা উল্লেখ করছি।  "বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। " এই কথাগুলোর মানে আমরা সবাই জানি।  আমি গাছে আম ই হবে, কাঁঠাল হবে না।  এবারে আসি আমাদের একান্ত প্রিয় "ফেসবুক" এ।  ফেসবুক এর প্রেক্ষিতে যদি এই উপমাটি একটু বদলে দেই তাহলে এরকম হবেঃ "বন্ধু, তুমি কে? শব্দে পরিচয়।" কয়েকটি উদাহরণ দিলেই আমি যা বলার চেষ্টা করছি তা বোঝা যাবে বলে আশা করছি।  স্ট্যাটাস: আজ সকালে পরম তৃপ্তির সাথে টোস্টেড ব্রেড আর স্ট্রবেরি জ্যাম সেই সাথে স্ক্র্যাম্বলড এগস দিয়ে অমুক পশ রেস্টুরেন্ট এ নাস্তা করলাম।  সেইসাথে নাস্তার প্লেট এর একটা ছবি।  কি বুঝবেন ? এটা তো জলের মতো সহজ ! ফেসবুক বন্ধুটি কে? ওনার পরিচয়, উনি এর আগে এমনি করে এমন পরিবেশে নাস্তা করেন নি। আর একটি গল্পের কথা বলে শেষ করি।  কলকাতা বেড়িয়ে এসে একজন খুব ঘটা করে বন্ধুদের বলছেন, "আমি কলকাতায় ওখানে গেলুম, সেখানে গেলুম, সবশেষে বাজারে গিয়ে দেখি ভ্যারভ্যারা কাদো। "


    http://www.alokrekha.com

    3 comments:

    1. অভিনন্দন সুনিকেত চৌধুরী. খুব সত্য কথা। প্রায়শঃই ভাবি কিন্তু বলতে পারিনা।

      ReplyDelete
    2. আমরা কি আর সুনিকেত চৌধুরীর লেখা পাবো না? সুন্দর শব্দ আর লেখা থেকে বঞ্চিত হতে চাই না

      ReplyDelete
    3. সুনিকেত চৌধুরীর লেখা বেশ নজর কেড়েছে। শব্দরের বাতুলতা বাদেই একটা লেখা অনব্যদ্দ হতে পারে তার লেখায় তা প্রকাশ পায়.

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ