আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! ----- সুনিকেত চৌধুরী। ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! ----- সুনিকেত চৌধুরী।

    চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! 
    - সুনিকেত চৌধুরী।

    মস্তিষ্কের কোষে কোষে 
    শব্দেরা ভীড় জমায় 
    উড়ে উড়ে আসে ওরা ওপর থেকে।  
    জড়ো হয় এক নিকষ নিটোল অঙ্গনে 
    অতঃপর সারিবদ্ধ হয় সুসংবদ্ধ বিন্যাসে
    কি এক অমোঘ নির্দেশে !

    অস্থিরতা বাড়ে, বাড়ে চাপ;
    দাবী একটাই : 
    চাই কবিতার পর্যাপ্ত বরাদ্দ,
    চাই নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা !  

    http://www.alokrekha.com

    8 comments:

    1. মনীষা দাসSeptember 14, 2025 at 5:10 PM

      সুনিকেত চৌধুরীর কবিতাটি কবিতার উৎস, প্রয়োজনীয়তা এবং তার অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা নিয়ে লেখা। কবির মনে শব্দেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে জমা হয়, এক রহস্যময় শক্তিতে সংগঠিত হয়ে ওঠে কবিতায়। এই সৃজনশীল চাপ তাকে অস্থির করে তোলে, তাই তিনি কবিতাকে জীবনের মতো জরুরি বলে দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত কবিতাটি কবিতার অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের প্রয়োজনীয়তার এক দৃঢ় ঘোষণা হয়ে ওঠে। খুব ভাল লাগলো ।

      ReplyDelete
    2. মোহন সিরাজীSeptember 14, 2025 at 5:16 PM

      কবি সুনিকেত চৌধুরীর "চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! "-কবিতায় মস্তিষ্কের কোষে কোষে শব্দেরা ভিড় জমাচ্ছে, যেন এক অদৃশ্য মহাকাশ থেকে এসে নেমে পড়ছে। এটি কল্পনার অশেষ উৎস এবং কবির অন্তর্জগতের সৃজনশীল অস্থিরতাকে বোঝায়।আকাশ থেকে নেমে আসা শব্দ – "উড়ে উড়ে আসে ওরা ওপর থেকে" এই চিত্রকল্পে কবিতা যেন স্বর্গীয় দান বা দিব্য প্রেরণা। শব্দ কেবল মানুষের ভেতরেই নয়, বাইরের জগত থেকেও এসে কবিকে আলোড়িত করছে। অনবদ্য সুন্দর কবিতা ।

      ReplyDelete
    3. রুপশ্রি বর্ধনSeptember 14, 2025 at 5:27 PM

      প্রিয় কবি সুনিকেত চৌধুরীর "চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! " অনবদ্য সুন্দর কবিতা । শৃঙ্খলার আবির্ভাব – ছন্দহীন ও অবিন্যস্ত শব্দেরা কোনো এক অমোঘ নির্দেশে সারিবদ্ধ হয়, যা কবির অন্তর্লীন শৃঙ্খলা বা সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণের প্রতীক। কেবল এলোমেলো ভাব নয়, তা পরিণত হয় শিল্পে। চাপ ও অস্থিরতা – কবির ভেতরে এক ধরনের সৃজনশীল অশান্তি জমা হয়। এই চাপই তাকে কবিতা লিখতে বাধ্য করে। মানসিক ভারসাম্যের জন্যও কবিতার সৃষ্টি অপরিহার্য হয়ে ওঠে। কি অপূর্ব প্রকাশ। শুভেচ্ছা কবি ।

      ReplyDelete
    4. সোনালী ধরSeptember 14, 2025 at 5:35 PM

      কবি সুনিকেত চৌধুরীর "চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! " অনবদ্য সুন্দর কবিতা । আমি আলকরেখার নতুন পাঠক । সব লেখা ঘাঁটতে ঘাঁটতে কবি সুনিকেতের কবিতায় আঁটকে পড়েছি ।প্রতিটি কবিতা যেন মনের কথা বলে। অন্তরে দাগ কাটে । এই কবিতার শেষাংশে আসে প্রতিবাদী সুর: "চাই কবিতার পর্যাপ্ত বরাদ্দ, চাই নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা!"। এখানে কবি যেন শাসক বা সমাজের কাছে কবিতাকে মৌলিক চাহিদার মতো দাবি করছেন।কবিতার অপরিহার্যতা – কবিতাকে এখানে বাতাস, খাদ্য বা জলের মতো জরুরি করে তোলা হয়েছে। এটি কেবল বিলাসিতা নয়, মানুষের অস্তিত্ব ও মানসিক টিকে থাকার এক অঙ্গ। অনেক ভাল থাকবেন কবি ।

      ReplyDelete
    5. মৃন্ময়ীSeptember 14, 2025 at 5:43 PM

      আমার প্রানের প্রিয় কবি সুনিকেত চৌধুরীর "চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! " অনন্য সুন্দর এক কবিতা । আমি তাঁর লেখা পড়ার জন্য দিনে কতবার যে আলকরেখায় আসি তার ইয়াত্তা নেই সল্প কথায় জীবনের বর্ণনায় কবি সুনিকেত পারঙ্গম । এই কবিতা আমার মনে আশা জাগায় যে নিয়মিত কবিতার সরবরাহ পাব আর কবি ও এই কবিতা পাঠকের কাছেও কবিতার গুরুত্ব নতুন করে উপলব্ধি করায়। শুধু কবিই নয়, পাঠকও হয়তো চায় সেই ‘নিয়মিত সরবরাহ’। অনেক খুশি হলাম ।অনেক অনেক ভালবাসা কবি ।আবার শীঘ্রই নতুন কবিতা পাবার আশায় রইলাম ।

      ReplyDelete
    6. প্রিয় কবি সুনিকেত চৌধুরীর "চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! " সুন্দর এক কবিতা । এখানে আন্দোলনের রূপক – কবিতার দাবি একধরনের প্রতিরোধ বা আন্দোলনের স্লোগানের মতো। "বরাদ্দ" ও "সরবরাহ" শব্দ ব্যবহারে প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক পরিভাষা এসেছে, যা কবিতাকে দেয় নতুন মাত্রা।সৃজনশীল চাপ তাকে অস্থির করে তোলে, তাই তিনি কবিতাকে জীবনের অবিচ্ছেদ অঙ্গ হিসাবে দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত কবিতাটি কবিতার অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের প্রয়োজনীয়তার এক দৃঢ় ঘোষণা হয়ে ওঠে। শুভ কামনা নিরন্তর ।

      ReplyDelete
    7. সঞ্চিতা দত্তSeptember 14, 2025 at 5:54 PM

      "চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! " সুন্দর এক কবিতা । কবি সুনিকেত চৌধুরীর কবিতাটি শব্দের আগমন, সৃজনশীল অস্থিরতা এবং কবিতার অপরিহার্যতা নিয়ে রচিত। কবি দেখিয়েছেন কীভাবে অবিন্যস্ত শব্দ সংগঠিত হয়ে কবিতায় রূপ নেয়, এবং সেই প্রক্রিয়া কবিকে মানসিক চাপ ও অস্থিরতার মধ্যে ফেলে। শেষ পর্যন্ত কবি প্রতিবাদী সুরে কবিতাকে মৌলিক অধিকারের মতো দাবি করেছেন। "বরাদ্দ" ও "সরবরাহ" শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে কবিতাকে আন্দোলনের শ্লোগানে রূপ দিয়েছেন, যা কবিতার অপরিহার্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে প্রকাশ করে। খুব ভাল থাকবেন কবি । আমাদের আলকরেখার সহযাত্রী কবিকে অন্তরিক শুভেচ্ছা ।

      ReplyDelete
    8. ডঃ অজিত রায়September 14, 2025 at 5:58 PM

      "চাই কবিতার নিয়মিত সরবরাহের নিশ্চয়তা ! " সুন্দর এক কবিতা । কবি সুনিকেত চৌধুরীর কবিতার শুরুতেই দেখা যায় শব্দেরা ভিড় জমাচ্ছে মস্তিষ্কের কোষে কোষে। এখানে "মস্তিষ্ক" শুধু শারীরিক অঙ্গ নয়, বরং এক রকম জমি বা ক্ষেত্র যেখানে সৃজনশীলতার বীজ বপন হয়। শব্দেরা আকাশ থেকে ভেসে আসে—এই ভাবনা প্রমাণ করে কবির বিশ্বাস যে কবিতা মানুষের ভেতরের পাশাপাশি বাইরের বিশ্ব থেকেও জন্ম নেয়, যেন এক অদৃশ্য শক্তি কবির মস্তিষ্ককে ভরিয়ে তোলে।
      শব্দের আগমন, সৃজনশীল অস্থিরতা এবং কবিতার অপরিহার্যতা নিয়ে রচিত। কবি দেখিয়েছেন কীভাবে অবিন্যস্ত শব্দ সংগঠিত হয়ে কবিতায় রূপ নেয়, এবং সেই প্রক্রিয়া কবিকে মানসিক চাপ ও অস্থিরতার মধ্যে ফেলে। শেষ পর্যন্ত কবি প্রতিবাদী সুরে কবিতাকে মৌলিক অধিকারের মতো দাবি করেছেন। "বরাদ্দ" ও "সরবরাহ" শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে কবিতাকে আন্দোলনের শ্লোগানে রূপ দিয়েছেন, যা কবিতার অপরিহার্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে প্রকাশ করে। খুব ভাল থাকবেন কবি ।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ