জীবন গাঁথা(আখ্যান)
সানজিদা রুমি
জীবন গাঁথার প্রতি পাতায়
অনেক লেখা জোখা
অনেক রঙের আঁকিবুঁকি
জানা নেই পুরো বইটা শেষ করতে
আর কত পৃষ্ঠা লাগবে?
তবে বইটা শেষর পথে ।
যে কোনদিন সমাপ্তি ও
এখন শুধু অনিমিখ প্রতিক্ষা শেষ হবার,
যদিনা কোন নতুন অঙ্কের উদ্ভাবন হয়।
যেহেতু যে কোনদিন
বইটা লেখা শেষ হয়ে যাবে
তাই জীবনের পাতাগুলো
নেড়েচেড়ে দেখা -
সংশোধনের জন্য নয়...
সে ক্ষমতা নেই কারো
সেতো লেখকের ইচ্ছে
তার কলমের খোঁচায় রচিত।
আমিতো একটা চরিত্রমাত্র
তার বইয়ের লেখায়
সবই নিজের ইচ্ছেমত লেখা,
তার অভিপ্রায়।
প্রতিটি চরিত্র, আখ্যান,
কাহিনী, গল্প, ধারাবাহিক বর্ণনা, কড়চা,
বর্ণিত বিষয় তার ইচ্ছাবৃত্তি-
লেখক সকল ক্ষমতার স্বত্বাধিকারী
অধিপতি একছত্র নৃপতি ।
সেই আমাদের চরিত্র নিয়ে খেলা করে
ভাঙে গড়ে আপন মনে।
লেখক তাঁর লেখায় সমাজ,সভ্যতা,
দেশ বদলায়-সময় বদলায়
এমন কি সীমানাও বদলায়।
শুধু বদলায় না মেয়েদের জীবন গাঁথা ।
আচ্ছা লেখক কি বিরক্ত
অথবা তার কলম ক্লান্ত হয় না মেয়ের জীবনধারা
একই রকম সৃজন করা লিখতে।
সুরঞ্জনার বয়স এখন ৫০ এর কোঠায়।
এখন তার কথা হয় শুধু স্মৃতির সাথে।
স্মৃতির ভেলায় ভাসতে চলে যায়
দূরথেকে দুরান্তরে--
কোনো বাধা না পেরিয়ে অনায়াসে।
স্মৃতির কোনো বয়স নেই–
না আছে সীমানার বাধা। সেই ।
সেই স্মৃতির মাঝখান থেকে সুরঞ্জনা
ফেলে আসা দিনগুলি তুলে নেয়।
Visit for Full Jodi Mon Kade Lyrics
ReplyDelete