আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও তুমি, আমি আর অবিনশ্বর------------- মুনা চৌধুরী ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    তুমি, আমি আর অবিনশ্বর------------- মুনা চৌধুরী

     তুমি, আমি আর অবিনশ্বর
    মুনা চৌধুরী

    যখন পৃথিবী ঘুমোয়, আমি জেগে থাকি তোমার সাথে কথা বলে যাই: লক্ষি সোনা আমার, তুমি কি শুনতে পাচ্ছ- আমার কথা? ভালোবাসো আমায় এখনো সেই আগের মতো? তোমার গন্ধ খুঁজে বেড়াই সবখানে; নদীর বাঁক দেখে বলতে পারি কোথায় তোমার জনপদ

    লক্ষী ছেলে, কি করছো এতো রাতে তুমি? ভাবি আমি, এই নশ্বর পৃথিবীতে যেদিন আমি আর থাকবো না, যখন তুমি শুইয়ে দেবে আমায় কাঁচামাটির ঘরে, সেদিনওকি আমাদের ভালোবাসা থাকবে অবিনশ্বর হয়ে? এক পবিত্র ভোরে, শিশির দেখে মনে হয়েছিল ঈশ্বরের চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে শিশির বিন্দু হয়ে সেই চোখের জলে আমি মুখ ধুয়েছিলাম যখন, তখনই জন্ম নিয়েছিল আমাদের প্রেম, অবিনশ্বর হয়ে ওটা ছিল ঈশ্বরের আশীর্বাদ, অভিশাপ নয় মনে আছে একদিন আমায় বলেছিলে তুমি: God works in mysterious ways. আজ আমি বাকিটা, বলি তুমি শোনো: ‘He wanders to perform. He plants his footsteps in the sea and rides upon the storm’.


    লক্ষী মানিক আমার, তুমি শুনে যাও: আজ ওকে পুজো দিয়েছি, কেন বলতো? তোমায় কেন ও গড়েছিল এতো যত্নে যত্নে? তোমার প্রতিমার ভাঁজে ভাঁজে ও এতো আদর মেখেছিলো কেন? মেখেছিলো একারণেই, যেন আমি তোমায় চিনে নেই প্রতিটি নদীর বাঁকে, পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে, দিগন্তের শেষ সীমানায় আর ঢেউয়ের ফেনা মিলিয়ে যাবার ক্ষনে ক্ষনে
      
    সবাই ঘুমিয়ে শুধু জেগে আমি সারারাত তোমায় নিয়ে কথা বলে যাই অবিনশ্বর এর সাথে, ওঁর হাত ধরে ভোরের সূর্য দেখি; আশ্চর্য! সে আলো ধরিত্রীর গায়ে রং ছড়ায় না সে আলো রং ছড়ায় আমার অস্তিত্ত্বে

     http://www.alokrekha.com

    2 comments:

    1. মেহরান হায়দারJanuary 24, 2020 at 4:20 PM

      তুমি, আমি আর অবিনশ্বর লেখায় মুনা চৌধুরী এতো সুন্দর করে প্রিয়কে আদরের ভাষায় সিক্ত করেছেন তা অনবদ্য। খুবই ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। অনেক শুভ কামনা কবির জন্য।

      ReplyDelete
    2. তুমি, আমি আর অবিনশ্বর

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ