বেগম রোকেয়া: নারীজাগরণের ইতিহাসে প্রথম আলোর দীপশিখা
বাংলার নারীজীবনের ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যাদের উপস্থিতি শুধু সময়কে বদলায়নি, বদলে দিয়েছে সমাজের ভিত, চিন্তার ভিত্তি এবং মানবতার দৃষ্টিভঙ্গি।ইতিহাসের পাতা কখনো কখনো এক অসাধারণ মানুষকে এমনভাবে ধারণ করে, যেন তিনি একাই একটি যুগের মানচিত্র বদলে দেন। উনিশ ও বিশ শতকের সেই আলো-অন্ধকারের সন্ধিক্ষণে বাঙালি মুসলিম সমাজের এক ঘন কুয়াশার সময়ে জন্ম নিয়েছিলেন যে নারী, তিনি আজ ইতিহাসে সুস্পষ্ট অগ্রদ্যুত—বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তাঁর জন্ম যেন সময়কে চ্যালেঞ্জ করা এক আলোককণা, আর তাঁর যাপন ছিল অশ্রুত, অবদমিত, বাঁধনমুক্তির সংগ্রামে নির্মিত এক মহাকাব্যের মতো। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তাদের মধ্যেই অন্যতম—বরং সর্বাগ্রে। তিনি ছিলেন নারীশিক্ষার বীজতলা, মুসলিম নারীর আত্মমর্যাদার প্রথম উচ্চারণ, এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুক্তির ধারালো অস্ত্র। উনিশ শতকের শেষদিকে, যখন নারী ছিল গৃহবন্দী, অশিক্ষা ছিল নিয়মের মতো স্বীকৃত, এবং কুসংস্কার ছিল রীতির মতো স্বাভাবিক, ঠিক তখনই রোকেয়া দাঁড়িয়েছিলেন প্রতিরোধের প্রথম সারিতে। তাঁর হাতে ছিল কলম, হৃদয়ে ছিল দৃঢ় বিশ্বাস—শিক্ষাই মানবমুক্তির একমাত্র পথ।




লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে 






.jpg)










