জাহ্নবী নগরে!
- সুনিকেত চৌধুরী
জাহ্নবী নগরের সবক'টা প্রধান ফটকে
রঙধনুদের ডিউটি পড়েছে,
অবলীলায় মগ্ন হওয়া যাচ্ছে ধ্যানে
অবারিত আলোর সরবরাহ বিনামূল্যে
দিগন্তের নীলিমায় দৃশ্যমান শুধুই বর্তমান
এযাবৎ শোনা যায়নি কোন ঘোষণা
অথবা মোক্ষলাভের শর্তাবলী !
আজ উৎসব নাকি দৈনন্দিনতা
যাত্রা, নাকি অবস্থান -
কেমন যেন কেমন কেমন !
বলতে গিয়ে কিছু নেই বলার,
যাওয়া নেই কোথাও !
আছে শুধু নীরবতা নিরবধি
আর আছে নিরঞ্জন হৃদ-কম্পন ! http://www.alokrekha.com




লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে 






জাহ্নবী নগরে! কবি সুনিকেত চৌধুরী্র অনন্য কবিতা । এখানে জাহ্নবী নগরের ফটকে রঙধনুর প্রহরা যেন এক পরাবাস্তব দৃশ্য তৈরি করেছে। আলোর অফুরন্ত জোগান, বর্তমানের মধ্যে ডুবে থাকা আর অতীতের প্রতিচ্ছবি—সব মিলিয়ে এখানে সময় ও অবস্থানের সীমারেখা ঝাপসা হয়ে যায়। কোনো মোক্ষলাভের ঘোষণা বা শর্ত নেই, তাই বোঝা যায় না এটি উৎসব নাকি দৈনন্দিনতার অংশ। শেষ পর্যন্ত কেবল নীরবতা আর হৃদয়ের নিভৃত কম্পনই রয়ে যায়।। খুব ভাল লাগলো । শুভ কামনা কবি ।
ReplyDeleteকবি সুনিকেত চৌধুরীর জাহ্নবী নগরে! অনন্য কবিতা ।কবিতায় প্রকাশিত দৃশ্যপট যেন এক রহস্যময় আধ্যাত্মিক জগৎ। এখানে জাহ্নবী নগরের প্রতিটি ফটকে রঙধনুর প্রহরা বসানো—যা আসলে জীবনের রঙিনতা, বৈচিত্র্য ও অনন্ত সম্ভাবনার প্রতীক। আলো এখানে অবাধ, সীমাহীন; সেটি যেন সত্য ও জ্ঞানের মুক্ত প্রবাহ, যা মানুষের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত। কবি বলছেন, বর্তমানই একমাত্র দৃশ্যমান সত্য, অথচ পেছনে তাকালে নিজেকেই প্রতিফলিত অবস্থায় দেখা যায়।।অনেক অনেক শুভেচ্ছা । আলকরেখাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ReplyDeleteকবি সুনিকেত চৌধুরীর জাহ্নবী নগরে! অনবদ্য অভূতপূর্ব এক কবিতা । এখানে মোক্ষ বা মুক্তির জন্য কোনো নিয়ম, কোনো ঘোষণাপত্র নেই। জীবন তাই কখনো উৎসবের মতো, কখনো নিছক দৈনন্দিনতা—কখনো যাত্রা, আবার কখনো স্থির অবস্থান। ফলে এক অদ্ভুত অনিশ্চয়তার অনুভূতি তৈরি হয়—"কেমন যেন কেমন কেমন!" শেষমেশ, কবির মনে থাকে না কোনো গন্তব্য, না কোনো বাহ্যিক শব্দ। থেকে যায় কেবল নীরবতা, আর থাকে অন্তরের গভীর হৃদকম্পন। সেই নীরবতাই আসলে প্রকৃত সত্য, আর সেই হৃদকম্পনই জীবনের সারবস্তু—যেখানে ধ্যান, অনুভূতি আর আত্ম-উপলব্ধিই মুখ্য হয়ে ওঠে। কবিকে অনেক ভালবাসা ।
ReplyDelete