আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও "একটি চাবি " ************* গীতালি চক্রবর্তী। ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    "একটি চাবি " ************* গীতালি চক্রবর্তী।





     "একটি  চাবি "
    *************  
    গীতালি চক্রবর্তী। 

    তখনো  রয়েছ  লেগে  নীল  আকাশের  গায়ে
    রাত্রির  কালো  হাত ,
    তখনো  নেভেনি  ঐ  দূর  নীলিমার
    হাজার  নক্ষত্রের  উজ্জ্বল দীপালোক ,
    ধ্রুব  তারা  খানি  সুকতারা  হয়ে  তখনো  প্রদীপ্ত ।
    প্রহর  চতুর্থ !  এসে ছিল  সে !
    অতি  সংগোপনে  দিয়ে  গেল  মোর  করে
    মুক্তির  চাবি খানি !
    দুঃখের  রজনী  শেষ  হ'লো  আজ
    নতুন  প্রভাত  পরে !
    জীবনের  আহত  স্বপনেরা
    ডানা মেলে  উড়ে যেতে  থাকে
    সূদূর  নক্ষত্র লোকে ।

     মুক্ত আমি !  বইছে  স্বাধীন  হাওয়া !
    পায়ে  নেই  খাদে  ভরা  সোনার  শিকল  খানি ,
    নেই  পিছু  টান ।
    খুলবে  না  কেউ  সময়ের  হিসেবের  খাতা ,
    রাঙাবেনা  চোখ , দেখাবেনা  ভয় ,
    রবে  না প্রভু  আর  ভৃত্যের  ব্যবধান ,
    রবে ,  বৃহৎ  বিশ্বকে  দেখার  আপন  সময় ।
    মনে  মোর  মুক্ত  বিহঙ্গের  সুখ !
    পাখা  মেলে  উড়ে  চলি  ধানসিঁড়ি  তীরে ,
    বড়  কাছে  মনে  হয়  দারুচিনি  দ্বীপ ।
    দেখি  চেয়ে, সাগরের বুকে
    জীবনের  জোয়ারের টান ,
    ভাঁটার  মন্থর  গতি ।
    বাদ  পড়ে নি  দাবানলের  উত্তাপের  ঢেউ ।
    আজ  বড়  সুখী  আমি !
    পার্থিব  গন্ডি  ছেড়ে  দিয়েছি  যে  পাড়ি
    প্রস্ফুটিত  নক্ষত্রের  আলোর  মোহনায় !
    এ  বিরাট  বিশ্বকে কোনদিন চোখে
    হয়নি  তো  দেখা !
    আজ  আমি  পেয়েছি  সে  চাবি ,
    পেয়েছি  সে-ই  ছাড়পত্র  খানি ।

    খুলে  ফেলি   অজানার  রুদ্ধ  দ্বার খানি ,
    চোখ  মেলে  মিশে  যাই  নির্মল  আনন্দের  মাঝে ।
    বরষিছে  শরৎ  শশীর  জোছনার  ধারা ,
    অবগাহনরত  ধূলায়  ধূসর  মলিন পৃথ্বী ।
    ঐ  তো , আকাশের  সীমারেখা  মিশে  আছে
    নীলাম্বুর  বুকে ,
    ঐ  দূরে , লাজে  রাঙা  পদ্ম - কোরক
    সমর্পিতা  মধুর জোছনাতে !
    পাহাড়ের  গায়ে  চঞ্চলা  ঝর্ণার  খেলা ,
    আলো  ভুলে  গলা  ছাড়ে
    বন  বিহঙ্গের  দল ,
    আলো - আঁধারের  চলে  লুকোচুরি  খেলা ,
    শিহরিত  বন  বিথিকা !
    পরম  সুখে  ভরেছে  আমার  হৃদয়ের  ডালি !
    পেয়েছি  আমি  আজ , মুক্তির চাবি  খানি ।
    এ  চাবি  আমার  নিজের  সম্পদ ।
    ***** + *****

     http://www.alokrekha.com

    2 comments:

    1. শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জিJanuary 27, 2020 at 4:17 PM

      গীতালি চক্রবর্তীর" একটি চাবি " কবিতা মন ও মননের সুগভীর অনুচিন্তন,ভাব,আশাবাদ,প্রেরণার অভিব্যক্তি ছায়া দেখতে পাই । অপূর্ব শব্দশৈলী চমৎকার। অপরূপ-বহুবর্ণ ও ভাষার প্রকাশ। উত্কৃষ্ট ও চমৎকার সৃষ্ট কবিতা । অনেক ভালোবাসা কবি।

      ReplyDelete
    2. মনীষা ব্যানার্জিJanuary 27, 2020 at 5:30 PM

      গীতালি চক্রবর্তীর" একটি চাবি " আলোকরেখায় যত কবিতা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। কি বিষয়বস্তু কি ভাব শব্দ চয়ন সব মিলিয়ে অনন্য। খুব ভালো লাগলো। কোন শৃঙ্খল নেই নেই কোন বেড়ি পায়ে। দূর দূরান্তে ছোটে " খুলবে না কেউ সময়ের হিসেবের খাতা ,
      রাঙাবেনা চোখ , দেখাবেনা ভয় ,
      রবে না প্রভু আর ভৃত্যের ব্যবধান ,
      রবে , বৃহৎ বিশ্বকে দেখার আপন সময় ।
      মনে মোর মুক্ত বিহঙ্গের সুখ !
      পাখা মেলে উড়ে চলি ধানসিঁড়ি তীরে ,
      বড় কাছে মনে হয় দারুচিনি দ্বীপ ।" দারুন কথার সমাহার। অনেক ভালো বাসা কবি।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ