আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও উৎসর্গ -------------- মুনা চৌধুরী ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    উৎসর্গ -------------- মুনা চৌধুরী


















    উৎসর্গ
    মুনা চৌধুরী

    আমার এই নগ্নদেহ
    তোমার জন্য শস্যক্ষেত
    যে শস্যক্ষেতে তুমি লাঙ্গল চালিয়ে
     বীজ বুনতে চাও 
    দেখতে চাও কত উর্বর এই ভূমি।
    আমার জন্ম ছিল তোমাতে উৎসর্গ হবার জন্যই
    তুমিও বেঁচে ছিলে জন্মান্তর থেকে জন্মান্তরে
    ভাবলেশহীন, লক্ষবিহীন ভাবে।
    যুগ যুগ শতবর্ষ প্রতীক্ষার পর
    তুমি এসেছো আমার উর্বর ভূমিতে তোমার বীজ বুনতে।
    তুমি থেমে থাকতে পারনা যখন আমায় দেখো
    তোমার হাত দুটো বেয়ে চলে এখানে সেখানে শরীরী খেলায়
    আদরে আদরে ভাসিয়ে দাও বার বার
    বুঝে না বুঝে
    জেনে না জেনে
    তোমার আগুন ছড়িয়ে দাও নির্লিপ্তভাবে আমার গভীরে
    আমাকে পোড়াও।
    আমায় নিয়েছো প্রতিবার
    চেয়েছো, খেলেছো, রেখেছো, ফেলেছো।
    তবে কেন এখনো জড়িয়ে রাখতে চাও তোমার অতলান্তিকে?
    তোমার তৃষ্ণার্ত বুকে জল চাওয়া
    আর বাধঁছেড়া স্বপ্নদেখা শুধু আমাকেই ঘিরে
    বোঝোনি কি পেয়েছিলে, বোঝোনি কি হারালে
    তুমি,
    চির অভুক্ত, চির পিপাসু, চির দুঃখী
    অনন্তকাল বেদনায় পোড় খাওয়া
    আমার প্রেমিক পুরুষ।

    বুঝতে পারবে কখনো ভালোবাসার রং হয় এতো গাঢ়?
     http://www.alokrekha.com

    10 comments:

    1. কবিতা রায়September 7, 2019 at 2:30 PM

      "উৎসর্গ " কবিতায় কবি মুনা চৌধুরী জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। নারী দেহ শস্য ক্ষেত্রে প্রেমিক পুরুষ ভালোবাসে লাঙ্গল চালায় হাল চোষে। ,কবি অপরূপ রূপে বনর্না করেছেন। খুব ভালো লাগলো কবিতাখানি। শুভেচ্ছা কবি।

      ReplyDelete
    2. প্রদীপ সেনSeptember 7, 2019 at 2:45 PM

      "উৎসর্গ " কবিতায় কবি মুনা চৌধুরীর অপরূপ মানব মানবীর সমম্মন্ধকে একেছেন শব্দের তুলি দিয়ে। নারী দেহকে শস্য ক্ষেতের সাথে তুলনা করেছেন আর মানবের মিলনকে তুলে ধরেছেন অনন্যরূপে। "আমার জন্ম ছিল তোমাতে উৎসর্গ হবার জন্যই তুমিও বেঁচে ছিলে জন্মান্তর থেকে জন্মান্তরে ভাবলেশহীন, লক্ষবিহীন ভাবে।" দারুন অভিব্যক্তি।

      ReplyDelete
    3. কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতাপড়তে অনেক ভালো লাগলো। ভাবলাম মন্তব্য কবি। এতে শুধু ভাল লাগা। অনেক লেখা থাকে যা মন্তব্য করার চাইতে পড়তে অনেক অনেক ভালো লাগে। খুব ভালো লাগছে পড়তে। কবিকে একরাশ ভালোবাসা।

      ReplyDelete
    4. রিতা আহমেদSeptember 7, 2019 at 3:14 PM

      কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতা পড়তে অনেক ভালো লাগলো।

      ReplyDelete
    5. মিতা রহমানSeptember 7, 2019 at 3:39 PM

      কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতা অনেক ভালো লাগলো। এখানে কবি নারীর দেহকে বলেছেন শস্যক্ষেত।" যে শস্যক্ষেতে তুমি লাঙ্গল চালিয়ে
      বীজ বুনতে চাও দেখতে চাও কত উর্বর এই ভূমি।" এখানে আমার মতে উর্বর বলতে কবি কতটা নরম কতটা সহনীয় মন তাই বোঝাতে চেয়েছেন। একরাশ ভালোবাসা কবিকে।

      ReplyDelete
    6. নাসিমা আক্তারSeptember 7, 2019 at 3:47 PM

      কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতা অনেক অদ্ভুত লাগলো। এখানে কবি নারীর দেহকে বলেছেন শস্যক্ষেত।তাতে " যে শস্যক্ষেতে তুমি লাঙ্গল চালিয়ে
      বীজ বুনতে চাও দেখতে চাও কত উর্বর এই ভূমি।" এখানে নারীর অপমান করা নয় কি ? আমার কাছে পুরো কবিতাটাই নারীকে ভোগ্য হিসাবে তুলে ধরেছেন। এখানেই আমার তিব্র প্রতিবাদ। কবি ভেবে দেখবেন।

      ReplyDelete
    7. রফিক জামিলSeptember 7, 2019 at 4:05 PM

      কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতায় নারীর দেহকে শস্য ক্ষেত্র আর পুরুষ তাতে কেবল লাঙ্গল চালায়। এখানে নারীরই শুধু অপমান হয়েছে তা নয় পুরুষের নারীর প্রতি সম্মানের অবমাননা করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

      ReplyDelete
    8. আপনাদের সবার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ.
      এই কবিতাটা আমার জীবনের প্রথম বাংলা কবিতা, ১২ বছর আগের লেখা. কবিতাটার inspiration ছিল Pablo Nerudaর "Body of a Woman". এই কবিতাটার উপর পাঠকদের ১২ বছর আগেও মিশ্র মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া ছিল. কারো মতে কবিতাটা ছিল extremely erotic, কারো মতে পুরোপুরি যৌনতায় ভরা, কারো মতে নিদারুন দুঃখী একজন প্রেমিকার কথা, কারো মতে মানব মানবীর জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক যা শরীর এবং আত্মার মিলন অথবা ইত্যাদি ইত্যাদি.
      প্রায় ৩০ বছর আগে বিশ্ববিদ্দালয়ে সাহিত্য ক্লাস নিয়ে জানতে পেরেছিলাম, যে কবিতা পড়ে সেই হয়ে যায় কবিতার পারসোনা. তাই পাঠক-পারসোনা কবিতা নিয়ে যাই ভাবেন সেটাই ঠিক. এইকারণে কবিতার পাঠকের পারসোনা নিয়ে ভাবনার কোনো ঠিক-ভুল নেই.
      তবুও বলে রাখি এই কবিতায় নারী অথবা পুরুষ কাউকেই আমি ছোট করিনি বা ছোট করার চেষ্টাও করিনি. এর পর কোনো পাঠকের চোখে অথবা ভাবনায় যদি সেটা মনে হয় তবে আমি দুঃখিত.

      ReplyDelete
    9. অভীক চৌধুরী 😊❤💕September 7, 2019 at 5:16 PM

      কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতায় নারীর দেহকে শস্য ক্ষেত্র আর পুরুষ তাতে কেবল লাঙ্গল চালায় এই নিয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ নেই। এখানে নিন্দনীয় কিছু নেই। কবি এখানে বিশেষ একজনের কথা বলতে গিয়ে এই প্রসঙ্গ টেনেছেন। সে একজন প্রেমিক পুরুষ। গোটা জাতি নয়। সে নারী নিজেকে উৎসর্গ করেছে কিন্তু সেই অভাগ্য প্রেমিক তৃষ্ণা মেটাতে সব হারালো। খুব সুন্দর কবিতা। কবিকে শুভেচ্ছা।

      ReplyDelete
    10. মোহন সিরাজীSeptember 7, 2019 at 5:40 PM

      কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতায় এক তৃষ্ণার্ত প্রেমিক শুধু শস্য ক্ষেত্রে লাঙ্গল চালায় কিন্তু ছেড়ে যেয়ে বোঝেনি কি হারালো চির অভুক্ত, চির পিপাসু, চির দুঃখী অনন্তকাল বেদনায় পোড় খাওয়া
      প্রেমিক পুরুষ।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ