আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও মেয়র আনিসুল হকের জীবনী ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    মেয়র আনিসুল হকের জীবনী


    আনিসুল হক ( ২৭ অক্টোবর ১৯৫২ - ৩০ নভেম্বর ২০১৭) একজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদ এবং টেলিভিশন উপস্থাপক।তিনি ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।তিনি বিজিএমই-এর সভাপতি ছিলেন, পরে এফবিসিসিআইর সভাপতি হন। পরবর্তীতে সার্ক চেম্বারের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
    আনিসুল হকের জন্ম চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালি জেলায় ১৯৫২ সালে। তার শৈশবের বেশ কিছু সময় কাটে তার নানাবাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।



    ১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পূর্বে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনও করেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন এবং বিজয়ী হন।


    আনিসুল হকের পিতা সৈয়দ মঈনুদ্দিন হোসাইন (বাবা) মাতা ফাতেমা জোহরা বেগম (মা) স্ত্রী রুবানা হক। তাদের তিনজন সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে নাভিদুল হক বোস্টনের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে মোহাম্মদি গ্রুপের পরিচালক ও দেশ এনার্জি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন। এছাড়া আনিসুল হকের ছোট ভাই আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান।



    নাতির জন্ম উপলক্ষে গত ২৯ জুলাই সপরিবারে লন্ডনে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আনিসুল হক।অসুস্থ বোধ করায় আগস্টের মাঝামাঝিতে লন্ডনের একটি হাসপাতালে গেলে সেখানে পরীক্ষা চলার মধ্যেই সংজ্ঞা হারান তিনি। পরে তাঁর মস্তিষ্কের রক্তনালিতে প্রদাহজনিত সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।


    ২০১৭ সালের আগস্টে, তাঁকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ ধরা পড়ে। মেয়র আনিসুল হক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত ৪ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তির পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল আনিসুল হককে। অবস্থার উন্নতি ঘটার পর গত ৩১ অক্টোবর তাঁকে আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশনে স্থানান্তরের খবর জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এর এক মাসের মধ্যে আবার আইসিইউতে নেওয়া হলো ৬৫ বছর বয়সী মেয়রকে। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৩ মিনিটে চিকিৎসকেরা তার ভেনটিলেশন যন্ত্র খুলে নেন। ২০১৭ সালের ৩০ শে নভেম্বর রাত ১০.২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।  
    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    2 comments:

    1. মিতা রহমানNovember 30, 2017 at 3:01 PM

      আলোকরেখায় সমসাময়িক সব লেখা পাই বলেই আলোকরেখার এতো অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মেয়র আনিসুল হককে নিয়ে বিস্তারিত ছবিসহ লেখা কোথাও পাইনি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      ReplyDelete
    2. অনিমেষ সেনNovember 30, 2017 at 3:06 PM

      আলোকরেখায় মেয়র আনিসুল হককে নিয়ে বিস্তারিত ছবিসহ লেখা প্রশংসার যোগ্য । অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আলোকরেখার জন্য।

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ