আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও আলোকরেখার তিরিশ লক্ষ আশার প্রদীপ ! ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    আলোকরেখার তিরিশ লক্ষ আশার প্রদীপ !

    আলোকরেখার তিরিশ লক্ষ আশার প্রদীপ ! আমার চারপাশে কেমন যেন একটা বিষন্নতা! চিবুক উঁচু করে সামনের দিকে বা গন্তব্যের দিকে "আর কত দূর?"

    দৃষ্টিতে তাকানোর যে সহজাত প্রবৃত্তি, আজকের মেঘলা আকাশ কেটে গিয়ে একটা রোদ্রজ্জল নীলাকাশ আগামীকালের অপেক্ষার উত্তেজনায় চোখের কোণে ঝিলিক দেয়া আশার আলো কেমন যেন স্তিমিতআমি পৃথিবীর যে প্রান্তে বসবাস করি সেখানে কোরোনা মহামারীর উপস্থিতির কথা জানান দিয়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকার নির্দেশ জারীর এক বছর পূর্ণ হচ্ছে এই মার্চ্চ মাসে !

    আমি ইতিহাসের ছাত্র না হয়েও জানি এত দীর্ঘ সময়ের গৃহ অবস্থান আমাদের জানা ইতিহাসে এই পৃথিবীতে আর কোথাও কোন সময়ে মানুষ করেছে ! আমাদের এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে এই অশ্রুতপূর্ব বিপদ সামলাতে হিমশিম খাওয়ার প্রথম দিকে চিকিৎসা বিজ্ঞান আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা সাবধান করেছিলেন যে কোরোনা পরবর্তী সময়ে যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবেন তারা দীর্ঘমেয়াদী কোন ধরণের শারীরিক জটিলতার সম্মুক্ষীন হবেন সেটা নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও সবাই একটা বিষয়ে একমত ছিলেন যে মনের ওপরে সৃষ্ট একটা চাপ এবং ফলশ্রুতিতে একটা বিষন্নতা দীর্ঘ মেয়াদী ভাবে আসন গেড়ে বসতে পারে ! কিন্তু কেউই এই কথাটা বলেছিলেন বলে শুনিনি যে এই মহামারীর সাথে যুদ্ধকালীন সময়েই এই বিষন্নতা একটা সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে আক্রান্ত-অনাক্রান্ত সবাইকে আচ্ছন্ন করবে ! আমরা সবাই আমাদের চার পাশে যেটার উপস্থিতি প্রভাব লক্ষ্য করছি !


    ওপরের এই কথাগুলো আমার স্বভাব বিরুদ্ধ ! কিন্তু তারপরেও এই গৌরবন্দ্রিকার অবতারণা করলাম এই বিশ্বাসে, যে কোন সমস্যার বিস্তারিত বর্ণনা করে সেটার উপস্থিতি স্বীকার করে নিয়ে এর মুখোমূখী হলে জয়ের পথে অনেকটা এগোনো হয়ে যায় ! আমার আশা আপনারাও আমার এই যুদ্ধের সাথে আছেন! এবং আমার মত করে মনের গভীরে এই বিশ্বাসটুকু লালন করেন যে, রাত যতই গভীর হয়, সকাল ততই এগিয়ে আসে! 

    ডাক্তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, সপ্তাহ লাগবে আমার চোখের সমস্যা সমাধানে এবং কম্পিউটারে দৃষ্টি দেবার মত সক্রিয়তা ফিরে পেতে। কিন্তু কোরোনার মতোই সেরে ওঠার সময়টা দীর্ঘায়িত হয়েছে! আরোও কিছুদিন চোখের বিশ্রাম প্রয়োজন ! কিন্তু আপনাদের যেমন, ঠিক তেমনি আমারও আলোকরেখার অঙ্গনে বা এর অলি-গলিতে না আসতে পারলে আমার নেয়া নিঃস্বাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পড়েছে বলে অনুভূত হয়! আর সেটা করতে গিয়েই Readers Counter থেকে উপচে পড়তে থাকে ভালোবাসার ঝর্ণাধারা! অবাক বিস্ময়ে চেয়ে থাকি তিরিশ লক্ষ বা তিন মিলিয়ন অতিক্রান্ত পাঠক সংখ্যার দিকে! আর তখন মনের অজান্তেই দু-চোখের কোনায় ঝিলিক দিয়ে ওঠে দুরদিগন্তে উদীয়মান সূর্য্যের বিচ্ছুরিত আলোকরেখা !!



    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    11 comments:

    1. ডঃ অজিত গুহMarch 2, 2021 at 4:33 PM

      অভিনন্দন আলকরেখা তিরিশ লক্ষ-এ পদার্পণ করায় !সারা বিশ্বের ও বাঙলা সাহিত্য সংস্কৃতির ক্রান্তি লগ্নে আলকরেখার এই আলোকিত ভুমি, এই স্থানটুকু জ্ঞান পিপাসু বোদ্ধা সাহিত্য প্রেমী পাঠকের কাছে ভীষণভাবে মূল্যবান, আদরণীয়। পাঠকের তৃপ্তিতেই আলকরেখার যত সফলতা, সার্থকতা ! নিরন্তর শুভকামনা! ধন্যবাদ সানজিদা রুমি!

      ReplyDelete
    2. মেহতাব রহমানMarch 2, 2021 at 4:36 PM

      অনেক অনেক অভিনন্দন । আলোকরেখা এই সাফল্য আমাদের পাঠকদের সাফল্য। এখানে আমরা দীপ্ত প্রজ্ঞার অন্বেষণ পাই।

      ReplyDelete
    3. কামরুজ্জামান হীরাMarch 2, 2021 at 4:40 PM

      অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আলোকরেখার সংশ্লিষ্ট সকল লেখক কবি ও পরিচালকবৃন্দকে !

      ReplyDelete
    4. কবিতাকুঞ্জMarch 2, 2021 at 4:51 PM

      আলকরেখা তিরিশ লক্ষ পাঠকে পদার্পণ করায় অভিনন্দন! আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি আলোকরেখায় নতুন কোন লেখা পাবার আশায়। আজ অনেকদিন পর এত অপূর্ব লেখা পাওয়ায় আমরা আপ্লুত। আগামী চলার পথ সুন্দর সুগম ও মসৃন হোক। আলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন আর সাধুবাদ!

      ReplyDelete
    5. এহসান হাবিব চৌধুরীMarch 2, 2021 at 4:55 PM

      আলোকরেখায় তিরিশ লক্ষ পাঠক হওয়া আমাকে করেছে অনেক আনন্দিত। অনেক সাধুবাদ। এতো সুন্দর বার্তা দিয়েছেন তা উপমাহীন আপন মহিমায় উত্তীর্ন।

      ReplyDelete
    6. গোপা দাসMarch 2, 2021 at 5:01 PM

      আলোকরেখায় তিরিশ লক্ষ পাঠক এ পদার্পন করলো। এইতো সেদিন আলোকরেখার পথ চলা শুরু হল। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

      ReplyDelete
    7. মেধা ব্যানার্জীMarch 2, 2021 at 5:07 PM

      তিরিশ লক্ষ পাঠক এ ভারী আনন্দের । এইতো সেদিন আলোকরেখার পথ চলা শুরু। সর্বদাই আলোকরেখার সাথে ছিলাম ও থাকবো। যখন নতুন লেখা পাই না তখন পুরোনো লেখা খুঁজে খুঁজে পড়েছি। সচল থেকেছে আলোকরেখা। সানজিদা রুমি যে বার্তা লিখেছেন তা অনবদ্য। তাঁর সুস্বাস্থ কামনা করি।

      ReplyDelete
    8. অন্তরের অভ্যন্তর থেকে অশেষ অভিনন্দন
      আলোকরেখার জন্য

      ReplyDelete
    9. রেহনুমা কবিরMarch 2, 2021 at 5:19 PM

      আজ আলোকরেখা তিরিশ লক্ষ পাঠক সংখ্যায় পদার্পন করলো। আগামী চলার পথ সুন্দর ও সুগম হোক আলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন আর সাধুবাদ ।

      ReplyDelete
    10. মমতা শংকরMarch 2, 2021 at 5:32 PM

      আজ আলোকরেখা তিরিশ লক্ষ পাঠক সংখ্যায় পদার্পন করলো আনন্দিত আমি। এখানে কোন নতুন কোন লেখা পেলে সকল পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়ে। লেখাটা যে অনন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সারা বিশ্বের ক্রান্তি কাল তুলে ধরেছেন অপর্ব সৃজনশীলতায়। আলোকরেখার পথ চলা এমনি সুন্দর হোক এই কামনা করি। সানজিদা রুমির সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভের কামনা রইল।

      ReplyDelete
    11. আমরা খুব সচেতনভাবেই জানি যে সনজিদা রুমী নিজের  স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতায় ব্যক্তি জীবনে নিয়ত সংগ্রামে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এর পরেও উনি শুরু করেছিলেন এক তীর্থ যাত্রা, সঙ্গে ছিল ব্যাগপ্যাক ভরা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্যে ভালোবাসা! অন্তরে ছিলো অদম্য সাহস আর মানুষের জন্যে সতত প্রবাহিত ভালোবাসার ফল্গুধারা! তিনি মায়ের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে "মাভৈঃ" বলে শক্ত করে হাতের মুঠোয় ধরেছিলেন রংধনু রং ডিঙার বৈঠা! ডিঙা ভাসিয়েছিলেন দূর দিগন্তে দৃশ্যমান 'আলোকরেখা" বরাবরে! যাত্রা শুরুর প্রথম ক্ষণগুলোতে একটা তাড়া ছিল লক্ষ্যে পৌঁছানোর! কিন্তু যাত্রা পথে অগুনতি সোনা হৃদয়ের সংস্পর্শে এসে, তাঁদের অকৃপণ ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে এক সুন্দর সকালে সম্ভবত উপলব্ধি করলেন, লক্ষ্যে পৌঁছানোর তাড়াটা আর নেই! সেখানে স্থান করে নিয়েছে যাত্রা সুখের মহানন্দ!

      আর আমরা যারা পাঠক হয়ে সানজিদা রুমীর যাত্রা-সঙ্গী হয়েছি আমরাও বৈঠা ধরা কান্ডারীর মত গলা ছেড়ে গান ধরেছি, "বাইয়া যাও রে ....... , ও মাঝি, অকুল দরিয়ার মাঝে, বাইয়া যাও!"

      একান্নবর্তী পরিবারের মত ভালোবাসা ও সহমর্মিতার শক্ত ভিত্তির ওপর রচিত সানজিদা রুমী ও "আলোকরেখা"র পাঠক-লেখক এর এই পরিবারের সবাইকে তিরিশ লক্ষ হৃদয়ের কম্পনে সৃষ্ট পুত-পবিত্র শুভ্র অভিনন্দন!  

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ