আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা



    "বেগম জান" ছবিটির নির্মাণ শৈলী,অভিনয়,কারিগরি দক্ষতা, সফল অথবা কতটা অসফল আজকের লেখার বিষয়বস্তু তা নয়।এই ছবির আঙ্গিক অন্তরনিহিত বার্তা যা এই সবকিছু ছাড়িয়ে আরেকবার আমাদের বাধ্য করে ভাবতে সাম্যের বৈষম্য-প্রীতির প্রভেদতা-ধর্মের রাজনীতির কারন
    "বেগম জান" কাহিনী ছবির মূল পটভূমি এই উপমহাদের দেশভাগ। দেশভাগ মানে সীমান্ত!
    কাঁটাতার আর দেয়াল। সেই কাঁটাতারের বেড়ার রাজনীতিতে পড়ে যায় একটিগণিকালয়।সেই আলয়ের ১১জন নারীর অন্তঃপুরে দৈনন্দিন জীবনের লড়াই,ঝড়ঝঞ্ঝা-রাজনীতি-কূটনীতির অধ্যায়ে কেবল উঠে এসেছে এই ছবিতে তা নয়। বেরিয়ে এসেছে ধর্ম রাজনীতির আগ্রাসনে দেশ বিভাজনের করুণ ছায়া, বেদনা, রোদন আর নিষ্পেষণের আহাজারিও।

    বেশ্যাদের ঘামে সিক্ত শরীর লেহন কোরে-তাদেরই  অশ্লীল ভাষায় গাল দেয়
    পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা "গণিকাবৃত্তি" --সাধারণত গণিকালয় শহর থেকে দূরেই থাকে। কলুষ নোংরা জঞ্জাল যত দূরে থাকলে সমাজের সভ্য মানুষেরাঅলোখ্যে অগোচরে আসা যাওয়া করতে সুবিধে তাই এই ব্যবস্থা। আর শহুরে সভ্য সমাজে মানুষেরাই "গণিকা ব্যবসার" খরিদদারি শেষে বলে "কি ঘোর অধর্ম"-মুখখিস্তি করে সমাজের কীট, নরকের-দ্বার,নষ্টা,খানকি ,বেশ্যা,পতিতা, রাঁড় দুশ্চরিত্রা বলে অলংকৃত করে। তখনও ওই বেশ্যাদের গায়ের গন্ধ তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে। এই দুশ্চরিত্রা মেয়েদের শয্যায় লুটোপুটি খায়--বেশ্যাদের ঘামে সিক্ত শরীর লেহন করে। তাদের উচ্ছিস্ট নির্গত রস মদিরা পান করে মাতাল উন্মাদিত প্রমত্ত হয় - হয় আপীত। সমাজ নীতি- রাজনীতি ধর্ম-এর ঠিকাদারও বাদ যায় না।
    ১১জন নারীর অন্তঃপুরে দৈনন্দিন জীবনের লড়াই
    এই অপাংতেয় দুশ্চরিত্রা মেয়েমানুষদের জীবন মেঘ রৌদ্রের খেলা। কখনো চোখ জলে সিক্ত কখনও সেই চোখে ছলাকলা সাত রং আবার কখনো ভালোবাসা মমতাময়। গণিকালয়ে সভ্য সমাজের মুখোশ নেই-নেই জাতপাত ছুৎঅচ্ছুতের বৈষম্য। ওরা একসাথে এক পাতে খায়। নিজেদের সাথেই ঝগড়া করে ভালোবাসে নিজেদেরই।


     পাঞ্জাবের শুষ্ক জমিতে রাজার ছত্রছায়ায় রমরমা ব্যবসা সফল এক গনিকালয়।

    পাঞ্জাবের শুষ্ক জমিতে রাজার ছত্রছায়ায় রমরমা ব্যবসা সফল এক গনিকালয়। গণিকালয়ের প্রধান ও সর্দারনীর "বেগম জান’ ছবির একজন সাহসী আর দাপুটে নারী -কখনো সবাইকে শাসাচ্ছে আবার কখনো আরাম কেদারায় বসে হুকোর নলে টান মারছে। ধর্ম জাতপাত নিয়ে তার কোন ছুঁত অচ্ছুৎ নেই। যার ধর্ম সে সেই পালন করুক। কিন্তু কাজে ফাঁকি দেওয়া চলবে না।এটাই তার নিয়ম। বেগম- জানকে আজাদী,দেশভাগ,মুসলিম-হিন্দু রাষ্ট্র মাটি-ভাগ,সীমানা-রেডক্লিফ এসব তাকে উদবুদ্ধ করে না এমন কি "বান্দে মাতরম"ধ্বনি বা "ত্রিরঙ্গা" পতাকা আলোড়িত করে না। সে  জানে  ঈমানদারীর  সাথে "ধান্দা" অর্থাৎ পেশাবৃত্তি-আর প্রার্থনা তার গণিকালয়ের পসারের কেতন উড়ুক উচ্চ আকাশে।বেগম-জানের কোঠা অর্থ্যাৎ গণিকালয়ের বিধি বিধান তার নিজস্ব নিয়মে চলে। অন্য কারো আইন কানুন তার চৌহরদিতের চলে না।পুলিশ দারোগা,বামুন-যবন,মোল্লা বা পুরোহিত যেই হোক কেন। 


     ধর্ম জাত পাত নিয়ে তার কোন ছুঁত অচ্ছুৎ নেই।
    পাঞ্জাবের শুষ্ক অসার জমিতে তার ব্যবসা প্রাঞ্জল এই গণিকালয় সম্পূর্ণ স্বকীয় একটি রাষ্ট্র। আর এই "রাষ্ট্রের" রাষ্ট্রপ্রধান বেগম-জানের এককথা "আমার-শরীর, আমার-বাড়ী, আমার-আইন, আমার দেশ" আর ১১জন মেয়েরা তার আজ্ঞাবহ কর্মী। বেগম-জানে এমন তীক্ষ্ন  দৃষ্টি যে,তার চোখের অগোচরে কি ঘটছে ? কে কি ভাবছে? কে কি চাল চলছে সব তার নখদর্পনে। তার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাখির একটা পালকও উড়ে আসে তার উপায় নেই। বেগম- জান বাইরে দিয়ে যতটা শক্ত-লোহার মত!ভেতরটা ততটাই নরম কোমল-ফল্গুধারা। বেগম-জানের কোঠা বাড়িতে সব জাতের দেহো-উপজীবিনীদের-সমাবেশ। সমাজের নানাস্তর থেকে আশ্রয় নিয়েছে।যখন দলে দলে উদ্বাস্তু এপার থেকে ওপারে যাওয়ার সময় হানাহানি খুনাখুনি আর দাপা-দাপিতে সন্ত্রস্ত চারদিক।পুলিশ, দালাল আর পুরুষের নগ্ন থাবায় ধর্ষিতা অত্যাচারিত বস্তুভিটাহীন মেয়েরা বেগম-জানের কোঠাবাড়িতে তখন থাকে সুরক্ষিত,সংরক্ষিত ও নিরাপদ।মায়ের মমতা আদর-স্নেহ,শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাদের বুকে আগলে রাখে বেগম -জান। ধর্ম-বর্ণ-দেশ-জাত -নাম-গোত্র হীন সবাই একটি পরিবার। এক পাতে খায় এক সাথে পরব পাবন পালন করে।এক-ই গ্রাহক নিয়ে ঝগড়াঝাটি ও মারামারি করে। কিন্তু একজনের বিপদে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। জন্ম দেয় বাচ্চাকে একজন মা সবাই!বাড়ির ভেতরের লোকদের গালাগালি করে। বাইরের লোক গালি দিলে এক কোপে জিভ কেটে ফেলতে প্রস্তুত !একটুও দ্বিধা নেই ! নিজেদের দেহ বেচে-তারা বেঁচে থাকে, দুঃখ পায়, আনন্দ করে ও থাকে একসাথে।


    বেগম-জানের জীবনে কাহিনী- এক বিচিত্র "কাহানী"
    বেগম-জানের জীবনে কাহিনী- এক বিচিত্র "কাহানী"। সে হিন্দু বাঙালি ঘরের বাল্য বিধবা। নয় বছর বয়সে সে বিধবা হয়। প্রচলিত কথা “সর্বদা ‘সতির দেবতা পতি ”-সে হিসেবে বিধবাদের অসতি বা অশুভ করা হত । স্বামী আছে তো ঘর আছে,পরিবার আছে, স্বামী নাই তো ঘরও নেই পরিবারও নেই। স্বামীর মৃত্যুর পর ন’ বছরের বামনের ঘরের একটি ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে চরম দুর্দশার শিকার হয়।মাথা নেড়া করে সাদা থান পরিয়ে তাকে ঘরের অন্ধ কোনে মাটিতে প্রক্ষেপন করা হয়। সারাদিন দাসীর কাজ করে - সিদ্ধ আলু,কখনো কখনো তেল মশলা বিহীন নিরামিসের তরকারী আর আপত চালের ভাত এই তার জন্য বরাদ্দ হোল। 


    মাথা নেড়া করে সাদা থান পরিয়ে ঘরের অন্ধ কোনে মাটিতে প্রক্ষেপন করা হয়
    সকালে বা শুভ কাজে কেউ যেন তার মুখ দেখতে না পায় কড়া করে শাসানো হল। ছোট্ট মেয়েটি নীলাভ সরল চোখ- দুটো কেবল কারন খুঁজে ফেরে । যে স্বামীকে সে ভাল করে দেখেই নি । তার জন্য এতসব কেন ? সে খুব সমীহ করেই চলে সবাইকে। সব অনুশাসন মেনেই চলে । তবুও সবাই অসুখী। কেন জানে না ছোট্ট মেয়ে মৃণাল।  একদিন রাতে ঘুমের মধ্যে যেন দম বন্ধ হয়ে হয়ে – চোখ খুলেতেই দেখে ওর ভাশুর ওর ওপরে চড়ে ওরকাপড় খোলার চেষ্টা করছে । ভয়ে হাত পা অসাড় –চিৎকার করে “বাচাও বাচাও ! আপনার পায়ে ধরি ছেড়ে দিন” কেউ শোনে না মৃণালের ডাক বা শুনেও শোনে নি।আঁচড়ে কামড়ে বিক্ষত ধর্ষিতা রক্তাক্ত মৃণাল!রক্তিত শিশু মন। শাশুড়ির কাছে বিচার চাইতে গিয়ে ফিরে আসে শাশুড়ির ভৎসনায় “যাক সংসারে  কোন কাজেতো আসলে--আর বলে রাখি বাছা!একথা যদি পাঁচ কান হয়-মেরে ওই কুয়োতে ফেলে দেব"। জানে না মৃণাল কি উত্তর দেবে?-প্রতি রাতে বারংবার ধর্ষিত হওয়া ছাড়া। প্রতিদিনের ধর্ষিতা মৃনাল একদিন প্রতিবাদে মুখর হয়। প্রতিদানে পোটলা সহ গৃহচ্যুত হয়। অভাবী পিতৃগৃহে স্থান হয় না। তবুও কষ্ট করে কিছু টাকা জোগাড় করে একটা ট্রেনে চাপিয়ে দেওয়া হয় মৃনালকে। সে জানে না তার গন্তব্য স্থান। ক্লান্ত দেহ- মন নিয়ে, নানা ভাবনা চিন্তা করতে করতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ভাঙে একটা মিষ্টি ডাকে “বেটি উঠো বানারাশ আ গ্যায়া”


    "বেটি উঠো বানারাশ আ গ্যায়া”

    হিন্দু বিধবাদের শেষ পরিণতির আশ্রয়স্থল 
    ছবি সংগ্রহ : বেগম জান ও ওয়াটার চলচ্চিত্র থেকে 
    ক্রমশ ---বাকিটা পড়তে আলোকরেখায় চোখ রাখুন ---
           
    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    17 comments:

    1. গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা - সানজিদা রুমি সৃজিত মুখার্জির " বেগম জান" ছবি কথা বলতে গিয়ে আমাদের সমাজের চিরায়িত রূপ তুলে ধরেছেন অতি চমতকার ভাবে।হিন্দু বাল্য বিধবা, শেষ পরিণতির আশ্রয়স্থল বেনারস, ধর্মের রাজনীতি, উপমহাদের দেশভাগ, ‘গণিকালয়, পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা গণিকাবৃত্তি--ইত্যাদি বিষয় আলোকপাত করেছেন। এই লেখা ও তথ্যের অনেক অনেক ধন্যবাদ

      ReplyDelete
    2. গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা - সৃজিতদা' কথা বলতে চেয়েছেন তাঁর ছবি " বেগম জান"-এ সানজিদা রুমি তুলে ধরেছেন অতি চমৎকার রূপে।"বেগম জান" ছবিটির নির্মাণ শৈলী,অভিনয়,কারিগরি দক্ষতা, সফল অথবা কতটা অসফল নিয়ে অনেক লেখা লেখি। বিদ্যা বালানের ০ ১১ জনের অভিনয় না ছবির শ্লীলতা অশ্লীলতা নিয়েও বহু ছবির দক্ষ সমালোচক (যারা আদৌ ছবি বোঝেন কি না ) মাতামাতি করেছেন। কিন্তু সানজিদা রুমি আঙ্গিক ও ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন তা সাধুবাদের যোগ্য।

      ReplyDelete
    3. গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা -পড়ে দেখো সৃজিতদা! তুমি যে কথা বলতে চেয়েছ "বেগম জান"-এ সানজিদা রুমি ঠিকই তুলে ধরেছেন অতি চমৎকার রূপে।"বেগম জান" ছবিটির নির্মাণ শৈলী,শ্লীলতা অশ্লীলতা সফলতা বা অসফলতা নিয়ে লেখালেখি নয় । একেবারে লক্ষ্য ভেদি লেখা। বেগম জান-এর দিত্বীয় পর্বের স্ক্রিপ্ট তোমাকে আর কষ্ট করে লিখতে হবে না। সানজিদা রুমি বেগম জানের নিজস্ব জীবন কাহিনী নিয়ে লিখছেন। আমি এটা বুক করলাম -আমি এই ছবি বানাবো। অবশ্য সানজিদা রুমির অনুমতি সাপেক্ষে !

      ReplyDelete
    4. গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা - পড়ে ছবিটা দেখার আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গেল। হিন্দি ভাল বুঝি না তাই হয়তো। সানজিদা রুমি এই ছবির আঙ্গিক ও প্রেক্ষাপট যে ভাবে তুলে ধরেছেন তা সাধুবাদের যোগ্য। আমার মতে পরিচালক ততটা সফল নন। তিনি আরো যে সব বিষয় ব্যক্ত করেছে যেমন হিন্দু বাল্য বিধবা, শেষ পরিণতির আশ্রয়স্থল বেনারস, ধর্মের রাজনীতি, উপমহাদের দেশভাগ, ‘গণিকালয়, পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা গণিকাবৃত্তি--ইত্যাদি প্রশংসনীয়।

      ReplyDelete
    5. সানজিদা রুমি এই ছবির আঙ্গিক ও প্রেক্ষাপট যে ভাবে তুলে ধরেছেন তা সাধুবাদের যোগ্য। তিনি আরো যে সব বিষয় ব্যক্ত করেছে যেমন হিন্দু বাল্য বিধবা, শেষ পরিণতির আশ্রয়স্থল বেনারস, ধর্মের রাজনীতি, উপমহাদের দেশভাগ, ‘গণিকালয়, পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা গণিকাবৃত্তি --ইত্যাদি প্রশংসনীয়।পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীদের বঞ্চনা, লাঞ্ছনা, প্রতিবাদ ও সংগ্রামকে প্রগতিশীল ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আন্তরিকভাবে ও সাহসের সাথে এই বিরুদ্ধ সমাজেও তুলে ধরেছেন! বাকি লেখা ও বেগম জানের জীবন কাহিনী পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
    6. "গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা"-এক কথায় দারুন ! সানজিদা রুমি এই লেখা ছবির আঙ্গিক ও প্রেক্ষাপটকে এক নতুন রূপ দান করেছে । আমরা যারা ছবির জগতের সাথে জড়িত তাদের কাছে এই লেখাটা খুব সহায়ক।হিন্দু বাল্য বিধবা, শেষ পরিণতির আশ্রয়স্থল বেনারস, ধর্মের রাজনীতি, উপমহাদের দেশভাগ,গণিকালয়,পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা গণিকাবৃত্তি -পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীদের বঞ্চনা, লাঞ্ছনা,প্রতিবাদ ও সংগ্রামকে প্রগতিশীল ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আন্তরিকভাবে ও সাহসের সাথে এই বিরুদ্ধ সমাজেও তুলে ধরেছেন। এখন অপেক্ষায় আছি -বেগম জানেকে কিভাবে চিত্রায়িত করেন। এটাই দেখার বিষয়। কারণ আমরা সর্বদাই অস্থির থাকি একটা ভালো গল্প বা স্ক্রিপ্টের জন্য। অনেক শুভ কামনা ! অঞ্জন দত্ত

      ReplyDelete
    7. লেখাটা খুব তাৎপর্যময় ছবির আঙ্গিক ও প্রেক্ষাপট যে ভাবে তুলে ধরেছেন তা সাধুবাদের যোগ্য। যে সব বিষয় ব্যক্ত করেছে যেমন হিন্দু বাল্য বিধবা, শেষ পরিণতির আশ্রয়স্থল বেনারস, ধর্মের রাজনীতি, উপমহাদের দেশভাগ, ‘গণিকালয়, পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা গণিকাবৃত্তি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীদের বঞ্চনা, লাঞ্ছনা, প্রতিবাদ ও সংগ্রাম তুলে ধরেছেন তা অতন্ত্য প্রশংসনীয়। বাকি লেখা ও বেগম জানের জীবন কাহিনী পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।

      ReplyDelete
    8. Women were oppressed and tortured since start of civilization, in this planet in general and in the Indian subcontinent in particular. When we think about women, the first person a man meets is his mother who brings up her child with love, care and affection. The same man then grows up and is able to commit the most heinous crimes on women as wonderfully portrayed in the movie Begum Jan and more so in Sanjida Rumi’s article গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা . I thank Rumi to have the talent and courage to focus how religion is used by men as a tool to torture and consume women like a predator. The article is rich in content and language and highly readable and touches all corners of the readers mind .

      ReplyDelete
    9. গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা প্রবন্ধটি ধর্মকে ব্যবহার করে নারীর উপর পুরুষের ওট্ট্রাচারের লোমহর্ষক বিবরণ আর শক্তিমান সাহসী লেখা মনকে ভীষণ গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছে।এ ধরণের লেখা সমাজ পরিবর্তন ও নারীর সম্মান ও অধিকার পৃথিস্তায় আনতে পারে বিশাল পরিবর্তন । সানজিদা রুমিকে ধন্যবাদ আর অভিনন্দন।

      ReplyDelete
    10. গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা excellent powerful presentation. Rings so many bells in my mind. Like another high class movie. It’s a classic. Congratulations to Sanjida.


      ReplyDelete
    11. পারভীন ইসলামMay 23, 2017 at 3:18 PM

      সানজিদা রুমির গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা এতো প্রাণ কাড়া। বার বার পড়ি। কিন্তু এখনো বাকি অংশ প্রকাশিত হলো না। মনটা খারাপ লাগে। অনেক প্রত্যাশা আর প্রতীক্ষায় আছি। সানজিদা রুমি কবে এই প্রতীক্ষার শেষ হবে?

      ReplyDelete
    12. সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা বার বার পড়ি।বাকি অংশ প্রকাশিত হলো না।প্রতীক্ষায় আছি। সানজিদা রুমি কবে এই প্রতীক্ষার শেষ হবে ?

      ReplyDelete
    13. মমতা খানMay 24, 2017 at 10:15 PM

      গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা !অপূর্ব ও অতি চমত্কার লেখা। প্লিজ তাড়াতাড়ি পরের পর্বটি প্রকাশ করেন। অধীর অগ্রহে রয়েছি বেগম জানের জীবন কাহিনী জানার জন্য। সানজিদা রুমি একটু খেয়াল করবেন কি ?

      ReplyDelete
    14. পারভীন কাদেরMay 26, 2017 at 7:37 PM

      সানজিদা রুমির কাছে দাবি এই ছুটির দিনের মধ্যে প্লিস গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা " বেগম জানের জীবন কাহিনী প্রকাশ করবেন। আশা করি আমাদের নিরাশ করবেন না।

      ReplyDelete
    15. মায়া চৌধুরীJune 8, 2021 at 5:25 PM

      গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা"-এক কথায় দারুন ! সানজিদা রুমি এই লেখা ছবির আঙ্গিক ও প্রেক্ষাপটকে এক নতুন রূপ দান করেছে । কিন্তু লেখাটি অসমাপ্ত। বার বার পড়ি ভালো লাগে অপেক্ষায় থাকি বাকি অংশ পড়ার জন্য হতাশ হতে হয়। সানজিদা রুমিকে বিশেষ অনুরোধ গল্পটা শেষ করার জন্য।

      ReplyDelete
    16. মানস ঘোষJanuary 9, 2023 at 8:20 PM

      গণিকালয়ে ধর্মের ঠিকানা যতবার পড়ি ভাল লাগে।কি অপূর্ব নামকরণ।সমাজের চিরায়িত রূপ তুলে ধরেছেন অতি চমতকার ভাবে। হিন্দু বাল্য বিধবা, শেষ পরিণতির আশ্রয়স্থল বেনারস, ধর্মের রাজনীতি, উপমহাদের দেশভাগ, ‘গণিকালয়, পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা গণিকাবৃত্তি--ইত্যাদি বিষয় আলোকপাত করেছেন। এই লেখা ও তথ্যের অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক শুভ কামনা সানজিদা রুমি।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ