অনুর ভিতর পরমাণু
মেহরাব রহমান
বিবর্তন ও বিভক্তির
জোয়ার ভাটা
এক ভঙ্গুর এবং
গড়নের খেলা।
পাগলা ঘোড়ার মত তাড়ায় আমাকে
চঞ্চল চলমান এ জীবন ।
দুঃখের ভেলায় ভাসি অসম্ভব
তখন অন্ধকারের করতলে কারাবন্দি
অদৃশ্য হাতের অনড় পুতুল
অনুক্ষণ
অণুবীক্ষণ আলোর জন্য
অপেক্ষায় থাকতে থাকতে দেখি
অন্তরলোকের দূর ঠিকানা
দাঁড়িয়ে আছে
আমারই উজ্জ্বল মর্মর সমাধি
১৬ মার্চ, ২০১৭
টরন্টো
http://www.alokrekha.com
দারুন গভীরতা ,ভাব মনের ভেতর অতল তলে অনুরণ সৃষ্টি করে। " বিবর্তন ও বিভক্তির
ReplyDeleteজোয়ার ভাটা এক ভঙ্গুর এবংগড়নের খেলা।পাগলা ঘোড়ার মত তাড়ায় আমাকে
চঞ্চল চলমান এ জীবন " আজকের যান্ত্রিক জীবনের অনুভব ।অনুর ভিতর পরমাণু কবিতায়
কবি মেহরাব রহমান আজ এই বাস্তব কে তুলে ধরেছেন মনের অনুক্ষনে। অনেক ভালোবাসা কবিকে।
"দাঁড়িয়ে আছে
ReplyDeleteআমারই উজ্জ্বল মর্মর সমাধি " - দারুণ এই অভিব্যাক্তি! জীবনের অমোঘ সত্য কবিতায় সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আমার পেছনে সমাধি, সামনে আছে আয়না- আমার অনড় প্রিতিবিম্ব আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয়- চলমান জীবন থেকে খসে পড়ছে দিন, একটি একটি করে। সমাধি পেছন থেকে এগিয়ে আসছে দ্রুত বা ধীরে ।
অবশ্যম্ভাবী ভবিতব্যকে জানান দিয়ে। ধন্যবাদ কবিকে!
অনুর ভিতর পরমাণু , চমত্কার লাগলো
ReplyDeleteঅনুর ভিতর পরমাণু , কবিতাটা ভালো , এতো দিন ভাবতাম মেহiরাব রহমানের মতো কবিদের মুক্ত চিন্তার মানুষ , কিন্তু কবির হালে যে হুজুরের মতো বেশভূষা , তা দেখে নিরাশ হলাম
ReplyDeleteআমাদের আজকের কবিতা অনুশীলনে অনুর ভিতর পরমাণু কবিতা। মেহরাব রহমানের অনুর ভিতর পরমাণু কবিতায় জীবনের গভীর ভাবনা, প্রতিফলন ও তার অভিব্যক্তির প্রকাশ।যেমন বিষয় বস্তু জীবনের চরম বাস্তবতা দুঃখের ভেলায় ভাসি অসম্ভব তখন অন্ধকারের করতলে কারাবন্দি অদৃশ্য হাতের অনড় পুতুল আমরা। তেমনি চমৎকার ভাষাভাব অপূর্ব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য এক কবিতা। বড্ডো ভালো। অনেক ভালোবাসা কবি।আলোকরেখা অনেক ধন্যবাদ এমন একজন কবিকে উপহার দেবার জন্য
ReplyDeleteবিশ্বনাথ বসুর কমেন্ট পড়লাম , অনেকটা বাক্তিগত আক্রমণ , এটা ঠিক নয় ,সবার নিজের ইচ্ছে মতন বেশভূষা করার স্বাধীনতা বা অধিকার আছে। মানুষের বিচার তার ক্রমে। তবে বুদ্দিজীবিদের পোশাকের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের একটা perception আছে সেটার বিচ্চুতি ঘটলেই বোধয় বিশ্বনাথ বসুর মতো লোকেরা এমন কথা বলেন
ReplyDeleteআমি শর্মিষ্ঠা সেনের কমেন্টের সাথে একমত। বিশ্বনাথ বাবুর কমেন্টের ভাষা গ্রহণযোগ্গ নয়। তবে perception আর expectation এর বাপারটাও ঠিক। যেমন কবির কাছে আমার প্রশ্নো, কাল যদি রিজওয়ানা চৌধুরী বন্না বোরকা পড়ে রবীন্দ্রো সংঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন , মেহরাব রহমান সেটা কি ভাবে দেখবেন ?
ReplyDeleteসুহৃদ শর্মিষ্ঠা সেন আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা সত্যটুকু অন্যধাবন করে প্রকাশের জন্যে l
ReplyDeleteএইটা বুঝতে হবে কে কী ভাষায় প্রার্থনা করবে , কী ভঙ্গিতে করবে, অগ্নি পূজা করবে না ঈশ্বর পূজা করবে সে তার ব্যাক্তি স্বাধীনতা l তবে এটি অবশ্যি বিচার্য সে অন্যের এতটুকু মানসিক কিংবা শারীরিক ক্ষতি সাধন করছে কিনা ?
শিরিন সুলতানার কমেন্টের জের ধরে বলছি , বন্নার বোরকা পড়ে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার উদাহরণটা বোধয় একটু বেশি sarcastic হয়ে গেল। আর পুরো ব্যাপারটার মদ্ধে কোথায় যেন একটা ধর্মের গন্ধ পাচ্ছি। আমার কাছে ধর্ম একটা অত্তন্ত বেক্তিগত বেপার। এর সাথে আমরা কেন পোশাক কে জড়িয়ে ফেলি। পোশাকি ধর্মীয় করণের কোনো প্রয়োজন আছে কি ? যে কোনো পোশাক পড়ে কি কেউ আল্লাহর নৈকট্ট পেতে পারে না ?
ReplyDeleteঅনেকেই বলেন ধর্ম ব্যক্তিগত
ReplyDeleteধর্ম যদি ব্যক্তিগত হয় তবে পোশাকটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত lআমি যে পোশাক পরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবো তাই পরবো l
এতে কারো কিছু বলার থাকতে পারেনা l
আমি বিস্মিত হয়েছি যে যাঁরা মন্তব্য করেছেন পোশাক কিংবা ধর্ম নিয়ে তাঁরা কিন্তু আমার কবিতার ভালো মন্দ দিক নিয়ে কিছু বলেননি lযেটা আমার কাম্য ছিল l
আমি সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি যে আলোকরেখা একটি সাহিত্য অঙ্গন
এখানে রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় মন্তব্য থেকে বিরত থাকাটাইকি শ্রেয় l
আলোকরেখা একটি সাহিত্য অঙ্গন এখানে রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় মন্তব্য থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয় l বিশেষ করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এখানে করা যাবে না । আপনারা যারা আলোকরেখা পড়েন তারা খেয়াল করেছেন এখানে কোনদিন ধর্ম নিয়ে চর্চা করা হয় না। এটি একটু সম্পূর্ণ নিধর্মীয় ওয়েব সাইট। যারা এ ধরে মন্তব্য করেছেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ এরপর যদি এমন কোন মন্তব্য করেন। তাহলে কর্তৃপক্ষ তাদের ব্লক করে দিতে বাধ্য হবে।
ReplyDelete