আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও দর্শন (philosophy) জ্ঞানের অন্যতম প্রাচীন একটি শাখা ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    দর্শন (philosophy) জ্ঞানের অন্যতম প্রাচীন একটি শাখা

    দর্শন

    দর্শন (philosophy) জ্ঞানের অন্যতম প্রাচীন একটি শাখা।দর্শন অর্থাৎ philosophy  শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক ভাষা থেকে। গ্রিক ভাষায় দুটি শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। শব্দ দুটি হল: (ফিলোস: বন্ধু, ভালোবাসার পাত্র) এবং (সোফিয়া: প্রজ্ঞা) তাই  স্পষ্টতই বোঝা যায়, দর্শনের সাথে মূল সম্পর্ক হচ্ছে প্রজ্ঞার, আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রজ্ঞার প্রতি ভালোবাসার তথা love of wisdom দর্শনের সংজ্ঞা হিসেবে প্রজ্ঞার প্রতি ভালোবাসারএই বিষয়টিই মূল উপাদান, অপরিহার্য অংশ আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে দর্শন জ্ঞানের এমন একটি ধারা যা, মানুষের কিভাবে জীবন নির্বাহ করা উচিত (নীতিবিদ্যা); কোন ধরনের বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে এবং তাদের প্রকৃতি কি (অধিবিদ্যা); প্রথাগত জ্ঞান শিক্ষা এবং কারণ প্রদর্শনের সঠিক নীতিগুলো কি (যুক্তিবিদ্যা); এই বিষয়গুলো দর্শনের মূল ভিত্তি বা উপপাদ্য নয়।দার্শনিক (যিনি দর্শন চর্চা করেন তাকেই দার্শনিক বলা হয়) কেবল তথ্যগত জ্ঞানের উপর নির্ভর করেন না।প্রজ্ঞাই  তার  দর্শনের প্রধান স্পৃহণীয় বিষয় প্রজ্ঞার অনুসন্ধান চর্চার মাধ্যমেই দর্শন বিকাশ লাভ করে।দার্শনিক  আপেক্ষিক বস্তুগত জাগতিক   বিষয় বা যৌক্তিক শাস্ত্রসম্মত নন  বরং আত্ম প্রজ্ঞায় প্রতিভাত।  এজন্য  দার্শনিককে সমাজে অনেক  বিদগ্ধ হতে হুয়েছে এখনো হয়। দাশনিক পার্থিব সংসারে পাগল উপাধিতে ভুসিতে হন অথচ  দর্শনের জন্য যে প্রজ্ঞা কাম্য, অন্তর্দৃষ্টি, দৃষ্টিভঙ্গির অভ্রান্ততা, বিচারের ভারসাম্য বিশ্লেষণের সামঞ্জস্যতার মধ্যে রয়েছে।
    ভুল এবং সঠিক কাজের (বা মূল্যবোধের বা প্রতিষ্ঠানের) মধ্যে আসলেই কি কোন উপপাদ্যনীতিগত পার্থক্য আছে? যদি থাকে, সে পার্থক্যটা কি? কোন কাজটা ভালো আর কোনটা মন্দ? স্বর্গীয় নির্দেশ কি সঠিক কাজকে সঠিক বানায়, অথবা এর বাইরে অন্য কিছু কি আছে যার উপর ন্যায় অন্যায় নির্ভরশীল? সুনির্দিষ্ট ন্যায়ের কি কোন মানদণ্ড আছে, নাকি এরকম সকল মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত? কিভাবে জীবন নির্বাহ করা উচিত? সুখ কি? জ্ঞানের প্রকৃতি সীমাবদ্ধতাগুলো কি? কোনটি মানব অস্তিত্বের ভিত্তি হিসেবে অধিক মৌলিক, জানা (জ্ঞানতত্ত্ব) নাকি অবস্থান করা (বস্তুগত অধিবিদ্যা)? আমরা যা জানি তা কিভাবে জানতে পারলাম? জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সম্ভাবনা কি? আমরা কিভাবে জানতে পারব যে আশেপাশে আরও মনোজগত আছে (যদি আমরা পারি)? কিভাবে আমরা জানতে পারব যে দৃশ্যমান জগতের বাইরেও একটি জগত আছে (যদি আমরা পারি)? কিভাবে আমরা আমাদের উত্তরকে প্রমাণ করব? সত্য স্বীকারোক্তি কি? প্রকৃত যৌক্তিক জ্ঞান বলতে কোন জিনিসটিকে বোঝায়? কারণ প্রদর্শনের সঠিক নীতিগুলো কি কি? ভালো বিতর্ক কি? জটিল বিতর্ক নিয়ে আমি কিভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করব? ভালো চিন্তায় কি লাভ হয়? কিভাবে আমি কোন কিছুকে অপ্রয়োজনীয় বলতে পারব? যুক্তির মূল উৎস কি বা এর উৎপত্তি কোথা থেকে হয়? কোন ধরনের বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে? তাদের প্রকৃতি কি? কিছু জিনিসকি আসলেই আছে নাকি সেগুলো মতিভ্রম? শূন্যতা সময়ের বৈশিষ্ট্য কি? মন এবং শরীরের সম্পর্ক কি? ব্যক্তিত্ব কি? সচেতনতা কি? ঈশ্বর কি আছেন নাকি নেই?


    এগুলো সব আপেক্ষিক।  দর্শনও  একটি আপেক্ষিক ব্যাপার।দর্শন সর্বদা সেসব মৌলিকতম প্রশ্নে বিচরণ করে বেড়ায় যেগুলোর ব্যাপারে মানব জাতি জানার আগ্রহ প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। এগুলো সংখ্যায় অসংখ্য এবং সময়ের আবর্তনে তারা দর্শন বৃক্ষের বহুসংখক  পুনরাবৃত্তিমূলক শাখায় সুসজ্জিত হয়েছে।দংশন শাস্ত্রে ধর্মবাদ, ব্রাহ্মণ্যবাদ বর্ণবাদ,আধিপত্যবাদী আক্রমন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন,গুপ্ত আগ্রাসন, আর্যরাই জাতিগত ভাবে তারা জ্ঞানে এবং ধর্মে শ্রেষ্ট, আর অনার্যরা তুচ্ছ অশিক্ষিত এই  আগ্রাসী মনস্তত্বের চর্চা পরিলিক্ষিত  হয় না।  লক্ষ্য করা যায় না.
     দর্শনের মাধ্যমে মানুষ তার অর্জিত জ্ঞান, প্রজ্ঞা, চিন্তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয় তার সন্তানদের নিজের অভিজ্ঞতা শিখিয়ে দিয়ে যায়,
    দর্শন মানুষের স্বীয় বা আত্ম প্রজ্ঞার মতধারা যা কোন বাঁধাধরা নিয়ম বা প্রকৃতির অনুশাসনের দাস অনুশাসন। দর্শন মুক্ত চিন্তা চেতনা প্রজ্ঞার মূলমন্ত্র।আমার কাছে দর্শন হচ্ছে আত্ম বিবেচিত চিন্তা ভাবনা ধারণা কল্পনা মন মতভাব ধ্যান যুক্তির বিবেচনা অভিব্যক্তি।
    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত

    2 comments:

    1. দর্শন মুক্ত চিন্তা চেতনা ও প্রজ্ঞার মূলমন্ত্র।আমার কাছে দর্শন হচ্ছে আত্ম বিবেচিত চিন্তা ভাবনা ধারণা কল্পনা মন মতভাব ধ্যান যুক্তির বিবেচনা ও অভিব্যক্তি।

      ReplyDelete
    2. সহজ ভাষায় দর্শনের পরিচিতি পড়ে আনন্দ পেলাম। জ্ঞান ও প্রজ্ঞা, বাস্তব ও পরাবাস্তব, বিশ্বাস ও জানার মাঝে যেই চিকণ বিশ্লেষণ আছে তা লেখায় বের হয়ে আসুক আগামীতে এই কামনা করি।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ