আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও এই বড়দিনের শেষে । ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    এই বড়দিনের শেষে ।

    এই বড়দিনের শেষে ।  

    কেউ কেউ বলছেন এটা কোভিডকালীন দীর্ঘ সময় ধরে অন্তরীণ থাকার কারণে, অন্যেরা বলছেন এটা কোভিড এর ভ্যাকসিন নেবার ফলশ্রুতি - সব সময়ের জন্যে এক ধরণের নৈর্ব্যক্তিকতা, একটা উদাসী মনোভাব, একটা প্রচ্ছন্ন বিষন্নতা - যেন আচ্ছন্ন করে রাখছে মনটাকে ! আমার মতো যারা পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন, আত্মীয়-স্বজন, কাছের বন্ধুদের কাউকে হারিয়েছেন তাদের এই মানসিক অবস্থাকে স্বাভাবিক বলে অনেকে যুক্তি দেখাচ্ছেন! কিন্তু যারা  সৌভাগ্যক্রমে কাছের তেমন কাউকেও হারান নি তারাও যখন একইভাবে এই মানসিক অবস্থার কথা বলছেন তখন বিষয়টাকে অন্য প্রেক্ষিত থেকে অবলোকনের এবং এর সঠিক কারণটা জানার চেষ্টা করা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়! 
    ওপরের কথাগুলোর অবতারণা কেন করলাম সেটা বলি! এই বড়দিনের শেষে আর মাত্র ক'টা দিন পরে পুরো এক বছর পূর্ণ হবে আমার সংসারের হালধরা আমার ভালোবাসার মানুষটির চলে যাওয়ার! মানুষটা আচম্বিতে চলে যাবার পরে গত প্রায় একটা বছরের সবগুলো দিনে পলে পলে উপলব্ধি করেছি তাঁর অভাব! আর মেনেছি কতটা সমর্থ এবং কতটা নির্ভীক নাবিক ছিল সে!  তাঁর প্রস্থানে শোকাচ্ছন্ন আমি শারীরিক ও মানসিক দুর্বলদুর্বলতায় সংসার জীবনের প্রতি নিরাসক্ত ও নৈর্ব্যক্তিক হয়ে পড়েছিলাম! সামনের দিনগুলোর দিকে তাকানোকে নিতান্তই নিরর্থক বোধ হতো! শুধু দৈনন্দিনতাই হয়ে উঠেছিলো জীবন! এতে করে শরীর বেঁকে বসেছিলো! এখনো হাসপাতাল-বাড়ী-হাসপাতাল-বাড়ী করতে হচ্ছে বারবার! এরই ফলশ্রুতিতে দিগন্তে কোন আশার আলোকরেখা কেন যেন প্রতিভাত হয়নি!  নিয়মিত আসা হয়নি 'আলোকরখা'র পাতায়! আমার এই বিমর্ষতা প্রভাব ফেলেছে আমার সন্তানদের ওপর! ওরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে! আমার বন্ধুরা উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চেয়েছে, আকুতি জানিয়েছে, প্রার্থনা করেছে আমার জন্যে, আমার উঠে দাঁড়ানোর জন্যে! আমার সন্তানেরা জড়িয়ে ধরে "মা"-"মা" বলে ডেকে শুধু চেয়ে থেকেছে আমার মুখের দিকে! কিন্তু আমিও চেয়ে চেয়ে দেখেছি ওদের মুখের দিকে  যেখানে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে অবলোকন করেছি কি যেন একটা নেই ওদের মাঝে! আগের মতো করে ওরা সামনের  দিনগুলোতে কি কি করবে তা নিয়ে নেই কোনো উচ্ছলতা, কোনো পরিকল্পনা ! সবাই কেমন যেন (কোভিডকালীন সময়ের মতো) শুধুমাত্র আজকের দিনটা কোনোমতে পার করে  আগামীকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার দৈনন্দিনতায় কালাতিপাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে! আমি কেমন আছি সে খোঁজ নেয়া আত্মীয় ও বন্ধুদের মাঝেও ওই একই স্ববিরতা, ওই নিরানন্দ দৈনন্দিনতার আবহ দেখে আমি নিজের কথা ভুলে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছি!

    আমার ধারণা 'আলোকরেখা'র আমার প্রিয় পাঠকরাও সম্ভবতঃ নিজেদের জন্যে, স্নেহাস্পদদের জন্যে, পরিবারের বড়দের জন্যে একই সংগ্রামে লিপ্ত আছেন! তবে আমার বিশ্বাস হয়েছে যে আমি যেমন অনিয়মিতভাবে হলেও 'আলোকরেখা'য় এসে কিছুটা হলেও একটু ভালোলাগা আর অনুপ্রেরণা পাবার চেষ্টা করেছি,  এর অগুনতি পাঠকরাও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আলোকরেখা'র ভাণ্ডারে রাখা মণি-কাঞ্চন নিজেদের অনুপ্ৰরণাৰ জন্যে ব্যবহার করেছেন এবং অন্যদের কাছে পাঠিয়েছেন! আর তাই counter খুলে দেখি পাঠক সংখ্যা উনচল্লিশ লক্ষ পেরিয়ে গেছে! দেখে ভালোলাগার একটা প্রবাহ যে মনের গহীনে অমানিশা কাটানো সিরামের মতো সক্রিয় হলো সেকথা নির্দ্বধায় স্বীকার করতে কৃতজ্ঞতায় আমার দু'হাত জোড় হয়ে উঠে আসছে আমার বুকের কাছে যেখানে স্পন্দিত হচ্ছে আপনাদের জন্যে, পৃথিবীর তাবৎ মানুষের জন্যে ভালো থাকার প্রার্থনা!
    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    14 comments:

    1. মমতা শংকরDecember 26, 2022 at 2:51 PM

      আমরা ভালোবাসি আলোকরেখাকে সাথে সানজিদা রুমিকেও। লেখাটা পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। কতটা চড়াই উৎরাই পার হয়েছেন। এতো সুন্দর চমৎকার লেখনী। আলোকরেখার উনচল্লিশ লক্ষে পৌঁছানোর জন্য অনেক অনেক স্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর সুগম হোক এই কামনা করি।

      ReplyDelete
    2. আরাফাত হোসেনDecember 26, 2022 at 2:57 PM

      পাঠক সংখ্যা উনচল্লিশ লক্ষ পেরিয়ে গেছে দেখে ভালো লাগলো। লেখাটা পড়ে জানতে পারলাম নতুন নতুন লেখা না পাবার কারণ। চিন্তার কোনো কারণ নেই আমরা সব সময় আলোকরেখার সাথে আছি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

      ReplyDelete
    3. সব্যসাচী দত্তDecember 26, 2022 at 2:59 PM

      আলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর সুগম হোক এই কামনা করি। লেখাটা পড়ে জানতে পারলাম দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণ। আশা করি সব সমস্যার আশু সমাধান হবে। অনেক অনেক শুভ কামনা।

      ReplyDelete
    4. মিতা চ্যাটার্জিDecember 26, 2022 at 3:01 PM

      আমরা আলোকরেখার সাথে ছিলাম পরেও থাকবো। নতুন লেখা না পেয়ে পুরাতন লেখা ঘেটেছি। মাঝে মাঝে অভিমানও হয়েছে কিন্তু লেখাটা পড়ে সকল অনুযোগের অভিযোগের অবসান হলো। অনেক অনেক স্বাগতম। শুভ কামনা।

      ReplyDelete
    5. কামরুজ্জামান হীরাDecember 26, 2022 at 3:02 PM

      আলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর হোক এই কামনা করি।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আলোকরেখার সামনের চলার পথ আরো সুন্দর হোক। আলোকরেখাকে ও তার কবি লেখকদের জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা। আশা করি এর পর থেকে নিয়মিত লেখা পাবো। সানজিদা রুমির সকল সমস্যার সমাধান হোক ওনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। ভালো থাকবেন।

      ReplyDelete
    6. অভয় সান্যালDecember 26, 2022 at 3:26 PM

      পাঠক সংখ্যা উনচল্লিশ লক্ষ পেরিয়ে গেছে দেখে ভালো লাগলো। আলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর হোক এই কামনা করি।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আলোকরেখার সামনের চলার পথ আরো সুন্দর হোক। আলোকরেখাকে ও তার কবি লেখকদের জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা। লেখাটা অনন্য বার্তা বহন করে। এত সুন্দর লেখা প্রশংসার দাবীদার। সানজিদা রুমিকে শুভ কামনা এমন একটা লেখা লেখার জন্য।

      ReplyDelete
    7. সেগুফতা খানDecember 26, 2022 at 3:31 PM

      পাঠক সংখ্যা উনচল্লিশ লক্ষ আলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর হোক এই কামনা করি।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আলোকরেখার সামনের চলার পথ আরো সুন্দর হোক।এত সুন্দর লেখা প্রশংসার দাবীদার। সানজিদা রুমিকে শুভ কামনা।

      ReplyDelete
    8. দেবপ্রিয় ব্যানার্জীDecember 26, 2022 at 3:38 PM

      অভিনন্দন আলোকরেখা !সারা বিশ্বের ও বাঙলা সাহিত্য সংস্কৃতির ক্রান্তি লগ্নে আলোকরেখার এই আলোকিত ভুমি,এই স্থানটুকু জ্ঞান পিপাসু বোদ্ধা সাহিত্য প্রেমী পাঠকের কাছে ভীষণভাবে মূল্যবান, আদরণীয়। পাঠকের তৃপ্তিতেই আলকরেখার যত সফলতা, সার্থকতা !অসুস্থতা সত্ত্বেও সানজিদা রুমির অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ এই বিজয় ও সফলতা। নিরন্তর শুভকামনা! ধন্যবাদ সানজিদা রুমি।

      ReplyDelete
    9. অমিয় গোস্বামীDecember 26, 2022 at 3:45 PM

      অভিনন্দন আলোকরেখা ! আলোকরেখাকে আন্তরিক অভিনন্দন !আমি খুবই আনন্দিনত যে আলোকরেখা'র আজ উনচল্লিশ লক্ষ পাঠক ! আমিও তাদের একজন ! অবশ্যই অসুস্থতা ও নানান প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সানজিদা রুমির অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ এই বিজয় ও সফলতা।

      ReplyDelete
    10. কমলিকা কর্মকারDecember 26, 2022 at 3:50 PM

      আলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর হোক এই কামনা করি।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আলোকরেখার সামনের চলার পথ আরো সুন্দর হোক। আলোকরেখাকে ও তার কবি লেখকদের জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা। ৩৯ লক্ষ পাঠক লেখাটা অনন্য বার্তা বহন করে। এত মর্মভেদী লেখা প্রশংসার দাবীদার। যা সাধারণ কথা সানজিদা রুমির কলমে অনবদ্য হয়ে ওঠে। সানজিদা রুমিকে শুভ কামনা এমন একটা লেখা লেখার জন্য।

      ReplyDelete
    11. ড : অজিত গুহDecember 26, 2022 at 3:59 PM

      অল্প সময়ে আলোকরেখা এত জনপ্ৰিয়তা পাবার কারণ সানজিদা রুমির একাগ্রতা ও লেখার মান। আরো সুশোভিত নয়নাভিরাম ওয়েব সাইট। এতো সুন্দর সাজানো গোছালো। আসলেও সংগ্রহ শালা। গৌতম বুদ্ধের সুসজ্জিত ছবি তাঁর বাণী, সত্যজিৎ রায় ,রবিঠাকুরের গীতবিতানের সাথে সমাজ বঞ্চিত বৃহন্নলাদের কথা অন্য মাত্রা দান করেছে।আলোকরেখা আমাদের সব সময় প্রিয় ও থাকবে যতদিন এর মান বজায় থাকবে। এমন কোন প্রকাশনা নেই যা আমি দেখি না বা পড়ে মন্তব্য করি না। সানজিদা রুমির লেখাটা পড়ে জানতে পারলাম নিয়মিত লেখা না পাওয়ার কারণ । আমি একাগ্রতা ও সহানুভূতি জানাই সানজিদা রুমির সাথে। ভালো থাকবেন। অভিনন্দন !

      ReplyDelete
    12. মেধা বন্দোপাধ্যায়December 26, 2022 at 10:44 PM

      অল্প সময়ে আলোকরেখা এত জনপ্ৰিয়তা পাবার কারণ সুশোভিত নয়নাভিরাম একটি ওয়েব সাইট। যদিও আমার কাছে একটি মাধ্যম যেখানে প্রজ্ঞা ও মননের সব কিছু পাওয়া যায়। অনেক ওয়েব সাইট আছে যেখানে কেবল কবিতা বা সাহিত্য পাওয়া যায় কিন্তু আলোকরেখার মত সুন্দর গোছানো একটাও সাইট এই পর্যন্ত পাইনি। গান কবিতা ভিডিও সবকিছুই পাই এখানে। তাইতো আজ পাঠক সংখ্যা উনচল্লিশ লক্ষ পেরিয়ে গেছে। আলোকরেখারকে শুভ কামনা। সেই সাথে সানজিদা রুমির লেখাটা অনন্য। তার সকল বাধা বিপত্তি ব্যথা কষ্ট দূর হোক প্রার্থনা করি।

      ReplyDelete
    13. রুমি আমার বিনম্র অভিবাদন গ্রহণ করো
      তোমাকে সাধুবাদ আলোকরেখার মত পত্রিকায় আমাকে লেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য
      শুভ কামনা

      ReplyDelete
    14. নিতান্ত স্বার্থপরের মত বলি, আমি প্রার্থনা করি আপনি শক্ত হয়ে দাঁড়ান , আপনি ভালো থাকুন ! আপনি সন্তানদের উদ্দীপনা আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনার একটা বড় অংশ হোন! আপনি শারীরিক মানসিক সুস্থ্য থাকুন! আর আমরা "আলোকরেখা"য় নতুন নতুন কবিতা-কথা-গান- আর আমাদের ভালোলাগা অন্য সবকিছু পেতে থাকি নিয়মিত নিরন্তর! 

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ