কবিতিকা#
৫
মেহরাব
রহমান 
(অলংকরণে অঙ্কন শিল্পী নুরুন নাহার সুপ্তির একটি চিত্রশিল্প ব্যবহৃত হয়েছে  
শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতা )
আমি তার
নির্ধারিত
মনবিনোদন
চিকিৎসক 
স্বপ্নচারী
নবনীতার 
মৃগনাভি
নাভিমূলে 
হাত রেখেই
বুঝেছি 
                      সে এখন আর স্বপ্ন প্রসব করেনা
অমি তার
হৃদপিন্ড ছুঁয়ে 
উত্তাপ
মেপে জেনেছি   
এই নারী
আর কল্পনার প্রদীপ  কিংবা   
                            অচেনা বাস্তব রচনা করেনা
আমি চোখে
চোখ রেখেই দেখেছি 
                           এ দৃষ্টি এখন বৃষ্টির
আড়ালে 
অতিদীর্ঘ
দুরছায়াপথ
স্বেচ্ছাচারী
ধূমকেতু 
আমি নাতিদীর্ঘ
চুম্বনে 
          সে নারীর ঠোঁট আঁকড়ে ধরে  
উপলব্ধি
করেছি 
সেখানে
আগের মতন 
গনগনে
আগুন জ্বলেনা 
এ নদী
বয়ে চলে 
ঝর্ণার
অমৃত শীতল জলের  
                                        নিঃশব্দ
স্রোতধারায়   
 
সে এখন
যোগী
সে এখন
তজবি , জয়তুনের মালা জপে 
                                    সে নারী পরহেজগার
সে এখন
জায়নামাজে,  গির্জায় ,পূজাঘরে, অগ্নিউপাসনায়
, মগ্নমন্দিরের  
                                    মনপ্রার্থনায়
নতজানু    
তাতেকি
একজীবনের  সবকটা ....জনপথ....
আনন্দ-অরণ্য,অন্ধকার-অভিসম্পাত,
মধ্যরাতের মদমত্ত শীৎকার 
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব,
বৈরী হাওয়া 
এইসব নিয়ে
সে এখন 
স্বপ্ন,
বাস্তব , পরাবাস্তবের জাবর  কাটে আর এক অনিশ্চিত
মহাশুন্য  জীবনের সন্ধানে...http://www.alokrekha.com




লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে 







মেহরাব রহমান-এর কবিতিকা# ৫ ভিন্ন স্বাদের কবিতা। কবির সেই পাওয়া আগের মত না পাওয়া আলাদা মাত্রা দান করেছে। খুব ভালো লাগলো কবিতাটা পড়ে। অনেক শুভ কামনা কবি।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের কবিতিকা# ৫ কবিতা পরে ভালো লাগলো। অভিমানী কবির আকুতি কবিতাকে করেছে অনন্য। অনেক ভালোবাসা কবি।
ReplyDeleteমেহরাব রহমান’র কবিতিকা# ৫ কবিতা কবি প্রসূত এক অন্য ধারার কবিতা। কবির কাছে প্রশ্ন -একই কেবল কল্পনার অভিব্যক্ত ?
ReplyDeleteমন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা
Deleteজ্বি না এটা কল্পনার অভিব্যক্তি নয়
আমার বাস্তব এবং আরো অনেকের
মেহরাব রহমান’র কবিতিকা# ৫ কবিতা কবি প্রসূত এক অন্য ধারার কবিতা। আমরা অপেক্ষায় থাকি কবি মেহরাব রহমানের কবিতার জন্য। মনটা ভরিয়ে দিল। দারুন অনুভূতি কবিতা বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। ! আলোকরেখাকে ও কবি মেহরাবকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
ReplyDeleteমেহরাব রহমান এর 'কবিতিকা # ৫' নামটা অন্য রকম. কবির persona একজন পুরুষ আর সে এখানে তার প্রেমিকার যোগী, সন্ন্যাস-সম, তজবি জপা, জায়নামাজে মাথা ঠুকে পড়ে থাকা অথবা পরাবাস্তবের জাবর কাটা, অনিশ্চিত জীবন এর সন্ধানে থাকায় ভীষণ বিরক্ত. যার অর্থ হচ্ছে নারীরা যেহেতু বসুধরা, কোমলমতি, তাদের মনের মধ্যে আধ্যাতিক প্রেম, জাগতিক এবং শারীরিক প্রেম এর চাইতে একটা সময়ে বড়ো হয়ে যায়. To whom we came from, to whom we shall return.. পবিত্র কোরানের শুরুতে, সূরা বাকারার প্রথম ৪ আয়াত এ বলা- আমরা ফিরে যাবো আবার, প্রত্যাবর্তনে. মেহরাব রহমান কে ধন্যবাদ তিনি খুব সুন্দর করে তার ভাবনার মালা গেঁথেছেন.
ReplyDeleteকবিতার যৌক্তিক ব্যাখ্যার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানবেন
Delete