আমার আয়নায় আমি।
-সুনিকেত চৌধুরী
সমাজের সবকটা মানুষের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে জীবন অতিবাহিত করার ইচ্ছেটাকে অবদমিত করে যে মানুষটা এতকাল একা একা বেঁচে থাকার সংগ্রাম করে
অবশেষে মিশে গেলেন অসীম ঐ অস্তিত্বে তাঁকে আমরা কেমন করে সন্মান জানাবো তা ভেবে পাচ্ছি না!
উপস্থিত সুধীবৃন্দের মাঝ থেকে কেউ একজন একবার শুধু উঠে দাঁড়ান, একবার শুধু উচ্চস্বরে উচ্চারণ করুন তাঁর নামটা এবং স্বীকার করুন যে তিনি যথার্থই বাংলাকে ভালোবাসতেন! বাংলা ভাষাটাকে ভালোবাসতেন! সেটাই তাহলে হবে তাঁর সব চেয়ে বড় পাওয়া!
অবশেষে মিশে গেলেন অসীম ঐ অস্তিত্বে তাঁকে আমরা কেমন করে সন্মান জানাবো তা ভেবে পাচ্ছি না!
উপস্থিত সুধীবৃন্দের মাঝ থেকে কেউ একজন একবার শুধু উঠে দাঁড়ান, একবার শুধু উচ্চস্বরে উচ্চারণ করুন তাঁর নামটা এবং স্বীকার করুন যে তিনি যথার্থই বাংলাকে ভালোবাসতেন! বাংলা ভাষাটাকে ভালোবাসতেন! সেটাই তাহলে হবে তাঁর সব চেয়ে বড় পাওয়া!
উপরের কথাগুলোকে জনান্তিকে বলা কোন বক্তব্য হিসেবে নিয়ে যে ভাবনাগুলো মনে আসছে যে একজন বাঙালীর বাঙালীত্ব যদি হারানো যায় তাহলে তার জীবনের আর সব পাওয়া অর্থহীন হয়ে যায়! শেকড়ের সাথে সম্পর্ক কিংবা যোগাযোগ না থাকলে গাছ বাঁচতে পারেনা কোনমতেই। আমার উচ্চারিত ইংরেজী যত শুদ্ধই হোক না কেন আমার বাঙালী শেকড় স্বীকৃতি না পেলে নতুন সে গুণ গুণ হিসেবে গণ্য হবেনা।
বাঙালী না হয়ে বাংরেজ শুদ্ধ ইংরেজীর জন্যে কোথাও কোনকালে প্রশংসিত হয়নি।
প্রশ্ন করা যেতে পারে যে সমাজকে গ্রাহ্যের মধ্যে না এনে সনাতনী সবকিছুর বিরুদ্ধে সমালোচনামুখর হয়ে নিজের স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব কি না।
আমরা সবাই এটা অন্ততঃ বিশ্বাস করবো বা মেনে নিতে অস্বীকার করবো না যে কাউরো স্বকীয়তা সমাজের সবার ক্ষতির কারণ হবার সম্ভাবনা হিসেবে দেখা দিলে সমাজের কর্ণধার এবং তার বাহুবল তাতে বাধা দেবেই। এই বাধার উদ্দেশ্য যে সবসময়েই অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা নয়। তবে নতুন চিন্তা বা দর্শনের ব্যবহারযোগ্যতা প্রমান সাপেক্ষ্যে একটা নতুন ধারা সমাজের সবার গ্রহণীয় বা অগ্রহণীয় হয়ে উঠতে পারে।
ইদানীং একটা বিষয় নিয়ে প্রচুর লেখালেখি এবং আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, সেটা হলো, একজন মানুষের আচার-আচরণ ও ব্যক্তিত্বের মুলে কি? তার বেড়ে ওঠার সময়ের পারিপাশ, নাকি ম-বাবা'র সূত্রে প্রকৃতির কাছ থেকে জৈবিকভাবে দেহকোষে পাওয়া গুণাবলী। রিডার্স ডাইজেস্ট এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে ছোট বেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দু'ভাই-বোন সম্পূর্ণ আলাদা দু'টি পরিবারে, আলাদা পরিবেশে ও পারিপাশে এবং আলাদা আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেও শেষ পর্যন্ত একই চরিত্রের ও সম ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বয়স্ক হিসেবে দৈনন্দিন জীবন যাপন করছে! এটার ব্যাখ্যা দেয়া যাবে কিভাবে?
আমরা সততই বলে থাকি আমরা বাঙালী, আমাদের চরিত্রের পরিবর্তন হবে না কোনদিন! এই প্রসঙ্গে রিডার্স ডাইজেস্ট এ পরিবেশিত তথ্য যদি মেনে নেই তাহলে তো সব ঝামেলা মিতে যায়।
চেষ্টা করে তো কোন লাভ নেই - আমার চরিত্র, আমার ব্যক্তিত্ব তো পূর্ব নির্ধারিত!
এখন কথাটা হলো এই, যে আসলেই কি ব্যাপারটি এরকম?
http://www.alokrekha.com
এত অমোঘ সত্যকে তুলে ধরার জন্য লেখক ও কবি সুনিকেত সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
ReplyDelete